
ধর্ম মানতেই হবে এমন কোনো কথা নাই।
কিন্তু ধর্ম না মানলে মৃত্যুর পর কঠিন সব শাস্তির কথা বলা হয়েছে। আগুনে পুড়বে। মাথার একহাত উপরে থাকবে সূর্য। আপনার সারা শরীর গলে গলে পড়বে। আপনাকে খেতে দেওয়া হবে দুষিত রক্ত আর পুঁজ। আরো অনেক রকম ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে। আপনি ধর্ম মানলে বা না মানলে কারো কিছু আসবে যাবে না। এটা সম্পূর্ণ আপনার ইচ্ছা। এযুগের মানুষরা পরকাল নিয়ে চিন্তিত না। ভাবটা এরকম, পরকালে কি হবে সেটা পড়ে দেখা যাবে। আপাতত মাস্তি করি।
মূলত সারা বিশ্ব ধর্মের নিয়মে চলছে না।
প্রতিটা দেশ চলছে তার নিজস্ব সংবিধানে। যে গুটিকয়েক মুসলিম দেশ ধর্মের নিয়মে চলছে তাদের অবস্থা ভালো না। আর যেসব দেশ ধর্মের ধারধারেনি তারা অনেক ভালো আছে। তারাই আজ বিশ্বে উন্নত জাতি। সহজ সরল সত্য কথা হলো ধর্মহীনরাই মানবিক ও হৃদয়বান হয়। আর ধার্মিকেরা হয় ছাত্রলীগের মতো জল্লাদ। নিষ্ঠুর। যাইহোক, ধর্মের চেয়ে বড় কর্ম। ধর্মকর্ম না করলে সমস্যা নাই কিন্তু কর্ম করতেই হবে। কর্মই মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে। ধর্ম নয়। ধর্ম তো শুধু ভয় দেখায় আর লোভ দেখায়।
সামন্ত যুগে ধর্ম সৃষ্টি হয়।
তখন মানুষ জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নত ছিলো না। সেই সময় কতিপয় চতুর লোকেরা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য ধর্ম নিয়ে আসে। এবং মানুষকে বোকা বানিয়ে নিজেরা রাজার হালে থাকে। সেই সামন্ত যুগ থেকেই শুরু হলো ধর্ম ব্যবসা। যা আজও অব্যহত আছে। ধর্মের কথা শুনলেই মূর্খ জনগণ কাঁত হয়ে যায়। আমার নানী বিশাল ধনী মহিলা ছিলেন। বিরাট ব্যবসা ছিলো তার। ধর্মের পথে নেমে নানী তার সমস্ত ধনসম্পদ খোয়ালেন। বাংলায় একটা কথা আছে- মাথায় কাঠাল ভেঙ্গে খাওয়া। ধর্ম ঠিক তাই।
আমি নিজেই ধর্মের ধারেকাছে নেই।
নামাজ পড়ি না, রোজা রাখি না। কিন্তু আমি সহজ সরল সুন্দর জীবন যাপন করি। কারো ক্ষতি করি না। কাউকে ঠকাই না। আমার জীবন আনন্দময়। আমি সঠিক পথে আছি। হ্যা সারাদিনে পাচ বার উঠবস করি না। নবীজির দেখানো পথেও আমি চলি না। অনেক গুলো বিয়ে করিনি। ধনী বয়স্ক মহিলা হলেও আমি বিয়ে করবো না। আমি যুদ্ধ নাম দিয়ে লুটপাট করতে পারবো না। মানুষ দিন দিন সামনে যায়। ১৪শ বছর পেছনে কেন যাবো? ধর্মের লেবাজ আমার নাই। তাই আমি বেশ আছি।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ২:০৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




