বাড়ির কাউকে না বলে একবার পাখি শিকার করতে গেলাম;
পাশের গ্রামের মোতালেব চাচার বড় ছেলে রফিকের সাথে,
কামারগাও বাজার থেকে নৌকায় চেপে বসলাম।
তখন আমি অনেক ছোট। ক্লাশ ফাইভ বা সিক্সে পড়ি,
দাদা একবার বলেছিলেন- পাখি মারা ঠিক নারে;
কেউ কেউ উড়ন্ত পাখিকে নিরাপদে চলে যেতে দেয়।
মাঝি ধীর গতিতে নৌকা চালিয়ে নিয়ে গেল এক চরে
সেখানে রাজ্যের নির্জনতা, আর এক ঝাঁক পাখি।
রফিকের হাতের টিপ ভালো, সে দু'টা পাখি মেরে ফেলেছে।
রফিক আমার হাতে বন্ধুক দিয়ে বললো- দেখ চেষ্টা করে, পারিস কিনা।
আমি একটা বেলে হাঁস মেরে ফেললাম!
অজানা এক উত্তেজনায় কাঁপছিলাম!
একটু পরে আমার সাহস বেড়ে গেল। একটা ডাহুক মেরে ফেললাম।
বেলেহাঁস আর ডাহুক নিয়ে খুব ভাব নিয়ে বাড়ি ফিরলাম।
দাদা বললেন, পাখিরা খুব নিরীহ হয়। ওদের মারায় কোনো বীরত্ব নেই।
(উৎসর্গঃ আমি কখনও কবিতা বা গল্প কাউকে উৎসর্গ করি না।
কিন্তু আমার লেখা এই কবিতাটা আমি উৎসর্গ করতে চাই- সামুর শ্রেষ্ঠ ব্লগার চাঁদগাজী/সোনাগাজীকে। সোনাগাজীকে ফ্রন্টপেজ ব্যান ও কমেন্ট ব্যান করা হয়েছে। বিষয়টা আমাকে কষ্ট দিয়েছে। এক হিসাবে বলা যায়- এ বছরটা সোনাগাজির ব্যানে ব্যানেই গেলো! অত্যন্ত দুঃখজনক। কেন তার দিকে বারবার তীর ছোড়া হচ্ছে? ইহা অন্যায়। আমাদের সামুটাকে প্রাববন্ত করে রাখার জন্য সোনাগাজীর মতো ব্লগারের বিকল্প নাই। চাঁদগাজী/সোনাগাজী সামুর সম্পদ। এই সম্পদকে অবহেলা করা সঠিক কাজ নয়। আজ এক্ষণ সোনাগাজীকে সব রকম ব্যান মুক্ত করা হোক। সামুর একজন একটিভ ব্লগার হিসাবে এটাই আমার চাওয়া।
সোনাগাজী অন্য আটদশ জন ব্লগারের মতো নয়।
এই সামুতে চাঁদগাজী/সোনাগাজীকে প্রতিদিন হেয় করা হয়। অসম্মান করা হয়। কটু কথা বলা হয়। কখনই মডারেটকে তার জন্য কোনো রকম ভূমিকা নিতে দেখা যায় না। তাই নতুন নতুন মাল্টি নিক তৈরি হয়। তারা যা তা ভাষা ব্যবহার করে। মাঝে মাঝে মডারেটর সাহেবের পোষ্ট ও মন্তব্য গুলো দেখে মনে হয়- উনি নিজেই চাঁদগাজী/সোনাগাজীর উপর মহা বিরক্ত, মহা ক্ষেপা। সহ্যই করতে পারেন না তাকে। হ্যা আমি জানি, মডারেটরের দায়িত্বটা অনেক কঠিন। মডারেটরকে হতে হয় একদম নিরপেক্ষ। আমাদের দেশের মানুষের সমস্যা হলো- তারা অসৎ ও নীতিহীন। সোনাগাজী, আ্মি এবং আমরা ব্লগিং ভালোবাসি। প্লীজ আমাদের শান্তিতে ব্লগিং করতে দেন। আর যারা দুষ্টলোক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। জয় বাংলা।)