
কে? কি চাও?
আমি মৃত্যু। তোমাকে নিতে এসেছি।
আমি প্রস্তুত নই।
মৃত্যু কারো প্রস্তুতির ধারধারে না।
কওয়া নেই, বলা নেই, হুট করে মৃত্যু এলে- মেনে নেব কেন?
বেঁচে থাকা মানেই তো মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করা।
আমি অন্যরকম জানতাম।
সেটা কি রকম?
আগে পরিপূর্ণ ভাবে জীবন উপভোগ করতে হবে।
মৃত্যু তো এসব নিয়মকানুন মানে না।
কেন মানবে না? সে কি স্বেচ্ছাচারী নিষ্ঠুর শাসক?
সমস্ত মনুষ্যজাতি ও তাদের বিজ্ঞান মৃত্যুর কাছে অসহায়।
আমি আরো কিছুদিন বেচে থাকতে চাই।
কিসের জন্য বেচে থাকতে চাও?
তা তো জানি না। বেচে থাকতে ইচ্ছে হয়।
তোমাকে আরো কিছু দিন সময় দেওয়া হলো।
শুকরিয়া। শুকরিয়া। অশেষ শুকরিয়া।
(আপনারা ভালো করেই জানেন আমি কবিতা লিখতে জানি না।
তারপরও কিছুদিন পরপর কবিতার মতোন করে কিছু লিখতে চেষ্টা করি। এটা আমার দীর্ঘদিনের অভ্যাস। এই অভ্যাসের কারনে প্রায় এক, দেড় হাজার কবিতা লিখে ফেলেছি। সংখ্যাটা দুই হাজারও হতে পারে। আমার লেখা কবিতা, কবিতা হোক বাঁ না হোক তাতে জগতের কিছুই যায় আসে না। এমন না যে আমি কবিতা লিখলে বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়। এভাবে আবোল তাবোল লিখতে লিখতে একসময় হয়তো একটা মহৎ কবিতা লিখে ফেলতে পারবো। কবিতা মূলত আবেগের খেলা। কবিতা লেখার চেয়ে গাছ লাগানো অনেক ভালো কাজ। প্রতিদিন দেশে যত গুলো কবিতা লেখা হয়, তত গুলো গাছ লাগালে কয়েক বছরেই পুরো বাংলাদেশ সবুজ হয়ে যেতো। তাতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্ধ হতো।
আজকাল এক যন্ত্রনা হয়েছে।
একবার লিখতে শুরু করলে শুধু লিখতেই ইচ্ছা করে। মনের মধ্যে এত এত কথা জমা হয়ে আছে, যে না লিখতে পারলে দম বন্ধ করে মারা যাবো। সামু যদি আমাকে সুযোগ দেয় তাহলে আমি প্রতিদিন দশটা করে পোস্ট দিতে চাই। সামুতে আমার পোস্ট গুলো কেউ মনযোগ দিয়ে পড়ে না। ভুলভাল লিখলেও কেউ শুধরে দেয় না। চাঁদগাজী/সোনাগাজী আমার লেখার ভুল গুলো শুধরে দিতেন। অথচ উনাকে ৩/৪ মাস ধরে কমেন্ট ব্যান করে রেখেছে। আমাদের দেশে চোর আছে, ডাকাত আছে, দূর্নীতিবাজ আছে, প্রতারক আছে, ভন্ড আছে, ফাজিল আছে। অথচ আমার বোন তসলিমা নাসরিনকে দেশে আসতে দিচ্ছে না। ঠিক তেমনি অগা মগা জগা সামুতে ফালতু মন্তব্য করছে, আর চাঁদগাজীর মতো একজন গ্রেট ব্লগার মন্তব্য করতে পারছেন না। এই দুঃখ আমি কোথায় রাখি।)
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:৩৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


