
সত্যিকথা বলতে কি বাংলাদেশে ২০০০ সালের পর থেকেই লেখাপড়ার মান কমতে শুরু করে।
এখন তো লেখাপড়ার মান তলানিতে এসে ঠেকেছে। একটা অনার্স পাশ ছেলে একপাতা দরখাস্ত লিখতে পারে না ইংরেজিতে। দুই লাইন গুছিয়ে কথা বলতে পারে না। দুই হাজার সালের পর থেকে দেশে নকল করার প্রবনতা অনেক বেড়ে গেছে। গত বিশ বছরে আমরা পেয়েছি প্রশ্নপত্র ফাস জেনারেশন। এই জেনারেশন নির্বোধ ও লজ্জাহীন। জ্ঞানহীন। মগজহীন। এরা লেখাপড়া বাদ দিয়ে টিকটক নিয়ে ব্যস্ত। প্রেম ভালোবাসা নিয়ে ব্যস্ত। এদের বাবা মাও যেন কেমন! জন্ম দিয়ে ছেড়ে দিয়েছে, কোনো খোজ খবর রাকগে না। এদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।
সরকারি স্কুলের লেখাপড়ার মান আগাগোড়াই খারাপ।
প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা অযোগ্য অদক্ষ। এরা শুধু মাস শেষে সেলারি নেয়। আমি নিজের চোখে দেখেছি এক সরকারি স্কুলে এক শিক্ষিকা ক্লাসে বসে কাথা সেলাই করছেন। আর ছাত্ররা দুষ্টমি করছে। বাংলদেশে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল গুলোর লেখাপড়ার মান ভালো। অনেক ভালো। তবে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল গুলোতে অনেক খবচ। দরিদ্র পিতা মাতার শেষ ভরসা সরকারি স্কুল। অন্য কোনো উপায় নেই। এদিকে ব্যাঙের ছাতার মতো প্রি ক্যাডেট স্কুল গড়ে উঠেছে। এরা শিক্ষা নিয়ে ব্যবসা করছে। সরকারের উচিত এদের থামানো। অবশ্য সরকারও লুটপাটের মধ্যেই আছে। লুটপাটের দিক থেকে সবাই এগিয়ে। ছাত্রলীগও থেমে নেই।
আমরা বিশ্বের সব দেশ থেকে পিছিয়ে আছি।
জ্ঞানে বিজ্ঞানে আমরা কোনো অবদান রাখতে পারছি না। মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা জাতিকে পেছনে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। মাদ্রাসায় কারা লেখাপড়া করে? দরিদ্র পিতা মাতার সন্তানেরা। শিক্ষা মন্ত্রীর ছেলেমেয়েরা কিন্তু মাদ্রাসায় লেখাপড়া করবে না। কোনো মন্ত্রী এমপি ও সচিবদের ছেলেমেয়েরা মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে না। যাদের কোনো উপায় নেই, তারা বাধ্য হয়ে মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে। শুধু মাত্র লেখাপড়ার কারণে জাতি পিছিয়ে আছে। লেখাপড়ার গজব অবস্থা। আমাদের দেশের মেয়েরা গার্মেন্টসে চাকরি করে। আর ভারতের মেয়েরা আমেরিকায় আইটি সেক্টর প্রায় করে ফেলেছে। সরকারের উচিত শিক্ষা ও কৃষিতে মনোযোগ দেওয়া। এত এত ব্রীজ, এত এত রাস্তা, সেতু আর মেট্রোরেল দিয়ে কি হবে, যদি প্রজন্ম হয় জ্ঞানহীন। বিদেশীরা এসে পদ্মাসেতু বানালো, মেট্রোরেল বানালো, টার্মিনাল বানাচ্ছে। আর আমাদের সোনার ছেলেরা টিকটক নিয়ে ব্যস্ত।
১৯৭২ সাল থেকেই আমাদের দেশে সবার জন্য শিক্ষা ফ্রি করে দেওয়া দরকার ছিলো।
কিন্তু শেখ মুজিব সেটা করেন নাই। এমনকি তার কন্যা শেখ হাসিনাও সেটা করেন নাই। প্রতিটা মানুষের জন্য শিক্ষাই সম্পদ। নারী শিক্ষায় বাংলাদেশ খুব বেশি পিছিয়ে আছে। এর কারণ অবশ্য ধর্মীয়। ধর্মীয় শিক্ষা এযুগে অচল। দেশে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি গুলো লেখাপড়ার বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে। ভরতি হলেই পাশ। বিবিএ, এমবিএ দিয়ে দিয়ে দেশ ভরে গেছে। তাহাদের লউয়া জাতি কি করিবে?এত এত কোরানে হাফেজ দিয়া জাতি কি করিবে! গোজামিল দিয়ে পাশ করে এরা চাকরি জীবনে সমস্যায় পড়ে। সারা জীবন মানবেতর জীবনযাপন করবে। যে জাতি হিরো আলম, জায়েদ খান, আজহারী মাজহারীদের কে আদর্শ মনে করে, বুঝুন তাদের মগজের অবস্থা। দু:খজনক। প্রচন্ড দু:খজনক।
যারা দেশের জন্য লেখাপড়া করে তারা সম্মানিত।
আর যারা নিজের জন্য অর্থাৎ চাকরির জন্য পড়ালেখা করে তারা আসলে দেশের ক্ষতি করে। তারা দেশের মেরুদণ্ডটাকেই নড়বড়ে করে দেয়। উন্নত বিশ্বে একটা ক্লাশ টেন এর ছেলেমেয়ে যা জানে, আমাদের দেশে একটা মাস্টার্স পাশ ছেলেমেয়ে সেটুকু জানে না। দেশের উন্নয়ন করতে হলে, লেখাপড়ার বিকল্প নেই। আমাদের দেশ হলো শত সমস্যার দেশ। এবং সব সম্ভবের দেশ। ঢাকার দুই মেয়ের আজও ফুটপাত দখল মুক্ত করতে পারেননি। কারম বুদ্ধিমত্তা অভাব। আওয়ামীলীগের নেতারা টাকার পাহাড় বানিয়েছে। অথচ শেখ হাসিনা চুপ। দেশে বেকারের সংখ্যা বেড়েছে। ভিক্ষুকের সংখ্যা বেড়েছে। দরিদ্র অসহায় মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। ছিন্নমূল মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। অথচ সরকার সমানে গলাবাজি করেই যাচ্ছে দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে। উন্নয়নের মহাসড়কে শুধু মন্ত্রী, এমপি ও তাদের ছত্রছায়ায় থাকা লোকজন গুলো।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১:০৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



