
আমার কথা হলো- আমাদের জীবনটা অনেক ছোট।
তাই প্রতিটা মুহুর্ত উপভোগ করে নিতে হবে। টাকা টাকা করে জীবন পার করে দেয় বোকারা। হ্যাঁ জীবনে টাকার দরকার আছে। তাই বলে সীমাহীন টাকার প্রয়োজন নেই। খেয়েপরে বাঁচার মতো টাকার ব্যবস্থা থাকলেই যথেষ্ট। বিলাসিতা তো ভালো নয়। লোকজন টাকা উপার্জন করতে গিয়ে জীবনের আনন্দ গুলো মাটি করে দেয়। বোকারাই এমনটা করে। বুদ্ধিমানদের হিসাব আলাদা। সকালে ঘুম ভাঙ্গার পর সাথে সাথে বিছানা থেকে নামবেন না। কিছুক্ষন বিছানায় গড়াগড়ি করবেন। আড়মোড়া ভাঙবেন। চায়ের কথা বলবেন। দুধ ছাড়া চা। বাসি মুখে চা খাওয়ার মজাই আলাদা।
সকালে বেশির ভাগ লোকজন তাড়াহুড়া করে।
তাড়াহুড়া করবেন না। তাড়াহুড়া শয়তানের কাজ। সব আস্তে ধীরে করবেন। পানি খাবেন ২/৩ গ্লাস। যদি বাসায় পত্রিকা রাখে তাহলে পত্রিকা পড়বেন। নইলে মোবাইলে অনলাইন নিউজ পোর্টাল গুলোতে চোখ বুলাবেন। পেটে চাপ দিলে প্রয়োজনে বাথরুমে কমোডে বসে পত্রিকা পড়বেন। বিশ্ব সংসারের কি অবস্থা সেটা জানা দরকার। গরম এক কাপ চা নিয়ে বাথরুমে যাবেন। সমস্যা কি? কোনো সমস্যা নাই। চা চুমুক দেবেন। পত্রিকা পড়বেন। পটি করবেন। তিন কাজ একসাথে। ক'জন পারবে একসাথে তিন কাজ করতে! আমি নিজেও এরকমটাই করি। মন্দ কি? এক ফাঁকে ব্রাশ করে নিবেন। এটা খুব জরুরী। এই কাজ গুলো করার সময় কারো সাথে কথা বলবেন না। আপন মনে থাকবেন।
সকালে বাসিমুখে চা খাওয়া হয়ে যায়।
পত্রিকা পড়া হয়ে যায়। বাথরুমও করা হয়ে গেলো। তারপর গোছল। অনেক সময় নিয়ে গোছল করুণ। গোছল করার সময় গুনগুন করে পছন্দের গান গুলো গাওয়া যেতেই পারে। চুলে শ্যামু করুণ, ফেনা দিয়ে ভরিয়ে ফেলুন। তারপর কন্ডিশনার দেন। দেখবেন চুল গুলো সব কি সুন্দর হয়ে যায়। ক্লিন সেভ করে ফেলুন। একদম ফ্রেশ লাগবে। তাড়াহুড়া করা যাবে না। সব কাজ আস্তে ধীরে। তাড়াহুড়া ভালো নয়। তাড়াহুড়া করে শয়তান। আপনি মানুষ। শয়তান নয়। কোমরে টাওয়াল প্যাচিয়ে বাথরুম থেকে বের হোন। তারপর আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে যান। নিজেকে দেখুন। চুল আচড়ে নিন। ইচ্ছা মতো বডি স্প্রে করুণ। ভালো পারফিউম মন ভালো করে দেয়।
সকালে ৭/৮ টার মধ্যেই ঘুম থেকে ওঠা ভালো।
অনেকে অনেক বেলা পর্যন্ত ঘুমায়, এটা আমার একেবারেই পছন্দ না। সামান্য পাখি। তাঁরা খেয়াল করে দেখবেন ভোর হওয়ার সাথে সাথে ঘুম থেকে উঠে যায়। তারপর বিশ্ব সংসারে নেমে যায়। ভোর হতেই মোরগ ডাকে। পাখি কিচির মিচির করে। যাইহোক, চুল আচড়ানো শেষ। পারফিউম দেওয়া শেষ। এবার আয়রন করা পরিস্কার জামা পড়ে নিন। সব সময় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন আর টিপটপ থাকতে হবে। সব শেষ করে নাস্তার টেবিলে বসে যান। ঘরের নাস্তা পছন্দ না হলে, হইচই করার দরকার নাই। ফুড পান্ডায় ফোন করে পছন্দ মতো নাস্তা আনিয়ে নেবেন। প্রতিদিন একই রকম নাস্তা খাবেন না। তবে নাস্তায় ডিম অবশ্যই রাখবেন। সব শেষে এক কাপ চা। মনে মনে বলুন- লাইফ ইজ বিউটিফুল।
সব কাজ শেষ। সুন্দর একটা দিন শুরু।
এবার কাজে নেমে পড়ুন। বাসা থেকে বের হওয়ার আগে নিজের স্ত্রীকে একটা চুমু দিয়ে বের হওয়া উচিৎ। আর যদি সন্তান থাকে তাহলে স্ত্রী বাদ, প্রিয় সন্তানকে চুমু দিন। দুপুরে কি রান্না হবে, সেটা স্ত্রীকে বলে যান। নইলে ফোন দিয়ে দিয়ে বিরক্ত করবে। স্ত্রীজাতি স্বামীদের বিরক্ত করে করে জীবন তেজপাতা করে দেয়। স্বামীদের আনন্দ তাঁরা সহ্য করতে পারে না। ধরুন, আপনি আরাম করে বসে মুভি দেখছেন, তখন আপনার স্ত্রী এসে বলবে, রান্নাঘরের তাক থেকে প্রেসার কুকারটা নামিয়ে দাও। অথবা বলবে, হায় আল্লাহ, বিকেলে ছাদ থেকে কাপড় আনতে ভুলে গেছি, প্লীজ একটু কাপড় গুলো এনে দাও না।
আপনি যদি ধার্মিক হোক, তাহলে এসব আপনার জন্য নয়।
ধার্মিকেরা সাধারন মানুষ থেকে আলাদা। তাঁরা মুসলমান। সাধারন মানুষ যা যা করেন, একজন ধার্মিক তা তা করতে পারেন না। আপনি ধার্মিক হলে আপনার সকাল হবে ফযরের ওক্তে। নামাজ পড়বেন। খাঁটি ধার্মিকেরা দিন শুরু করে নামাজ দিয়ে। তারপর তাঁরা সকালের মনোরম পরিবেশে হাঁটে। আল্লাহ ফযরের নামাজের আগ মুহুর্তে বেহেশতের জানালা খুলে দেন। এজন্য ভোরের বাতাস অতি মনোরম হয়। মনকে শান্ত করে দেয়। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর একটা সূরা পড়তে হয়। সেটা পড়বেন। আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হয়। রাতে ভালো ঘুমের জন্য ধার্মিকেরা তাহাজ্জুতের নামাজ পড়ে। তাহাজ্জুতের নামাজ গুরুত্বপূর্ন। ধার্মিকদের নামাজ দিয়ে দিনের শুরু আবার নামাজ দিয়েই শেষ।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:৩৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



