
রাজাকার সাইদি মারা গেছে।
একজন ধর্ম ব্যবসায়ী, ভন্ড, রাজাকার। এই সাইদি দেশের সাথে বেইমানি করেছে। অনেক আগেই তাকে ফাঁসি দেওয়া দরকার ছিলো। অপকর্ম করে সাইদি ধর্মে আশ্রয় নিয়েছে। সাইদি জানে এই দেশের মানুষকে ধর্ম দিয়ে কুপোকাত করা যাবে। ধর্ম দিয়ে সে তার অপকর্ম ঢেকে রেখেছে। আমাদের দেশের মানুষ অশিক্ষিত হওয়ায় না বুঝেই ধর্মকর্ম করে। সঠিক জ্ঞানের অভাবে আমাদের দেশে এত এত ধার্ম্মিক। ধার্মিকেরা চুরী, ডাকাতি, দূর্নীতি করছে। সাইদি মরছে ভালো হইছে। বদ লোক মরছে। কিন্তু দেশের অনেক লোক হায় আফসোস শুরু করেছে, মরা কান্না শুরু করেছে। ভাবতে অবাক লাগে স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও দেশে রাজাকার মানসিকতার লোকের অভাব নেই! এদের লাইনে আনতে হবে।
দেশের মানুষের চিন্তা ভাবনা অতি নিম্মমানের।
ধর্ম ব্যবসায়ীদের দ্বারা মানুষ আজও প্রভাবিত হচ্ছে। এর কারন দেশে শিক্ষার মান নিম্মমানের। সরকারের উচিৎ দেশ থেকে মাদ্রাসা উঠিয়ে দেওয়া। এবং ওয়াজ মাহফিল একেবারে বন্ধ করে দেওয়া। মাজার গুলো ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া। সমস্ত পীরদের গ্রেফতার করা। পীরের মুরিদদের সঠিক পথে আনা। সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ'র 'লালসালু' উপন্যাসটি সকলের পড়া দরকার। আমাদের দেশে সত্যিকারের ধার্মিকের চেয়ে লেবাসধারী বেশি। নব্য ধনীদের মতো নব্য ধার্মিকেরা ডেঞ্জারাস। যারা কথায় কথায় মাশাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ বলে এদের বিষয়ে সাবধান থাকতে হবে। এরা ভয়ঙ্কর। দেইল্লা রাজাকারের অনুসারিরাও তার মতো ভন্ড।
নব্য সাইদিদের কাছ থেকে আমাদের সাবধান থাকতে হবে।
তাদের প্রতিহত করতে হবে। ৭১' এ সাইদি বলেছিলো, আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা ভারতের দালাল। অসৎ ও নীতিহীন লোকের কারনে সাইদি সংসদেও বসেছিলো। সাইদি ধার্মিক সেজেছে, নিজের অপরাধ লুকানোর জন্য। নির্বোধদের মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে খাওয়ার জন্য। গোলাম আজম, সাইদিরা আমাদের শুধু ক্ষতিই করে গেছে। আমাদের দেশের মানুষ এতটাই আহাম্মক ও ইতর যে একজন যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুকে নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে! যারা ফেসবুক এবং ব্লগে সাইদির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে তাঁরা গাধা, আহাম্মক ও ইতর শ্রেণীর। আমাদের দেশে সত্যিকারের দেশ প্রেমিকের সংখ্যা অনেক কম।
আমাদের দেশে ধর্মান্ধদের সংখ্যা বেশি।
রাজাকারেরা এদেশের ধর্মান্ধ জনগোষ্ঠীকে কোরআন সুন্নাহর কথা বলে নিজেদেরকে মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে রেখেছে দীর্ঘ ৫২ বছর ধরে। কিন্তু দুষ্ট লোকের পতন হয়। রাজাকার, চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুতে আমার কোন সহানুভূতি নেই আছে শুধু ঘৃণা। রাজাকারের পক্ষে কেউ কথা বললে সেও অপরাধী। আমাদের এই দেশটাকে আমরা মৌলবাদীদের হাতে তুলে দিতে পারি না। ধার্মিকেরা ধর্মের দোহাই দিয়ে, আল্লাহর দোহাই দিয়ে জঙ্গি হামলা করে। কতটা নির্বোধ আমাদের দেশের জনগন সাইদিকে চাঁদে দেখেছেন বলে দাবী করেন! জ্ঞানীরা চন্দ্র জয় করে মঙ্গলে পাড়ি জমাচ্ছেন, আর মুসলিমরা মসজিদ মাদ্রাসা বানাচ্ছে। নামাজ পড়তে পড়তে কপালে স্থায়ী কালো দাগ বসিয়ে ফেলছে।
মানুষের মধ্যে দুটা জিনিস থাকতে হয়।
মনুষ্যত্ব ও সততা। দেশ স্বাধীন হয়েছে ৫২ বছর হয়ে গেছে অথচ এখনও দেশের বহু মানুষ পাকিস্তানপন্থী, রাজাকার মানসিকতার। এটা আমাদের অনেক বড় ব্যর্থতা। মূলত আমাদের সর্বনাশ করেছে ধর্ম। ধার্মিকদের চিন্তা ভাবনা দুর্বল। তাঁরা নিজেদের 'মানুষ' মনে করে না, মনে করে মুলসমান। এজন্যই তাঁরা ধার্মিক হতে পেরেছে, 'মানুষ' হতে পারেনি। ধার্মিকদের উচিৎ মানুষকে মানুষ ভাবা। কুসংস্কার থেকে দূরে থাকা। ১৪শ' বছর আগের নিয়ম কানুন এখন চলবে না। আপনাকে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। ধর্মের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে, পেছনে পড়ে থাকবেন। অতি ধার্মিকতার কারনে আজ বিশ্বে মুসলিমদের কোনো অবদান নেই।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:২৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



