তিনটা ঘটনা বলব। আমি বিয়ে করেছি।
কিন্তু আমাদের বাচ্চা হয় না। টানা ৭ বছর হয়ে গেলো। সব রকম ডাক্তার দেখিয়েছি। সব রকম চিকিৎসা করা হয়েছে। সব চিকিৎসা ব্যর্থ। আমার স্ত্রীর মন অনেক খারাপ। সে কাঁদে। পাড়া প্রতিবেশী বাজে কথা বলে। আত্মীয়রাও বলে। স্ত্রীর জন্য আমার মায়া হয়। কষ্ট হয়। একদিন আমি আল্লাহর কাছে একটা সন্তান চাইলাম। এবং আমার মনে হলো- এবার আমাদের সন্তান হবে। সত্যি সত্যি আমাদের সন্তান হলো। আল্লাহর কাছে চাইলে আসলেই পাওয়া যায়। আল্লাহ্ দেন। বড় বড় ডাক্তার পারেননি। অথচ আল্লাহর কাছে চাইতে আমি পেয়েছি- আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ।
করোনাতে আমার বাবা মারা গেলো।
এরপর এক বছর হয়ে গেলো। অনেক কিছুই আমি স্বপ্ন দেখি। কিন্তু আমার বাবাকে স্বপ্নে দেখি না। আব্বার জন্য বুকটা জ্বলে। কষ্ট হয়। ইচ্ছা হয় একবার যদি আব্বাকে স্বপ্নে দেখতাম। কিন্তু দেখি না। দুই বছর পার হয়ে গেলো। আমার অন্য ভাই বোনেরা আব্বাকে স্বপ্নে দেখেছে বেশ কয়েকবার। আমার ভীষন মন খারাপ হয়। একদিন আমি আল্লাহকে বললাম, আমি আমার বাবাকে স্বপ্নে দেখতে চাই। শুধু একবার। প্লীজ। হে আল্লাহ ব্যবস্থা করে দাও।
আল্লাহর কাছে যেদিন প্রার্থনা করলাম।
সেদিন রাতেই আব্বাকে স্বপ্ন দেখলাম। সুন্দর স্বপ্ন। স্বপ্নটা দেখে মনটা খুশিতে ভরে গেলো। স্বপ্নে কি দেখলাম সেটা বলি- আমি মন খারাপ করে পার্কে একটা বেঞ্চে বসে আছি। তখন আব্বা এলো। আমার পাশে বসলো। আমি বললাম, আব্বা তোমাকে অনেকদিন পর দেখলাম। তোমাকে আমি অনেক মিস করি। তোমার মতো করে কেউ আমাকে ভালোবাসে না। আব্বা কোনো কথা বলে না। চুপচাপ বসে আছে। তবে আমার দিকে তাকিয়ে আব্বা ভরসার একটা হাসি দিলেন। কতক্ষন সময় পার হলো জানি না। এতটুকুই স্বপ্ন।
তখন আমি বাইক চালাতাম।
সুন্দর সমান রাস্তা কিন্তু হঠাত পড়ে যেতাম। ব্যথা পেতাম। হাত পা ছিলে যেতো। দিনের পর দিন এরকম হতো। অথচ আমি বাইক খুব ভালো চালাই। ঠান্ডা মাথায় বাইক চালাই। কখনও এলোমেলো বাইক চালাই না। কারন আমি জানি বাসায় আমার জন্য আমার স্ত্রী, কন্যা অপেক্ষা করে আছে। অথচ প্রতিদিন ৩/৪ বার বাইক থেকে পড়ে যাই। একদিন আমি প্রার্থনায় বসলাম। আল্লাহকে বললাম, এই সমস্যা থেকে আমাকে পরিত্রান দেন। আল্লাহ আমাকে এই সমস্যা থেকে পরিত্রান দিলেন।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৭