অনেকেই বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে আমেরিকার মাথা ব্যথা কেন?
আমেরিকা সব সময় চায় বিশ্বের ভালো হোক। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এটা একটা ভালো কাজ করেছে। এতে সমস্যায় পড়বে দূর্নীতিবাজরা। তাঁরা এখন টাকা পয়সা কোথায় রাখবে? তাদের ছেলেমেয়েকে কোথায় রাখবে? অলরেডি বহু মানুষের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। সরকারের লোকজন বিরাট অসুবিধায় পড়ে গেলো। আমেরিকার এই নিষেধাজ্ঞায় আপনার আমার কোনো সমস্যা নেই। সমস্যা হবে- রাজনীতিবিদদের। যেমন মন্ত্রী, এমপি, ছাত্রলীগ, সরকারী আইনজীবী, আমলা। এমনকি শেখ হাসিনার ছেলেরও সমস্যা হতে পারে। যদি আওয়ামীলীগ না শুধরায় তাহলে আমেরিকা আরো রেগে যাবে। তখন হয়তো বলবে, আমাদের দেশে বসবাসরত আওয়ামীলীগদের রাখব না। তাদের বের করে দেওয়া হবে।
এখনও আমেরিকাতে অনেক আওয়ামীলীগের নেতা আছে।
ওদের কপালেও দুঃখ নেমে আসতে পারে। এই বিষেধাজ্ঞা যদিও আমাদের দেশের জন্য অপমানকর। আওয়ামীলীগকে ধাক্কা দেওয়ার জন্য এই অপমানটাই দরকার ছিলো। আমাদের দেশে লুটপাট, বিনা ভোটে মন্ত্রী এমপি হওয়া, ছাত্রলীগের বাড়াবাড়ি- মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। দেশের মানুষ সরকারের ভয়ে মুখ খুলে না। অন্যদিকে সংবাদপত্রওলারা নিজেদের হিজড়া বানিয়ে ফেলেছেন। অথচ বিশ্ববাসী সব জানে এবং বুঝে। আওয়ামীলীগের দূর্নীতি ও অসৎ আচরন- বিষয়টা আমেরিকার কাছে ভালো লাগছে না। আমেরিকান নিষেধাজ্ঞার কারণে হয়তো অনেক দুষ্টলোক এখন ভালো হয়ে যাবে। কিন্তু ব্রাইডেন আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সাথে সেলফি তুলবেন। আবার নিষেধাজ্ঞা দেবেন। এইসব কি হচ্ছে? ঘটনা জট পাকিয়ে যাচ্ছে।
যেকোনো দেশ চাইলে যেকোনো দেশের উপরে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে।
সহজ কথায় বলতে গেলে একটা দেশ অপর একটা দেশের ওপর শাস্তি হিসেবে এই নিষেধাজ্ঞা দেয়। আমেরিকা আমাদের ভালো চায় বলেই- আমাদের ভিসা নিয়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আমেরিকা হচ্ছে একটি সয়ংসম্পূর্ন ও সারা বিশ্বে একটি প্রথম সারির শক্তিধর রাষ্ট্র। বেশিরভাগ দেশেরই অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ ভার আমেরিকার হাতে থাকে। তাই আমেরিকা চাইলেই বিভিন্ন দেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে। আমেরিকা সারা পৃথিবী থেকে মেধাবী মানুষদের নিয়ে আসে। তাই আমেরিকায় মেধার অভাব নেই। একারনেই আমেরিকা শক্তিশালী এবং ভবিষ্যতেও তাই থাকবে। সহজ সরল সত্য কথা হলো- আমেরিকা ছাড়া আমাদের উপায় নাই। ভারত এবং আমেরিকা ছাড়া আমাদের উপায় নাই।
আমেরিকা নিজেদের আধিপত্যের জানান দিতে-
প্রথম সারির শক্তিশালী দেশগুলো বিভিন্ন বৈশ্বিক ঘটনা নিয়ে আলোচনা করে থাকে ও নানান সময়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থাকে। অনেকে বলছেন- যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পিছনে লাগার মূল কারণ কী? যুক্তরাষ্ট্র মোটেও বাংলাদেশের পিছনে লাগেনি। যুক্তরাষ্ট্র যদি কারো পিছনে লেগেই থাকে তাহলে সেটা হচ্ছে- শেখ হাসিনা। অর্থাৎ তারা আওয়ামীলীগ এর পেছনে লেগেছে। যদিও এটাকে পিছনে লাগা বলা যাবে না। এটা রাজনীতিরই একটা অংশ। হাসিনা এই বিপদ কাটিয়ে উঠবেন। মার্কিন ভিসানীতির প্রভাব আসন্ন নির্বাচনে না রাজনীতিতে পড়বে না। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে বাংলাদেশ নিরপেক্ষ অবস্হানে আছে। আমেরিকা বিভিন্ন সময়ে চেয়েছে যেন বাংলাদেশ আমেরিকাকে সমর্থন দেয় কিন্ত বাংলাদেশ তা করেনি।
আমেরিকা ৭১ সালে আমাদের সাপোর্ট করেনি।
আমেরিকা আসলে আমাদের কাছে কি চায়? সেন্টমার্টিন আইল্যান্ডে ঘাটি করতে চায়? ফ্রান্স বাদ দিয়ে তাদের কাছ থেকে অস্ত্র কিনি সেটা চায়? শেখ হাসিনা ব্রিকস গেছে এটা আমেরিকা পছন্দ করে নাই। এজন্যই তাদের এত রাগ? নাকি মোদির সাথে আমাদের সম্পর্ক ভালো। এটা আমেরিকা সহ্য করতে পারছে না? সামিট ২০ কেন শেখ হাসিনা দাওয়াত পেলো? এটা নিয়েই আমেরিকার রাগ? নাকি আমেরিকা সত্যিই চায়- আমাদের দেশে সুষ্ঠু ভোট হোক। দূর্নীতি না হোক। ছাত্রলীগ অত্যাচার না করুক। নাকি শুধু মাত্র আমেরিকা শেখ হাসিনার উপর রেগে আছেন? আমেরিকা কি চায় হাসিনা ক্ষমতা থেকে সরে আসুক। আর ড. ইউনূস দেশের প্রধানমন্ত্রী হোক? আমেরিকার উচিৎ স্পষ্ট করে কথা বলা।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৩৬