অল্প বয়সে দরকারী বই বাদ দিয়ে শুধু প্রেমের উপন্যাস পড়েছি।
কচি বয়স ছিলো, আবেগ বেশী ছিলো। জ্ঞান বুদ্ধি কম ছিলো। প্রেমের উপন্যাস পড়ে পড়ে নিজেকে নায়ক ভাবতে শুরু করলাম। অথচ কোনো মেয়ে আমার দিকে ফিরেও তাকায় না। আমার খুব রাগ হয়। চুল উলটো করে আঁচড়াই, তাতে কোনো লাভ হয় না। একটু গাঢ় কাঁত করে হাঁটি তাতেও কোনো ফল পানি। জিন্স প্যান্ট, সাদা শার্ট আর সাদা কেডস পরি, নিজেকে দেখে নিজে মুগ্ধ হই, অথচ একটা মেয়েও আমার দিকে তাকায় না।
আমাদের এলাকায় একটা চায়ের দোকান আছে।
মেয়ে আর মেয়ের বাপ মিলে চায়ের দোকান চালায়। মেয়েটা সুন্দর না। হাসলে মাড়ি দেখা যায়। ইয়া মোটা। ঠোটের উপর মোচ উঠেছে। দেখতে ব্যাটা ছেলেদের মতন। একদিন এই মেয়ে আমাকে চোখ দিয়ে ইশারা করলো। আমি তো অবাক। মেয়েটার ইশারা অতি কুৎসিত ছিলো। যা আমার মোটেও ভালো লাগেনি। যাইহোক, এই গল্প আরেকদিন বলব। এখন বই গুলোর নাম বলি। অনেক উপন্যাস পড়ে প্রেম করতে মন চেয়েছে। আমি অনেক উপন্যাসের নাম বলব না। আমি মেরে কেটে- ১২টা উপন্যাসের নাম বলি-
১। শেষের কবিতা- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
২। মেম সাহেব- নিমাই ভট্টাচার্য।
৩। দেবদাস- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
৪। শবনম- সৈয়দ মুজতবা আলী।
৫। কবি- তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়।
৬। তিথিডোর- বুদ্ধদেব বসু।
৭। মেঘ বলেছে যাব যাব- হুমায়ূন আহমেদ।
৮। বিশাখার জন্মদিন- সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়।
৯। প্রাইড অ্যান্ড প্রিজুডিস- জেন অস্টেন।
১০। শেষ বিকেলের মেয়ে- জহির রায়হান।
১১। মনের মতো মন- সমরেশ মজুমদার।
১২। কাগজের বউ- শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়।