
আগে আপনাকে ঠিক করতে হবে-
আপনি কি ভালো মুসলিম হবেন না ভালো মানুষ হবেন? মুসলিম হওয়া সহজ কিন্তু ভালো মানুষ হওয়া অনেক কঠিন। একজন বিজ্ঞানী হওয়া কঠিন কিন্তু কোরানে হাফেজ হওয়া সহজ। অল্প বয়সী বাচ্চা ছেলেরা কোরানে হাফেজ হয়ে যায়। ধার্মিক বা মুসলমানদের একটা মাত্র গ্রন্থ আল কোরান। কিন্তু জ্ঞানী হতে হলে অর্থাৎ জ্ঞান অর্জন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য বই পড়তে হবে। সহজ সরল থাকুন। বিপদে আপদে মানুষের পাশে থাকুন। ভালো কর্ম করুন। সত্য কথা বলুন। নিজের পরিবারের প্রতি যা দায়িত্ব সেটা পালন করুন। এরপর দেশ বা সমাজের জন্য ভালো কিছু করুন। আপনি মুসলমান না হিন্দু সেটা বড় কথা নয়। আপনি কি কর্ম করছেন সেটাই আসল। আপনি মানুষ হয়ে জন্মেছেন। তাই আপনার কিছু দায়দায়িত্ব আছে।
ভালো মুসলিম হয়ে কি করবেন?
শুক্রবার জুম্মার নামাজ পড়বেন রাস্তা আটকে?
বেসিনের উপর পা তুলে ওজু করবেন? মসজিদে প্রস্বাব করে সকলের সামনে কুলুপ করবেন অর্থাৎ সকলের সামনে পায়জামার ভিতরে হাত ঢুকিয়ে নুনু ঘষবেন? মুখ ভরতি দাড়ি রাখবেন? নামাজ পড়তে পড়তে কপালে স্থায়ী কালো দাগ বসিয়ে ফেলিবেন? শিবির হয়ে মানুষ রগ কাটবেন? দিনেদুপুরে মানুষ কুপিয়ে মারবেন? মেয়েদের লেখাপড়া বন্ধ করে দিবেন? আপনার মা বোন, স্ত্রী এবং কন্যাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে বোরকা পড়াবেন? জংগী হবেন? জিহাদ করবেন? দেশকে আফগানিস্তান বানাবেন? তালেবানদের মতো চিন্তা ভাবনা করবেন? কথায় কথায় আলহামদুলিল্লাহ, মাশাল্লাহ বলবেন? দূর্নীতির টাকায় হজ্ব করবেন। ন্যায় নীতির কথা বলবেন? ধার্মিকেরা ভয়ংকর হয়। হিংস্র হয়। সেই সাথে তারা প্রচন্ড নির্বোধ হয়। খেয়াল করে দেখবেন ওয়াজ মাহফিলে কি সব ফালতু কথা বলা হয়, অযোক্তিক। হুজুরদের কথা ও চিন্তা ভাবনায় কোনো লজিক নেই।
কি করবেন ভালো মুসলিম হয়ে?
বছরে একবার জাকাত দিবেন? অনেক গুলো বিয়ে করবেন? স্কুল বন্ধ করে দিয়ে মাদ্রাসা করবেন? ওষুধ বাদ দিয়ে পানিপড়া খাবেন? দুনিয়াতে থেকে বেহেশতী হুরের কথা ভাববেন? হজ্ব করে নামের শুরুতে হাজী লাগাবেন? নাকি অনেকবার হজ্ব করে নামের শুরুতে আলহাজ্ব লাগাবেন? মুসলিম হয়ে পাকিস্তান আর আফগানিস্তানকে সাপোর্ট করবেন? মুসলিম হয়ে মাদ্রাসায় বাচ্চা ছেলেদের বলাৎকার করবেন? ধর্ম মূলত ব্যবসা। মূর্খদের দেশে ধর্ম হচ্ছে আফিম। আফিমে বুধ হয়ে আছে মূর্খ জনগোষ্ঠী। আজকের আধুনিক বিশ্ব কোনো নবী রাসূল এসে করে দিয়ে যায়নি। আকাশ থেকে ফেরেশতা নেমে কিছু করে দিয়ে যায়নি। সব করেছে মান্য। মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল। ইন্টারনেট, মোবাইল ফোন, রকেট ইত্যাদি আবিস্কারে মুসলমানদের কোনো ভূমিকা নেই। মুসলিমরা কোরআন পড়াকেই অনেক কিছু মনে করে। ইহকালে কোরআন পড়ে কি উপকার হয় মানুষের? ভালো করে কোরআনের বাংলা অনুবাদ পড়ে দেখুন। সেখানে কি লেখা আছে। আর সেইসব লেখা দিয়ে দেশ বা সমাজের কি উপকার হয়।
মুসলিম হওয়ার দরকার নাই।
আপনি তো জন্ম সুত্রেই মুসলমান। মানুষের আসল পরিচয় সে মানুষ। পারলে একজন ভালো মানুষ হোন। সহজ সরল স্বচ্ছ পবিত্র ভালো মানুষ। অহংকার থাকবে না, লোভ থাকবে না। সবাই ডাক্তার হবে, ইঞ্জিনিয়ার হবে, পাইলট হবে, বিজ্ঞানী হবে। কিন্তু কেউ বলে না, আমি মানবিক এবং হৃদয়বান মানুষ হবো। চারিদিকে মসজিদ আর মসজিদ। মুসলমানরা নামাজ পড়ে। তারপর দূর্নীতি করে। নামাজিরা অর্থাৎ মুসলিমরা বেশি অসৎ। মুসলিরা সব কিছুতেই পিছিয়ে আছে। কারণ তাদের ধর্ম গ্রন্থ অনেক পুরোনো। এদিকে বিশ্ব এগিয়ে গেছে। বিজ্ঞান তো ধর্মকে কোনঠসা করে দিয়েছে। মানুষকে হতে হবে আধুনিক। চিন্তা ভাবনা হবে আধুনিক। ধর্ম না জানলে কোনো ক্ষতি নাই। সামন্ত যুগে আবিষ্কার এই ধর্ম। যা সম্পূর্ণ রুপকথা। পুরো কোরআন মুখস্ত করে ফেকলেও আপনি একটা ভালো চাকরি পাবেন না। আপনাকে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। মাদ্রাসার শত শত ছেলে গুলো সারা জীবন মানবেতর জীবনযাপন করে।
সমস্যা হলো মুসলিমরা শুধু মুসলিম। আজও মানুষ হতে পারেনি। মুসলিম হওয়ার আগে ভালো 'মানুষ' হতে হবে। একজন ভালো মানুষ ধার্মিকের চেয়ে অনেক উন্নত। তাই আগে ধার্মিক বা ভালো মুসলিম হওয়ার আগে আপনাকে একজন ভালো মানুষ হতে হবে। মুসলিম দেশ গুলোতে অন্যায় অবিচার বেশি হয়। ওয়াজকারীরা তো মুসলিম। ওয়াজকারীরা ভন্ড। ওরা জাস্ট ধর্ম ব্যবসায়ী। মূলত মুসলিমরা ঠক প্রতারক। মুসলিমদের জ্ঞান অতি সস্তা। তাদের জ্ঞান দিয়ে দেশ বা সমাজের উপকার সম্ভব নয়। কিন্তু একজন ভালো মানুষ দেশের সম্পদ। মুসলিমরা দেশের বোঝা। মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া উচিৎ। উন্নত দেশ গুলোতে ধর্মের কোনো দাম নেই। তারা বোকা মানুষের মতো ধর্ম আকড়ে ধরে নেই। বাংলাদেশে ধর্ম দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা হয় না। দেশ চলে সংবিধান অনুযায়ী। রুপকথার দিন শেষ। মাছের পেটে চলে যাওয়া, বোরাকে করে আসমান ভ্রমণ, লাঠি সাপ হয়ে যাওয়া।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



