somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

আজকের ডায়েরী- ১১২

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছবিঃ আমার তোলা।

গতকাল ছিলো শুক্রবার।
জুম্মার নামাজ পড়ে বাসায় ফিরলাম। কথাটা পুরোপুরি সত্য নয়। নামাজ পড়তে গিয়ে দেখি মসজিদ ভরে গেছে। লোকজন রাস্তায় জায়নামাজ বিছিয়ে নামাজ পড়ছে। আমার পক্ষে সম্ভব না রাস্তায় নামাজ পড়া। যাইহোক, নামাজ শেষে বন্ধুর বাসায় খাওয়া দাওয়া করলাম। বন্ধু তিন বছর পর ডেনমার্ক থেকে দেশে ফিরেছে। বন্ধুর নাম মিজান। মিজান বিয়ে করে বউ নিয়ে চলে যাবে এটাই তার ইচ্ছা। যাইহোক, অনেক পদের খাবার ছিলো টেবিলে। আমি শুধু দুটা চিংড়ি ফ্রাই আর গরুর মাংস খেয়েছি পোলাউ দিয়ে। সব শেষে এক গ্লাস ঠান্ডা কোক। মনে হয় আজ একটু বেশিই খেয়ে ফেলেছি এখন হাঁসফাঁস লাগছে। অথচ ডাক্তার বলেছেন, গরুর মাংস না খেতে। বাঙ্গালীরা ডাক্তারের কাছে যায়। কিন্তু ডাক্তারের কথা মতো জীবনযাপন করে না। আমার বাবাও ডাক্তারের কথা কোনোদিন শুনে নাই। ডাক্তার বারবার মানা করেছে সিগারেট খাবেন না। মিষ্টি জাতীয় খাবার খাবেন না। আব্বা ডাক্তারের কোনো কথা শুনেন নাই। ফলাফল মৃত্যু। করোনা তো উছিলা মাত্র।

আমার একটা খারাপ অভ্যাস আছে। আমি সিগারেট খাই।
একবার কসম কেটে সিদ্ধান্ত নিলাম আর সিগারেট খাবো না। নো নেভার। টাকার অপচয়। শরীরের জন্য ক্ষতি। সবচেয়ে বড় কথা- সুরভি সিগারেট খাওয়া পছন্দ করে না। তারচেয়েও বড় কথা নিজের সন্তান আছে। কাজেই সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিলাম। তারপর একদিন নিজের অজান্তেই সিগারেট ধরিয়ে ফেললাম। সিগারেট শেষ করার পর মনে হলো আরেহ, আমি না সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিয়েছি। এরপর আবার খাওয়া বন্ধ করলাম। নিজেকে নিজে বুঝালাম- সিগারেট না খেয়ে একটা ডিম সিদ্ধ খাবো, তাতে নিজের উপরকার হবে। এক মাস পার হয়ে গেলো। কিন্তু আমার অবচেতন মন বারবার আমাকে সিগারেট খাওয়ার জন্য তাড়া দিচ্ছে। আমাকে নানান ভাবে বুঝাচ্ছে। যুক্তি দেখাচ্ছে। শেষমেষ আমার অবচেতন মনের জয় হলো। ছাড়তে পারলাম না। অবচেতন মন বলল- সিগারেট খেলেও মরবি, না খেলেও মরবি। তাই খেয়েই মর।

পীর ফকির দরবেশ কাউকে বিশ্বাস করা যাবে না।
এগুলো সবাই ধান্ধাবাজ। লোভী। চতুর। ভন্ড। প্রতারক। শুধু পীর না কোনো ধর্ম গুরুকেই বিশ্বাস করবেন না। ওরা সকলে মূলত ধর্ম ব্যবসায়ী। যারা ওয়াজ করে ওদেরও বিশ্বাস করা সঠিক কাজ হবে না। ওরা কঠিন ধর্ম ব্যবসায়ী। চেষ্টা করবেন সকল ধার্মিক লোকদের কাছ থেকে দূরে থাকতে। ওরা আপনার কোনো মঙ্গল করতে পারবে না। ভালো করতে পারবে না। যা করার আপনাকেই করতে হবে। ধর্মীয় গ্রন্থ গুলো পড়ুন। কোনো ধর্ম গ্রন্থেই বলা হয়নি- পীর ফকির বিশ্বাস করতে। তাদের কথা মতো চলতে। বাংলাদেশে যত ধর্মগুরু আছে- এরা দুষ্টলোক। বদলোক। এদের কাছ থেকে দূরে থাকুন। শুধু জ্ঞান অর্জন করে যান। জ্ঞান'ই আপনাকে সকল অজ্ঞতা থেকে মুক্তি দেবে। মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ হচ্ছে জ্ঞান। জ্ঞানের চেয়ে সুন্দর আর কিছু নেই। পীর, সাধুবাবা ইত্যাদি লোকদের কাছ থেকে দূরে থাকুন। ভালো থাকুন। আমার ইচ্ছা করে কোনো এক শুক্রবার মসজিদে গিয়ে হুজুরকে সরিয়ে দিয়ে আমি এসব কথা বলি। যুগ যুগ ধরে হুজুররা একই খুৎবা বলে যাচ্ছে।

সুরভি গিয়েছে তার বাবার বাড়ি।
২/৩ দিন থাকবে। বাসায় আমি একা। কিছুই ভালো লাগছে না। নানান রকম কথা মনে পড়ছে। বাসর রাতের গল্প মনে পড়লো। একা একাই হাসছি। আমার ইচ্ছা ছিলো সারারাত জেগে থাকবো। অনেক গল্প করবো। কিন্তু আমি হঠাত ঘুমিয়ে গেলাম। গভীর ঘুম। আসলে সারাটা দিন অনেক পরিশ্রম গেছে, তাই ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। সুরভি আমাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলেনি। সুরভি আমাকে সেই কথা বলে এখনও ক্ষেপায়।
যাইহোক, মসজিদে জুম্মাবারে আমি আরো বলতে চাই- মেয়েরা আর কত বিয়ের আগে বাবার উপর ভরসা। আর বিয়ের পর স্বামীর উপর ভরসা করবে? এভাবে আরা কতদিন চলবে? তাঁরা শুধু ভরসা করবে নিজের উপর। এজন্য প্রতিটা মেয়ের উচিৎ লেখাপড়া করা। ভালো রেজাল্ট করা। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা। ভালো চাকরী বা বিজনেস করা। যেন কারো উপর ভরসা না করা লাগে।
একটা মেয়ে চাইলে ডাক্তার হতে পারে, ইঞ্জিনিয়ার হতে পারে। বড় সরকারী কর্মকর্তা হতে পারে। শিক্ষিকা হতে পারে। ব্যাংকার হতে পারে। এজন্য পড়ালেখা করতে হবে। সঠিক শিক্ষাই পারে মেয়েদের ভবিষ্যৎ গড়ে দিতে। প্রতিটা মেয়ের উচিৎ আগে সুন্দর করে লেখাপড়া শেষ করা। তারপর চাকরী অথবা ব্যবসা করা। টাকা আয় করা। প্রতিষ্ঠিত হয়ে বিয়ে করা। প্রতিষ্ঠিত হয়ে বিয়ে না করলে স্বামীর ইচ্ছার উপর জীবনযাপন করতে হবে। সুরভি মাস্টার্স পাশ করে বসে আছে। এখন ঘরসংসার করছে। তার কি উচিৎ ছিলো না লেখাপড়াটা কাজে লাগানো।

ছোটবেলায় আমার অনেক গুলো প্রিয় খেলা ছিলো।
এইসব খেলা গুলো আমি নিজে নিজে আবিস্কার করেছি। এখন বড় হয়ে শৈশবের খেলা গুলো মনে হলে লজ্জা পাই। আমার প্রিয় খেলা ছিলো- যে বোতলে দুধ খেতাম। দুধ খাওয়া শেষে সে বোতলে মুতে দিতাম। তারপর সেই মুত মানুষের গায়ে ছিটিয়ে দিতাম। ঠিক যেভাবে মিলাদের সময় গোলাপ জল ছিটানো হতো। আমিও ঠিক সেভাবেই ছিটিয়ে দিতাম। আর মুখে বলতাম- গোলাপ জল। গোলাপ জল। আমার আরেকটা প্রিয় খেলা ছিলো। ব্যলকনিতে দাঁড়িয়ে রাস্তায় চলাচলরত মানুষের গায়ে থু থু ফেলা। উপর থেকে যদি আমার থু থু ঠিক ঠিক মানুষের গায়ে পড়তো, কিযে খুশি লাগতো। খুশিতে হাত তালি দিতাম। নাচতাম। আমার আর একটা প্রিয় খেলা ছিলো- ছোট মেয়েরা যখন রান্নাবাটি খেলা করতো, আমি তখন নুনু বের করে তাদের রান্নার উপর মুতে দিতাম। আমার আরো একটা প্রিয় খেলা ছিলো- স্কুলে মেয়েদের টিফিন চুরী করে খেয়ে ফেলতাম।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:০৩
২৮টি মন্তব্য ২৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সিরাতাম মুসতাকিমের হিদায়াত হলো ফিকাহ, কোরআন ও হাদিস হলো এর সহায়ক

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:০৮



সূরাঃ ৬ আনআম, ১৫৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৫৩। আর এপথই আমার সিরাতাম মুসতাকিম (সরল পথ)। সুতরাং তোমরা এর অনুসরন করবে, এবং বিভিন্ন পথ অনুসরন করবে না, করলে তা’ তোমাদেরকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাত্রলীগের লুঙ্গির নিচে ছিল শিবির, এখন শিবিরের লুঙ্গির নিচে ঘাপটি মেরে আছে গায়ে বোমা বাঁধা সশস্ত্র জঙ্গিরা

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:১৫


"তাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আদেশ: চোখে যা দেখেছো, কানে যা শুনেছো, সেগুলো সঠিক নয়, সেসব ভুলে যাও।" - জর্জ অরওয়েল

অনেকদিন ধরে একটি পরিকল্পিত অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি নেই। এতদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী-লীগের ছায়া দায়িত্ব নিয়ে তারেক জিয়া এখন দেশে

লিখেছেন অপলক , ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:৩৬



সংবাদের টাইটেল অনেক কিছু বলে দেয়। ভেতরেটা না পড়লেও চলে। বস্তুত: এতদিন ধরে ভারতের গ্রীন সিগনাল পাচ্ছিলেন না, তাই তারেক জিয়া দেশে আসার সময় বারবার পিছাচ্ছিলেন। এখন চুক্তি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভোটের পর, আমরা পাকীদের বুটের নীচে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩২



পাকীরা অমানুষ, অপসংস্কৃতির ধারক ও বাহক; ওরা ২টি জাতিকে ঘৃণা করে, ভারতীয় ও বাংগালীদের; ওরা মনে করে যে, বাংগালীদের কারণেই পাকিরা হিন্দুদের কাছে পরাজিত হয়েছে ১৯৭১... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফুড ফর থট!!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৩৫



একটা বিশাল আলোচনাকে সংক্ষিপ্ত আকার দেয়া খুবই কঠিন, বিশেষ করে আমার জন্যে। তারপরেও বর্তমান পরিস্থিতিতে ভাবলাম কিছু কথা বলা উচিত। দেশের আভ্যন্তরীন বা আঞ্চলিক রাজনীতিতে ক্রমাগত বড় বড় ভূমিকম্প... ...বাকিটুকু পড়ুন

×