
নামাজ মানুষের ভাগ্যেয়ের কোনো পরিবর্তন করতে পারবে না।
নামাজ পড়তে পড়তে আপনি যদি কপালে স্থায়ী কালো দাগ বসিয়ে ফেলেন তাও লাভ নাই। আপনার কোনো ভাগ্য পরিবর্তন হবে না। নো নেভার। এখন হয়তো আপনি ভাববেন আমি নাস্তিক। আমি ইসলাম বিদ্বেষী। কথা সেটা নয়। কথা হচ্ছে- আপনাকে বাস্তবটা বুঝতে হবে। মানতে হবে। নইলে কপালে দুঃখ আছে। নামাজ কারো ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পারে না। আমাকে একজন মানুষ দেখান, যার দোয়ায় বা তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে? স্পষ্ট করে বলি- প্রভু কিছুই দেবে না। সম্ভব না। কাউকেই দেয় না। যে জিনিস নাই সেটা কি করে দিবে? সে তো নিরাকার। শূন্য। তার হাত নেই, পা নেই। তাকে ধরা যায় না। ছোঁয়া যায় না। তাকে কিছু চালাক লোক নিজেদের আরাম আয়েশ আর বিলাসিতা করার জন্য সৃষ্টি করেছে। চেয়ে দেখুন, ধর্ম গুরুরা কি বিলাসিতাপূর্ন জীবপনযাপন করে। আর নির্বোধেরা নামাজ রোজা তাহাজ্জুদ করে-করে মানবেতর জীবনযাপন করছে। তাদের বিশ্বাস ইহকাল যখন ভালো গেলো না, পরকালটা ভালো যাবে। আল্লাহ মহান। সুবাহানাল্লাহ।
আপনি যদি টানা ৫০ বছর নামাজ পড়েন, তবু আপনার ভাগ্য পরিবর্তন হবে না।
ভাগ্য পরিবর্তন হবে কর্মে। কর্ম করুণ। পরিশ্রম করুণ। ধরুন, আমি পরীক্ষার খাতায় কিছুই লিখলাম না। তাহলে আমি নিশ্চিত ফেল করবো। কিন্তু এখন যদি আমি দিনরাত নামাজ পড়ি, রোজা রাখি। তাহাজ্জুদ পড়ি, দোয়া করি- তাহলে কি আমি পাস করে যাবো? না পাস করবো না। কোরআনে কিন্তু কোথাও নামাজের কথা নেই। তাহাজ্জুদের কথা নেই। দোয়া করে সব কিছু হাছিল করে ফেলবেন- চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষ হজ্বে যায়, আমাদের দেশে লাখ লাখ মানুষ ইজতেমায় যায়- সেখানে সবাই আল্লাহর দরবারে হাত তুলে। অনেক কিছু চায়। বিশ্ব শান্তি চায়। কিন্তু আল্লাহ কিছুই দেয় না। প্রতি বছর হজ্ব ও ইজতেমায় মানুষ দুহাতা তুলে চাইতেই থাকে। ফলাফল দেশে দেশে যুদ্ধ, বন্যা হয়, ভূমিকম্প হয়, আগুন লাগে ইত্যাদি নানান রকম দূর্ঘটনা ঘটতেই থাকে। তবু বোকা মানুষ চেয়েই যাচ্ছে। একজন ভিক্ষুককে আমি দশটা টাকা দিলাম। বিনিময়ে সে বলে- আল্লাহ আপনার ভালো করবে। আয় রোজগার বাড়িয়ে দিবে। ভিক্ষুক কিন্তু জানে আল্লাহ কিছুই দেবে না। তাই সে বলে- আল্লাহ আপনাকে দিবে। আপনার আয় রোজগার বাড়াবে। ভিক্ষুক সারা জীবন চেয়েছে, ফলাফল সে ভিক্ষুকই থেকে গেলো। তার সে এখন নিজের জন্য না চেয়ে অন্যের জন্য চায়। হাস্যকর।
নামাজ পড়ে, দোয়া করে কখনও কিছু পাওয়া যায় না।
যদি পাওয়াই যেতো তাহলে কোটি কোটি মানুষ নামাজ পড়ে আল্লাহর দরবারে হাত তুলে প্রতিদিন। কিন্তু তাদের চাওয়া পূরন হয় না। এখন ধার্মিকরা বলবেন, চাওয়ার মতো করে চাইতে হবে। এখন কি মাথা নিচে, পা উপরের দিকে তুলে চাইতে হবে? না চেয়ে- এই কোটি কোটি লোক যদি পরিশ্রম করতো, তাহলে হয়তো কিছু পাওয়ার সম্ভবনা ছিলো। এই যে এত এত নবীজির হাদীস। হাদীস গুলো বানোয়াট। নবীজির মৃত্যুর ২/৩ শ' বছর পর হাদীস গুলো পয়দা হয়েছে। যা ভিত্তিহীন ও কাল্পনিক। ভুলভাল কথা লেখা। হাদীস ফলো করে ধার্মিকেরা বেশি বেকায়দায় পড়ে গেছে। এই হাদীস গুলো মুসলিমদের মাথা খারাপ করে দিয়েছে। হাদীসের কারনেই মুসলিমরা রুপকথার দুনিয়া বিশ্বাস করে। তাহাজ্জুদ পড়ে। আল্লাহর কাছে অনেকে কিছু চায়। হাদীসে আছে 'চোখ উপড়ে ফেলো'। বিয়ে করো। ভোগ করো। চুলে উকুন হলে চুল ফেলে দাও। ছাগল জবাই করো, রোজা রাখো। এরকম বলার কারন হলো- সে সময় মানুষ জ্ঞান বিজ্ঞান উন্নত ছিলো। সেই যুগে যদি ইন্টারনেট থাকতো, ল্যাপটপ থাকতো, রকেট থাকতো- তাহলে হাদীস গুলো অন্য রকম হতো। সেই সময়ের অল্প জ্ঞানের আইডিয়া দিয়ে এই আধুনিক যুগে চলাচল করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
আমার এক বন্ধু, ধর্মীয় গোড়ামিতে তার জীবন ভরপুর।
তার স্ত্রীর বাচ্চা হবে- সে চায় আল্লাহর নিয়মে বাচ্চা হোক। সে তাঁরা স্ত্রীকে হাসপাতালে নেয়নি। শেষমেশ বন্ধুর স্ত্রী মরতে বসেছিলো। যাইহোক, বাচ্চা হলো। বাচ্চা অসুস্থ হলে ডাক্তারের কাছে যায় না। সূরা পড়ে ফু দেয়। ফলাফল বাচ্চা মৃত্যু শয্যায়। বন্ধুর ধারনা কোথাও আগুন লাগলে আযান দিলেই আগুন থেমে যাবে। ধার্মিকদের জীবনে হাদীস এক অভিশাপের নাম। স্ত্রীর টাকা পয়সার দিকে আমার বন্ধুর খুব লোভ। জোর করে স্ত্রীর টাকা ছিনিয়ে নেয়ে। স্ত্রীকে হাদীসের বানী দিয়ে ভয় দেখায়। পরকালের ভয় দেখায়। শিক্ষিতা মেয়ে। টানা একে বছর সহ্য করলো। এরপর লাথথি দিয়ে স্বামীকে তালাক দিয়ে দিলো। এখন আমার সেই বন্ধু ফকিরের মতো রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে। তার বিশ্বাস তার স্ত্রী আবার ফিরে আসবে। সে নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে তাই চেয়েছে। ফলাফল- স্ত্রী একটা বিয়ে করেছে। সে এখন ভালো আছে। তার জীবন আনন্দময় হয়েছে। বন্ধু এখন এক পীরের মুরিদ হয়েছে। পীর বলেছে, সে তাঁরা স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনবে। এদিকে সেই মেয়ে বিয়ে করে আমেরিকা চলে গেছে স্বামীর সাথে। পীর সেই মেয়েকে আমেরিকা থেকে কিভাবে ফিরিয়ে আনবে আমি জানি না।
মনে রাখবেন ভাগ্য পরিবর্তন হয় কর্মে। নামাজে না। তাহাজ্জুদেও না।
যদি নামাজ বা তাহাজুদ ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারতো- তাহলে আমি নামাজ পড়ে, তাহাজ্জুদ পড়ে মস্ত বড় ডাক্তার হয়ে যেতাম। ডাক্তার না হলেও ইঞ্জিয়ার হয়ে যেতাম নিশ্চিত। নিদেন পক্ষে নভোচারী হতাম। মহাকাশে ঘুরে বেড়াতাম। নামাজ সবচেয়ে ভালো দিক হলো- ব্যয়াম। সারা দিনে পাঁচ বার ভভালো ব্যয়াম। কাজেই জীবনে সফল হতে হলে- কাজ করুণ। পরিশ্রম করুণ। নামাজ পড়ে দুহাত তুললে হবে না। তাহাজ্জুদেও কিচ্ছু হবে না। জাস্ট সময় অপচয় হবে। এই যে কয়েকদিন আগে ভূমিকম্প হয়ে গেলো, দেখেছেন? ছোট ছোট বাচ্চাদের কি করুণ পরিনতি দেখেছেন? ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ। সারা বিশ্বে জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি। আমাজনে আগুন। ভূমিকম্প। কত লোক টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছে না। কেউ কেউ পেট ভরে খাবার খেতে পারছে না। চারিদিকে কত শত অন্যায়। কাজেই পরকালের লোভে পড়বেন না। দোজকের ভয়ে কাতর হবেন না।
(লেখাটি আমার নয়। আমার বন্ধু শাহেদ জামালের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছি।)
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:০৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




