somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

শেখ হাসিনার পর আওয়ামী লীগের হাল কে ধরবেন?

১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



শেখ হাসিনার মৃত্যুর পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন- তার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
শেখ হাসিনার ছেলে জয় প্রধানমন্ত্রী হবে না। কারন সে ভুলভাল কথা বলে। জয় প্রধানমন্ত্রীর ছেলে না হলে, একটা ক্লারিকেল জব হয়তো পেতো না। শেখ হাসিনা আমৃত্যু ক্ষমতায় থাকবেন। তিনি কখনও স্বেচ্ছায় অবসর নেবেন না। আমাদের দেশে মৃত্যু ছাড়া সাধারণ মন্ত্রী এমপিরা ক্ষমতা থেকে নড়ে না। আওয়ামীলীগের স্বাস্থ্য মন্ত্রী ছিলেন নাসিম। উনি ঠিক করে হাটতে পারতেন না। তবু তিনি অবসর নেননি। মৃত্যুই তাকে অবসর দিয়ে দিলো। এখন ওবায়দুল কাদের সাহেবেও ঠিক করে হাটতে পারেন না। তাকে ধরে রাখতে হয়। তিনি তো অবসর নিচ্ছেন না। ক্ষমতার অন্য রকম মজা আছে। কেউ অবসর নিতে চায় না।

বর্তামানে আওয়ামীলীগের এক নেতা আমেরিকা বা সুইজারল্যান্ড আছেন।
তিনি স্বেচ্ছায় রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছেন। কারন তার আর কোনো উপায় ছিলো না। খুব প্রভাবশালী মন্ত্রী ছিলেন। উনি ও উনার ভাই সীমাহীন দূর্নীতি করেছেন। এবং তাদের ছত্রছায়ায় থেকে অন্তত ১০/১৫ জন লোক সীমাহীন টাকার মালিক হয়েছেন। (তারা এবার এমপি হওয়ার জন্য খুব তোরজোর করছেন)। এই মন্ত্রীর ভাই বর্তামানে জেলে আছেন হয়তো। অনেকেই বলেন এই মন্ত্রী রাজাকার ছিলেন। এই মন্ত্রী ও তার ছত্রছায়ায় থাকা লোকেরা অনেক মানুষের জমি জোর করে দখল করেছে। অনেকের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে। এই মন্ত্রীর বাড়িতে একটা মিনি চিড়িয়াখানা আছে। বিশাল ছিলো তার রাজত্ব। এখন সে নিজের জীবন নিয়ে পালিয়ে আছেন। বলুন তো আমি কার কথা বলছি? এই মন্ত্রীর অঞ্চলে যাদের বাড়ি তারা অবশ্যই বলতে পারবেন।

আমাদের দেশের রাজনীতি খুব নোংরা।
মেজর জিয়া থেকে ক্ষমতা এলো বেগম জিয়ার হাতে। বেগম জিয়া থেকে তারেক। তারেক মরে গেলে বিএনপির রাজনীতি করবে তারেকের ছেলেমেয়েরা। অন্যদিকে শেখ মুজিব থেকে হাসিনা না। হাসিনা মরে গেলে তার ছেলেমেয়ে ক্ষমতায় বসবে। এটাই আমাদের দেশের অলিখিত নিয়ম। তারা দেশ চালাক সমস্যা নাই। কিন্তু এই দুই দলেই সৎ, পরিশ্রমী, দক্ষ ও যোগ্য লোকের সংখ্যা খুবই কম। এদের দিয়ে দেশের কল্যাণ হবে কি করে? খোজ নিলে জানা যাবে লন্ডন আমেরিকায় তারা প্রত্যেকে সেকেন্ড হোম করে রেখেছেন। তাদের ছেলেমেয়েরা উন্নত জীবনযাপন করছে। এদিকে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দেশে বেকার ও ভিক্ষুকের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।

আমাদের ঢাকায় দুই মেয়ের আছেন তারা খুব চ্যাটাং চ্যাটাং কথা বলেন।
কিন্তু আমরা যারা ঢাকায় থাকি তারা জানি ঢাকার কি গজব অবস্থা। ফুটপাত দিয়ে আরামে হাটা যায় না। নগরে ফ্লাইওভার করা হয়েছে। ফ্লাইওভারের নিচে ভীষণ নোংরা। কেউ পুরোনো গাড়ি রেখেছে। কেউ কেউ ফ্লাই ওভারের নিচে পরিবার নিয়ে থাকে। ফ্লাইওভারের নিচে নানান রকম হকার বসেছে। সিটি কর্পোরেশন পাবলিক টয়লেট করেছে, ময়লার ডিপো করেছে। সব মিলিয়ে জঘন্য অবস্থা। আমি সৌদিতে দেখেছি ওদের ফ্লাইওভার গুলো। দারুন সুন্দর। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন। গোছানো। টিপটপ। বসার জন্য সুন্দর বেঞ্চ আছে। আপনি চাইলে সেখানে বসে বিশ্রাম নিতে পারবেন। ঢাকার মিরপুর দশ, ফার্মগেট, গুলিস্তান, নবাবপুর, সদরঘাট, মহাখালি, যাত্রাবাড়ী, গাবতলী, কমলাপুর রেলস্টেশন ইত্যাদি এলাকা গুলোর গজব অবস্থা।

যারা ক্ষমতায় থাকে তাদের পোয়া বারো।
ছাত্রলীগের নেতাদের পর্যন্ত রকরমা অবস্থা। কেউ তার নতুন ফ্লাটের জন্য একসাথে ৮০ লাখ টাকার ফার্নিচার কিনেছে। অমুক কলেজের ছাত্রলীগের নেতা ইউরোপ ট্রুর দিচ্ছে। অমুক ছাত্রলীগের সাবেক নেতা পরিবার নিয়ে লন্ডনে চলে গেছে। সে মাঝে মাঝে এসে বড় ভাইয়ের সাথে দেখা করে যায়। গুলিস্তান এলাকার ফুটপাত কেনাবেচা হচ্ছে। ভাড়া দেওয়া হচ্ছে। এদিকে ছাত্রদলের নেতাদের করুন অবস্থা। তাদের অবস্থা ঢাকা চিড়িয়াখানার রুগ্ন পশুদের মতো হয়েছে। খেতে পায় না। গত পনের বছরে তাদের করুন অবস্থা হয়েছে। পুরো দেশ ফুটপাত সহকারে এখন আওয়ামীলীগের দখলে।

সরকার যতই বলুক দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে।
সত্য কথা হলো- আমরা দেশের মানুষ ভালো নেই। হ্যা যাদের পর্যাপ্ত টাকা আছে অথবা বিদেশ থেকে টাকা আসছে সেসব পরিবার গুলো বেশ আছে। সরকারি আমলারা দারুণ আছে। সন্ধ্যার পর তাদের বড় ব্যবসায়ীদের সাথে দেখা যায় ঢাকা ক্লাবে। দেশের দশ কোটি মানুষ একদম ভালো নেই। তাদের বড় অভাব। বিএনপি ক্ষমতায় থাকলেও একই ঘটনা। আমি রাজনীতি করি না, আপনি রাজনীতি করেন না। কিন্তু রাজনীতির কালো ছায়া দেশের সব মানুষের উপর পড়ে। সরকার বলছে দেশ ডিজিটাল হয়ে গেছে। বিদ্যুতের মিটারের কার্ড রিচার্জ করতে গেলেও অনেক হেপা আছে। জন্মনিবন্ধ করতে গেলেও অনেক ভোগান্তি। ট্রেড লাইসেন্স করতে গেলেও ভোগান্তি। সরকারি হাসপাতালেও ভোগান্তির শেষ নেই। আজ থেকে পনের বছর আগেও ঠিক এরকম ভোগান্তি ছিলো। আজও আছে। তাহলে দেশ কিভাবে উন্নয়নের মহাসড়কে? হ্যা উন্নয়ন হয়েছে কিছু মানুষের। তারা নব্যধনীর খেতাব পেয়েছেন।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:৪২
১০টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তারেক ৩০০০ কোটী টাকার লোভেই দেশে ফিরেছে

লিখেছেন জেন একাত্তর, ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১০



তারেক এসেছে, বলেছে, I have a plan; তারেকের প্ল্যানটা কি? এই মহুর্তে তার প্ল্যান হতে পারে, নমিনেশন বাণিজ্য করে কমপক্ষে ৩০০০ কোটি টাকা আয়। ৩০০ সীটে গড়ে ১০... ...বাকিটুকু পড়ুন

বই : টক অব দ্য টাউন

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:০৮

বই : টক অব দ্য টাউন



একটি বই হঠাৎ করে এতটা আলোচনায় আসবে আমরা কি ভাবতে পেরেছি ?
বাংলাদেশের মানুষ অতি আবেগপ্রবন , বর্তমান রাজনৈতিক অস্হিরতার মধ্যে ও
বাঙালীর স্বভাবসুলভ অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

মাদ্রাসা শিক্ষা, বৈশ্বিক রাজনীতি, সহিংসতা ও জঙ্গিবাদ

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৪৫


লেখাটির শুরুতে একটি ভূমিকা দেওয়া যাক। সর্বশেষ দেশে গিয়ে কয়েকদিন গ্রামের বাড়িতে ছিলাম। উত্তরবঙ্গে, নিতান্ত অনুন্নত আমাদের সেই গ্রামে এতগুলো কওমি মাদ্রাসা হয়েছে দেখে অবাক হয়েছিলাম। আগে গ্রামে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকার মানুষের জীবন

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪


ঢাকাতে মানুষ বড় বিচিত্র ভাবে বেঁচে থাকে। নিয়মিত ঢাকার রাস্তার ঘুরে বেড়ানোর কারণে এই রকম অনেক কিছু আমার চোখে পড়ে। সেগুলো দেখে মনে হয় মানুষ কত ভাবেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশ কখনো এমন করে বলতে পেরেছে কি?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৫


ভারতে গরু ও গোমাংস নিয়ে হত্যা বা সহিংসতার নির্দিষ্ট সংখ্যা বলা কঠিন কারণ এটি রাজ্য, সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং 'গরু রক্ষা' বাহিনী ইত্যাদীর কারণে একেক যায়গাতে একেক রকম। ভারত গোমাংস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×