
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্রলীগ কোনো বেতন পায় না।
কেন পাবে? তারা তো ছাত্র। শিক্ষক নয়। তবে ছাত্রলীগের নেতারা অনেক ধনী। প্রচুর টাকার মালিক হয়েছে তারা। তাদের গাড়ি, বাড়ি, ফ্লাট, ব্যাংক ব্যালেন্স সবই আছে। এই তো কয়েকমাস আগে এক ছাত্রলীগ নেতা তার নতুন কেনা ফ্লাটের জন্য একসাথে ৮৪ লাখ টাকার ফার্নিচার কিনলো। আরেক ছাত্রনেতা বউ বাচ্চা নিয়ে আমেরিকা ভ্রমণে গেলো। আরেক ছাত্রলীগ নেতা বর্তমানে লন্ডনে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেছে। মাঝে মাঝে মনে হয়- দেশটাই ছাত্রলীগের। দেশটাই আওয়ামীলীগের। আমরা দুধ ভাত।
দুদক যদি সঠিক পথে কাজ করতো তাহলে ছাত্রলীগের বহু পোলাপান জেলে থাকতো।
এমনকি আওয়ামীলীগের বহু নেতাও কারাগারে থাকতো। নব্যধনীরা অসৎ পথেই ধনী হয়েছে। যাইহোক, গত পনের বছরে ছাত্রলীগ দেশের জন্য কি করেছে? কিছুই করে নাই। করেছে মারামারি। কাটাকাটি। শেখ মুজিবের উচিত ছিলো যুদ্ধের পরেই ছাত্রলীগকে অফ করে দেওয়া। তাতে দেশের ভালো হতো। শেখ হাসিনাও ছাত্রলীগকে অফ করলেন না। ছাত্রলীগ তো মূলত জল্লাদ। ওরা প্রচন্ড হিংস্র। ছাত্রলীগের প্রধান কাজই কি মিটিং মিছিলে লোক জোগাড় করা?
মিটিং মিছিল থাকলে প্রায়ই দেখা যায় ছাত্রলীগের পোলাপান বিকট শব্দে হর্ন বাজিয়ে রাস্তা দিয়ে যায়।
স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ছাত্রলীগ দিয়ে দেশের কোনো কল্যাণ হয় নাই। ছাত্ররা কেন রাজনীতি করবে? ছাত্রদের প্রধান কাজ হচ্ছে লেখাপড়া। আর যদি রাজনীতি করতেই হয়, তাহলে আগে লেখাপড়াটা ভালো করে শেষ করতে হবে। মূলত যারা ছাত্রলীগ করে তারা দেশের জন্য ছাত্রলীগ করছে না। তারা টাকা ও ক্ষমতার জন্য ছাত্রলীগ করছে। দেশ নিয়ে ওদের কোনো লক্ষ্য নেই। শেখ মুজিবকে যখন হত্যা করা হয়, তখন কোথায় ছিলো- ছাত্রলীগ?
ভালো ছেলেরা ছাত্রলীগ করে না।
রাজনীতি করে না। ছাত্রলীগ নেতারা কিভাবে এত টাকার মালিক হলো- এর উত্তর দিবেন শেখ হাসিনা। সত্যি কথা বলতে কি দেশের জন্য কাজ করতে হলে রাজনীতি করার প্রয়োজন নেই। শুধু ইচ্ছা টুকু থাকলেই হবে। সহজ সরল সত্য কথা হলো- এই যুগটাই হচ্ছে ইতরের যুগ। লোকজন পুলিশে জয়েন করে ঘুষ খাওয়ার জন্য। সরকারি চাকরি করতে চায়- ঘুষ খাওয়ার জন্য। রাজনীতি করে সীমাহীন টাকা কামানোর জন্য। আমাদের জাতিতে ভালো মানুষ কম। ইতরের সংখ্যা বেশি। আমি তো চারিদিকে ভালো মানুষ খুঁজে পাই না। চারিদকে শুধু ইতর আর ইতর।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায়ই দেখা যায় ছাত্রলীগ নেতা হেটে যায়।
তখন তার সাথে থাকে একদল পোলাপান। কেন? ক্যাম্পাসে একাএকা হেটে গেলে কি বাঘে খেয়ে ফেলবে। নাকি ছাত্রলীগ নেতার পেছন পেছন হাটা বিরাট ভাগ্যের ব্যাপার? মাঝে মাঝে পুলিশের সাথে হেলমেট বাহিনী দেখা যায়। এই হেলমেট বাহিনী কি ছাত্রলীগ নয়? গত পনের বছরে দেশের জন্য ছাত্রলীগ কি কি করেছে তার হিসাব কারো কাছে আছে? মনে আছে আপনাদের, দিনের বেলায় একছেলেকে কিভাবে কুপিয়ে মেরেছিলো এই ছাত্রলীগ? ভয়াবহ। এরা জল্লাদের চেয়ে কম নয়। শেখ হাসিনার উচিত তাদের বলা, তোমরা লেখাপড়ায় মন দাও। দেশকে ভালোবাসো। অসৎ হয়ো না। লোভ করো না।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১:০৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




