somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

যখন ছোট ছিলাম

১৭ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আমার ছোটবেলার কমপক্ষে একশ'টা ঘটনা আছে যা আমাকে আজও শিহরিত করে।
আমি আপনাদের আজ চারটা ঘটনা বলছি। তার আগে কিছু অপ্রাসঙ্গিক কথা বলা যেতে পারে। আমি ছোটবেলা দেখতে অনেক সুন্দর ছিলাম। রাস্তায় বের হলেই মানুষজন আমাকে গাল টিপে আদর করতো। বেশ মোটা ছিলাম। গাল দুটা ছিলো ফোলা ফোলা। ছোটবেলা মনের শখ মিটিয়ে খেলাধূলা করেছি। মা কিছু বলতো না, আব্বাও কিছু বলতো না। অবাধ স্বাধীনতা ছিলো। তবে মার কথা হলো- সন্ধ্যার পর বই নিয়ে বসতে হবেই। আব্বা আর মার সাথে প্রায় রোজ ঝগড়া লেগেই থাকতো। ঝগড়া দেখে দেখেই বড় হয়েছি। এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি কোনোদিন কারো সাথে ঝগড়া করবো না। আসলেই আমি ঝগড়া করি না।

ঘটনা এক, মাঠে অনেক ছেলে ঘুড়ি উড়াচ্ছে।
একটা ঘুড়ি কেটে গেলো। আমরা অনেকেই সেই কেটে যাওয়া ঘুড়ি ধরার জন্য ছুটলাম। কাটা ঘুড়িটা এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় চলে গেলো। যারা দৌড়াছিলো তাঁরা থেমে গেলো। বলল, এই ঘুড়ি ধরা সম্ভব না। কিন্তু আমি থামলাম না। ঘুড়িটা আমি ধরবই। ঘুড়ির সাথে দৌড়াতে থাকলাম। আমি ভালো দৌড়াতে পারি। শেষমেশ সেই ঘুড়ি গিয়ে পড়লো এক দোতলা বাড়ির কার্নিশে। সেই বাড়িতে ঢোকার গেট লাগানো। আমি দেয়াল টপকে বাড়ির ভেতর ঢুকে গেলাম। উঠানের কাছে যেতেই দেখি এক মেয়ে। সাদা শাড়ি পরা, ব্লাউজ পড়েনি। ভীষন সুন্দর দেখতে। উঠানে পাটি পেতে বসে আছে। মেয়েটা বলল, তুমি কে? এখানে কি করে এলে? গেট কি খোলা? আমি বোকার মতো বললাম, আমি চোর না। আমি ঘুড়ি নিতে এসেছি। মেয়েটা বলল, কাছে আয়। আমি ভয়ে ভয়ে কাছে গেলাম। মেয়েটা শাড়ির আঁচল সরিয়ে বলল, দুধ খাবি? আয় খেয়ে যায়।

ঘটনা দুই, ছোটবেলা আমার প্রিয় খেলা ছিলো-
দেওয়ালের উপর উঠা এবং নামা। একদিন বিকেলে এক দেওয়ালে উঠেছি। হঠাত জানালার দিকে চোখ গেলো। জানালা খোলা। দুজন নারী পুরুষ উলঙ্গ হয়ে শুয়ে আছে। এর আগে আমি কখনও উলঙ্গ নারী পুরুষ দেখি নাই। মেয়েটা ধবধবে ফর্সা, পুরুষটা বেশ কালো। জানালা দিয়ে মুগ্ধ হয়ে নারী পুরুষের প্রেম ভালোবাসা আদর দেখলাম। মিথ্যা বলব না, দৃশ্য গুলো আমার কাছে ভালো লেগেছে। এরপর আমি সেই দৃশ্য গুলো দেখার জন্য অসংখ্যবার সে দেয়ালে উঠেছি। কিন্তু জানালা খোলা পাইনি। ভীষণ রাগ হয়েছে আমার। ভীষন। একদিন সেই বাড়িতে গেলাম ঘটনা কি জানার জন্য। কেন জানালা বন্ধ? জানালা বন্ধ কারন যারা এই ফ্লাটে থাকতো তাঁরা বাসা ছেড়ে দিয়েছে। এরপর বাড়িওলা আর ফ্লাট ভাড়া দেয়নি। গোডাউন বানিয়েছে।

ঘটনা তিন, এক পরিচিত লোকের বাসায় গিয়েছি মায়ের সাথে।
সেই বাসায় আমার মতো বয়সী একটা মেয়ে ছিলো। মেয়েটা বলল, আসো আমার সাথে খেলা করো। আমি বললাম, কি দিয়ে খেলবো? মেয়েটা বলল পুতুল দিয়ে। আমি বললাম, পুতুল দিয়ে তো মেয়েরা খেলা করে। আমি তো মেয়ে নই। এই তোমাদের বাসায় বেলুন নেই? মেয়েটা বলল, আছে তো, দাঁড়াও নিয়ে আসছি। এরপর মেয়েটা এক প্যাকেট বেলুন নিয়ে আসে। প্যাকেটের গায়ে বাঘের মুখের ছবি আর লেখা রাজা কনডম। প্যাকেটে তিনটা বেলুন ছিলো। বের করলাম। একদম তেলতেলা। কেমন একটা গন্ধ! সেই তিনটা বেলুন ফুলালাম। অনেক বড় হয়েছে। শূনে উড়িয়ে মেরে আমি আর মেয়েটা খেলছিলাম। তখন মেয়েটার মা ঘরে আসে। সে ভীষন লজ্জা পেলো।

ঘটনা চার, স্কুল থেকে বাসায় ফিরছি।
খুব ক্ষুধা পেয়েছে। ক্ষুধা আমি সহ্য করতে পারি না। মা আমাকে টিফিন দিয়েছিলো। কিন্তু সেই টিফিন সুকন্যাকে খাইয়ে দিয়েছি। সুকন্যাকে আমার ভালো লাগে। সুকন্যা আমাকে প্রতিদিন তাঁরা টিফিন থেকে আমাকে খাওয়ায়। আমি একদিন আমার টিফিন তাকে না খাওয়ালে খারাপ দেখা যায়। যাইহোক, বাসায় যাবো তার পর খাবো। অনেক দেরী। আমার দেরী সহ্য হচ্ছিলো না। সাথে টাকা নেই যে কিছু কিনে খাবো। তখন আমার আল্লাহর কথা মনে পড়লো। মা বলেছে, আল্লাহর কাছে কিছু চাইলে আল্লাহ্‌ দেন। আমি আল্লাহকে বললাম, আমার খুব ক্ষুধা পেয়েছে। আমাকে কাচ্চি বিরানী দাও। মাংস যেন বেশি থাকে। হঠাত কোথা থেকে একলোক এলো। আমার হাতে এক প্যাকেট বিরানী ও একটা পানির বোতল দিয়ে চলে গেলো।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৫
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×