
১। আপনাকে সত্য কথা বলি- বাংলাদেশের প্রতিটা জেলা আমার পছন্দ।
একটা বিশেষ জেলার কথা বললে অন্যায় হবে। আমি আল্লাহর রহমতে বাংলাদেশের সব গুলো জেলাতেই গিয়েছি। কই মন্দ লাগেনি তো। হ্যাঁ অনেক জেলা বরিশাল আর রাজশাহী জেলার মতোন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়তো নয়। কিন্তু সেই সব জেলা গুলোর মধ্যেও একটা সৌন্দর্য দেখেছি। যা আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমি কিন্তু ভাই বিক্রমপুর এলাকার মানুষ। যাইহোক, খুলনা, চিটাগাং, সিলেট, ফরিদপুর ইত্যাদি অঞ্চল গুলো আমার ভীষন প্রিয়। তবে যশোর এলাকার কথা না বললে অন্যায় হবে। এই এলাকার একটা মেয়ের সাথে আমার দারুন সম্পর্ক ছিলো। মেয়েটার নাম নীলা। সহজ সরল সুন্দর একটা মেয়ে। এত সুন্দর মেয়ে শুধু গল্প উপন্যাসে পাওয়া যায়। মেয়েটার বিয়ে হয়ে গেছে। সে এক বিশাল কাহিনী, পরে বিস্তারিত বলব।
২। গতকাল একজন আমাকে ফোন করলো।
বলল, আপনি কি এখন বাংলাদেশে থাকেন? আমি বললাম- না আমি এখন বাংলাদেশে নাই। এই মুহুর্তে আমি আমেরিকা আছি। নিউইয়র্ক সিটিতে। জ্যাকসন হাইট এলাকায় আছি। এক বাঙ্গালীর রেস্টুরেন্টে বসে চা খাচ্ছি। সারাদিন বাসাতেই ছিলাম। কানাডাতে আগুন লেগেছে। ধোয়া দিয়ে চারপাশ ভরে গেছে। এজন্য সারাদিন বাসাতেই ছিলাম। কাজে বের হইনি। দুপুরের পর থেকে ধোয়া কমতে শুরু করেছে। তাই ভাবলাম একটু আড্ডা মেরে আসি। অনেকদিন হয়ে গেলো বাংলাদেশে যাই না। করোনাতে আব্বা মারা গেলো। তখনও দেশে যাই নাই। যাই নাই বলাটা সঠিক না। যেতে পারিনি। এবার যাবো। মায়ের কথা খুব মনে পড়ে। মায়ের হাতের রান্না খাবো।
৩। আমার এক বন্ধুর ধারনা আমি মস্ত জ্ঞানী।
সে প্রায়ই এসে আমাকে নানান রকম প্রশ্ন করে। আমি উত্তর দেই। অনেক উত্তর মিথ্যা করে দেই। তবু সে বিশ্বাস করে। গতকাল বন্ধু জানতে চাইলো পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলায় পতিতালয় আছে কিনা? তাকে বললাম- চিন্তার কিছু নেই। অনেক আছে। রথবাড়ি ও সুকান্ত মোড়ে পতিতালয় আছে। এছাড়া চিন্তামনি নদীর ধারে একটা আছে। তবে এটার পরিবেশ খুব নোংরা। মালদা টাউন রেলস্টেশনে বেশ কিছু আবাসিক হোটেল আছে। এসব হোটেলে অনেক পতিতা আছে। এই হোটেলের বেশির ভাগ মেয়ে মুসলিম। মহদীপুরেও আছে। তবে এখানে ভদ্র লোকেরা যায় না। ট্রাক ড্রাইভার, মাছের ব্যবসায়ী এই টাইপ লোক যাতায়াত করে। আদিনা মসজিদ থেকে ডান দিকে পনের মিনিট হেঁটে গেলে একটা পতিতালয় পাবেন। এখানে গ্রামের সহজ সরল মেয়েদের দেখা পাবেন। দরিয়াপুরে পাবেন। আড়াইডাঙ্গা এলাকায় আছে। তবে এটা পতিতালয় না। একটা বাসা। এই বাসাতে অসামাজিক কর্মকান্ড হয়। হরিশ্চন্দ্রপুরে আছে। কাউকে বললেই দেখিয়ে দিবে।
৪। আমার জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান- আমার কন্যা ফারাজা।
এখন তার আড়াই বছর বয়স। সারা দুনিয়া একদিকে আর আমার কন্যা আরেকদিকে। আমি আল্লাহকে বলেছি, হে আল্লাহপাক আমার জীবনের সমস্ত ভালো কিছুর বিনিময়ে আমাকে একটা কন্যা সন্তান দাও। আল্লাহপাক দিয়েছেন। আমি দরিদ্র অসহায় মানুষ। তবু আমি অনেক খুশি। সারাদিন কন্যাকে নিয়েই পার করে দেই। সন্ধ্যায় কন্যাকে নিয়ে হাঁটতে বের হই। একেকদিন একেক এলাকায় যাই। এখন মেয়ে হাঁটতে পারে। খালি রাস্তায় মেয়েকে ছেড়ে দেই, সে মনের সুখে একাএকা হাঁটে। গান গায়। আম তার পেছনে থাকি।
প্রতিটা বাবা মায়ের জীবনেই সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ তার ছেলেমেয়ে।
এখন আমার কন্যা অনেক কথা বলতে পারে। গতকাল কন্যাকে একটা কন আইসক্রীম কিনে দিয়েছি। সে অনেক খুশি হয়েছে। আমাকে বলল, বাবা আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। কথাটা শুনে মনটা খুশিতে ভর গেলো। মনে হলো জীবন অনেক সুন্দর। মাঝে মাঝে কন্যা আমার উপর রাগ করে। তখন বলে, বাবা আমি তোমাকে ভালোবাসি না। তখনও আমার অনেক ভালো লাগে। বাইরে থেকে যখন বাসায় ফিরি কন্যা সুর দিয়ে বলে, বাবা আমার জন্য কি এনেছো? বেশির ভাগ সময়ই খালি হাতে বাসায় ফিরি। পকেটে টাকা থাকলে আম কিনে নিয়ে যাই। কন্যা আম পছন্দ করে।
৫। দেখুন আমাদের দেশের অবস্থা-
একটা ফাইভ পাশ করা ছেলে, ড্রাইভিং করে মাসে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা বেতন পায়। আর একজন ছেলে অনার্স পাশ করে ১৫/২০ হাজার টাকার চাকরী করছে। যাইহোক, ''চালাক'' বা ''চালাকি'' শব্দটা আমার পছন্দ না। দুষ্টলোকজন চালাকি করে। ভালো মানুষ চালাকি করে না। চালাকির সাথে কথা বলার দরকার নেই। সহজ সরল জীবনযাপন করবেন। সহজ সরল ভাবে কথা বলবেন। কাজ করবেন। চালাকি শব্দটা ভুলে যান। আপনি জ্ঞান অর্জন করুণ। জ্ঞানী হোণ। চালাকি করতে গেলে আপনার অন্যকে ঠকাতে হবে। কাউকে ঠকানো ভালো নয়। প্রয়োজনে নিজে ঠকবেন, তবু কাউকে ঠকাবেন না।
আপনি ভালো কাজ করলে মানুষ আপনাকে ভালোবাসবে। এজন্য আপনাকে পরিশ্রমী হতে হবে। পরিশ্রম করলেই সফলতা আসবে। চালাকি শব্দটা জীবন থেকে মাইনাস করে দিন। জ্ঞানের পরিচয় দিন। জ্ঞানের চেয়ে সুন্দর আর কিছু হয় না। জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হোণ। জ্ঞান আপনা আপনি আসবে না। জ্ঞান আপনাকে অর্জন করতে হবে। যত জ্ঞান অর্জন করবেন, তত ভালো মানুষ হবেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:০৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



