খুব শ্রীঘই শরৎ কাল শুরু হবে।
আমার প্রিয় ঋতু। অথচ কবি সাহিত্যিকেরা যুগ যুগ ধরে বর্ষা বন্দনা করেছেন। শরতকাল সবচেয়ে সুন্দর নদীর পাড়ে। চারপাশ কাশফুলে সাদা হয়ে থাকে। আকাশ থাকে গভীর নীল। যদিও মাঝে মাঝে মেঘ এসে জমা হয়। বৃষ্টিও হয় সামান্য। চারপাশের পরিবেশটা মোলায়েম থাকে। নদীতে পাল তোলা নৌকা গুলো হেলেদুলে চলে। শরৎকালেই বোধহয় রবীন্দ্রনাথ 'মেঘ ও রোদ্র' গল্পটি লিখেছিলেন।
কেউ মরে গেলে পৃথিবীটা থেমে যায় না।
সূর্য উঠবে। ভোরবেলা পাখি ডাকবে। ওয়া ওয়া করে নবজাতক কান্না করবে। লোকে খাবে, হাগবে, ঘুমাবে, স্বপ্ন দেখিবে, সহবাস করবে এবং ধান্দাবাজি করে যাবে, যেমন করতো বরাবর। আমি মরে গেলে কি হবে? কে কাদবে? কে শোক করবে? কে খুশি হবে? আমার মেয়েটার কি হবে? মৃত্যুচিন্তা মানুষ কে দুর্বল করে দেয়। অসহায় করে তোলে। চলমান জীবন যাপনে ব্যাঘাত ঘটায়।
মৃত্যুর চিন্তা বাস্তবিক সব মানুষই কম বেশি করে।
সংসার, অফিস আদালত, আড্ডা, ঘুম, অবসর যাপন, ভ্রমণ ইত্যাদিতে মৃত্যুচিন্তা হয়তো সাময়িক ভাটা পড়ে। কিন্তু শয়নে স্বপনে ধীরে ধীরে আমরা মৃত্যুর দিকেই ধাবিত হচ্ছি। আশার কথা হচ্ছে মানুষের মৃত্যু হলে পুরোপুরি মানুষ মরে যায় না। তার কিছু থেকে যায়। জাগতিক পরিচয়ে নয়, সে এক ভিন্ন অস্তিত্ব এবং ভিন্ন জগৎ। না জানি সেই জগৎ কত রহস্যময়। আহ সেই জগৎ সম্পর্কে যদি মৃত্যুর আগেই জানা যেত!
একজন মানুষকে চিনতে অনেক সময় লাগে।
আমাদের নবীজিকেও চিনতে চল্লিশ বছর সময় লেগেছিলো। নবীজি এই দুনিয়াতে জন্ম না নিলে আল্লাহ এই পৃথিবী সৃষ্টি করতেন না। বিশ্ব নবীর মাধ্যমে আমরা কোরআন পেয়েছি। নামাজ পেয়েছি। আমাদের ভাগ্য ভালো যে আমরা শেষ নবীর উম্মত। আমরা যতই পাপ করি না কেন, নবীজি আমাদের বেহেশতে নিয়ে যাবেন। এজন্যই ওলি আউলিয়ারা বলেছেন, আল্লাহ কে পেতে হলে আগে নবীকে পেতে হবে।
একটু কষ্ট করে দুনিয়াতে কোরআন হাদীস মোতাবেগ চলতে পারলে।
পরকালে আছে শান্তি আর শান্তি। দুনিয়া তো অল্প দিনের। পরকাল হলো অসীম। দুষ্ট লোকদের আল্লাহ কবরেই কঠিন শাস্তি দিবেন। কবরের আযাব থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় পর্যন্ত নবীজি বলে দিয়ে গেছেন। সূরা মূলক বেশি বেশি করে পড়তে বলেছেন। পৃথিবীর মোহে পড়ে মানুষ নানা ভুল ও অন্যায় করে যাচ্ছে। হাশরের ময়দানের কথা মানুষ ভুলে গেছে। আমাদের মনে রাখতে হবে, স্কুল কলেজের শিক্ষা ইহকালের জন্য কিন্তু মাদ্রাসার শিক্ষা ইহকাল পরকাল দুই জাহানের জন্য।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩৩