নারীরা হচ্ছে ধরনী তাদের মধ্যেই আমাদের বসবাস।
যে ছেলে পরিবার থেকে সঠিক শিক্ষা পাবে সে কখনও কোনো নারীকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করবে না। হোক সে গার্মেন্সের মেয়ে, হোক সে বাসার কাজের বুয়া অথবা হোক সে আপনার প্রেমিকা বা স্ত্রী। প্রতিটা নারীকে সম্মান করতে হবে। তার মানে এই না যে সমাজে দুষ্ট নারী নেই। আছে অনেক আছে। আমার অফিসে এক বদমাশ নারী ছিলো। সে তো আমার চাকরী খেয়ে ফেলেছে। অথচ তাকে আমি আপা আপা বলে জীবন দিয়ে দিতাম। তবে সে নারীটা দুঃখী ছিলো। তার স্বামী তাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলো। এরপর সে আর বিয়ে করেনি। তার উপর আমার কোনো রাগ নেই। প্রতিটা নারী চায় একজন বিশের কারো উপর আস্থা রাখতে। ভরসা রাখতে। বিশ্বাস করতে। কিন্তু নারীরা আশাহত হয়। কোনো নারী শখ করে বিবাহ বিচ্ছেদ করে না। যা পুরুষেরা করে থাকে।
বর্তমানে মেয়েরা সচেতন হচ্ছে।
তাঁরা বলতে শিখেছে। তাঁরা লেখাপড়া করছে। আর কতকাল তারা অপমান, লাঞ্ছনা সহ্য করবে? যুগ যুগ ধরে তাঁরা অনেক সহ্য করেছে। তাদেরও তো সহ্যের একটা বাঁধ আছে। নারীরা ঘুরে দাড়াচ্ছে। স্যালুট জানাই আমি নারীদের। এখন তাঁরা প্রতিবাদ করে। মুখ বুজে তাঁরা আর সহ্য করে না। এজন্য সমাজে বিবাহ বিচ্ছেদ বাড়ছে। বাড়ুক। একটা মেয়ে কেন একজন দুষ্টলোকের সাথে সংসার করবে? আমার পরিচিত এক ছেলে বিয়ে করেছে। সে কোনো কাজ করে না। তার স্ত্রী চাকরী করে। সে স্ত্রীর টাকায় চলে। বলে, ধর্মে আছে স্ত্রীর সম্পত্তিতে স্বামীত ভাগ আছে। এখন সে চায় তার স্ত্রী মাস শেষে সমস্ত টাকা তার হাতে দিক। স্ত্রীলোকটি লাথথি দিয়ে স্বামীকে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে। গুড জব। এরকম সাহসী নারী দরকার। ফিচ ফিচ করে কাদুনী টাইপ মেয়ে দররকার নাই। সাহসী মেয়ে দরকার এই সমাজে।
নারীরা যত সচেতন হবে, তত বিবাহ বিচ্ছেদ বাড়বে।
ধর্ম এবং সমাজ নারীদের কোনঠাসা করে ফেলেছে। তাঁরা নিজ শক্তিতে এখন সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। এজন্য আমি নারীদের সব সময় বলি- লেখাপড়াটা মন দিয়ে করুণ। নিজেকে যোগ্য ও দক্ষ করে গড়ে তুলুন। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করুণ। নিজের পায়ের নিচের মাটি শক্ত করুণ। নিজেকে সফল ভাবে গড়ে তুলুন। ইনকাম করতে শিখুন। তারপর না হয় প্রেম ভালোবাসায় জড়াবেন, বিয়ে করবেন। কতদিন আর বাবা আর স্বামীর উপর নির্ভর করে থাকবেন? নারী মানেই যেন আঁতুড়ঘর আর রান্নাঘর। নো নেভার। একজন নারী মানে এক টুকরো স্বচ্ছ ও পবিত্র আকাশ। যারা নারীদের সম্মান করে না তাদের কপালে অনেক দুঃখ থাকে। ইউরোপের নারীদের চেয়ে আমাদের দেশের নারীদের করুণ দশা। কারন ধর্ম নারীদের পিছিয়ে রেখেছে। সামনে এগোতে দিচ্ছে না।
কবিতা লেখা সহজ, এজন্য বাংলাদেশে বহু লোক কবিতা লিখে।
হাতে ডি 'এসএলআর' ক্যামেরা থাকলেই যেমন ফটোগ্রাফার হওয়া যায় না। তেমনি প্রেম করা সহজ। কিন্তু বিয়ে করা সহজ নয়। প্রেমের চেয়ে হাজার গুণ বেশি কঠিন সংসার করা। প্রেমে কোনো দায়-দায়িত্ব থাকে না। ছেলেরা নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করারা আগে বিয়ে করে ফেলে। ফলাফল সংসারে অভাব। আর মেয়ে গুলো ছেলেদের কথায় পটে যায়। ফলাফল গভীর প্রেম। কিন্তু ছেলেটা বাদশা না হারামজাদা সেটা খোজ নেয় না। মেয়েরা ছেলেদের বিশ্বাস করে ধরা খায়। তারপর হয়তো ,মুখ বুঝে সংসার করে যায় অথবা সারা জীবন দুঃখে কষ্টে জীবন পার করে দেয়। শ্বাশুরি, ননদ, জা এবং স্বামীর অত্যাচার, অপমান অবহেলার কথা কাউকে বলতে পারে না। বলবে কি করে? কারন সে তো নিজে প্রেম করে বিয়ে করেছে। এক হিসেবে প্রেম ভালোবাসার বিয়ে গুলোর শেষ ফলাফল ডির্ভোস।
বিবাহ বিচ্ছেদ যেন না ঘটে এজন্য ছোটবেলা থেকেই ছেলে মেয়েকে সঠিকভাবে পারিবারিক শিক্ষা দিতে হবে।
পারিবারিক শিক্ষাটা খুব জরুরী। অনেক বাবা মা আছেন ছেলেমেয়ে জন্ম দেন। সেই ছেলে মেয়ে সারাদিন কি করে বেড়ায় সেদিকে তাদের কোনো খেয়াল নেই। এরকম বাবা মা ও তাদের ছেলেমেয়েরা সমাজের জন্য ক্ষতিকর। পুরুষ যদি যোগ্য ও দক্ষ হয়, সঠিক শিক্ষা পায়, এবং মানবিক ও হৃদয়বান মানুষ হয়- তাহলে বিবাহ বিচ্ছেদ হবে না। বর্তমানে দেখা যাচ্ছে- নারীরা ডির্ভোস বেশি দিচ্ছেন। তার মানে তাঁরা এখন আর মুখ বুঝে সহ্য করতে রাজী না। সহ্য করা উচিতও না। মেয়েরা জাগুক। সব সময় জাগ্রত থাকুক। বদমাশ স্বামীর সাথে ঘর সংসার না করে একা থাকুক, তাও ভালো। তবে নারীদের যোগ্য ও দক্ষ হতে হবে। ইনকাম করা শিখতে হবে। একজন নারী যখন লেখাপড়া শিখে নিজ যোগ্যতায় সফল হবেন, তখন সেই নারীর মধ্যে একটা ব্যাক্তিত্ব তৈরি হবে। নারীর এই ব্যাক্তিত্বের কারনে যেনতেন পুরুষ নারীর সামনে এসে দাঁড়াতে সাহস পাবে না।
সুযোগ যখন পাওয়া গেছে, এই ফাঁকে নিজের কথা সামান্য বলে নেই।
আমি বিয়ে করেছি প্রায় ৯/১০ বছর হয়ে গেছে। আমারা দুজনে খুব ভালো আছি। সহজ সরল জীবনযাপন করছি। দুজন দুজনকে বুঝি। মানি। আমাদের জীবন জটিলতা কুটিলতা মুক্ত। সংসার জীবনে স্বামী স্ত্রী দুজনকেই ছাড় দেওয়ার মানসিকতা থাকতে হয়। সংসারে কোনো সমস্যা হলে- দুজন মিলে আলাপ আলোচনা করি। হাউকাউ চিল্লাচিল্লি করি না। কখনও আমি স্বামীগিরি ফলাই না। বিয়ে করেছি তাঁরা মানে এই না যে- আমার স্ত্রী আমার কেনা বান্দী। আমার কথায় উঠবস করবে। আমি আমার স্ত্রীর প্রতিটা ইচ্ছা অনিচ্ছায় দাম দেই। সে যখন ইচ্ছা তার বাবা মায়ের বাড়ী যেতে পারে। আত্মীয়স্বজনদের বাসায় যেতে পারে। বন্ধুবান্ধবের সাথে দেখা করে। বেশি কথা বলে লাভ নাই। আমার স্ত্রীর একটা কথা বলে লেখাটা শেষ করি- এই জীবনের পর যদি আরেকটা জীবন পাই, সেই জীবনেও আমি তোমাকে স্বামী হিসেবে চাই।