
সহজ সরল সত্য কথা হলো- সেই ৫৭০ সালে বিশ্ব জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নত ছিলো না।
আরবের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ ছিলো। একদম গজব অবস্থা। তখন মেয়েদের শুধু ভোগ করা হতো। এজন্য অনেক বাবা মা কন্যা সন্তান জন্ম হলে মেরে ফেলতো। নয়তো কুয়ার মধ্যে ফেলে দিতো। কারন মেয়েটা বড় হলে আনন্দ নিয়ে বেচে থাকতে পারবে না। আরবদের নারী চিন্তা ভয়াবহ। নবীজি ছাড়া কেউ নারীদের নিয়ে ভাবেনি। দিনে দুপুরে নারী বেচাকেনা হতো! তাহলে বুঝুন আরবের অবস্থা। একটা কাফেলা যাচ্ছে, আচমকা কাফেলা আক্রমণ করা হলো। দামী জিনিসপত্রের সাথে নারীদের তুলে নেওয়া হতো। তারপর জিনিসপত্রের সাথে নারীদের ভাগ করে নেওয়া হতো।
নবীজি এবং তার সাহাবীরা লেখাপড়া করেননি।
অবশ্য সেই সময় আরবে লেখাপড়ার বালাই ছিলো না। লেখাপড়া কি করবে, তিনবেলা পেট ভরে যে খাবে সেই উপায়ও ছিলো না। চারিদিকে অভাব। দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বেশি। নবীজি নিজেও দরিদ্র ছিলেন। জন্মের আগেই নবীজির বাবা মারা যান। মা ছিলেন ভীষণ অসুস্থ। অল্প বয়সে নবীজি ভেড়া চড়ানোর দায়িত্ব কাধে তুলে নেন। প্রখর রোদের মধ্যে ভেড়া চড়াতে হতো। নবীজি জানতেন ভেড়া চড়ানোর কাজ তাকে বেশি দিন করতে হবে না। আরবের লোকজন তাকে মাথায় নিয়ে নাচবে। আরবের বহুলোক মূর্তি পূজা করে এটা নবীজির খুব অপছন্দ করতেন। পাথরের মূর্তিকে পূজা করার কিছু নেই। মূর্তিকে প্রভু ভাবার কিছু নেই। নবীজি মনে মনে ভেবে নিলেন আরব জাতিকে আমি মোহাম্মদ লাইনে নিয়ে আসবো।
নবীজি যে ব্যবসা করবেন সেই টাকা ছিলো না।
তাই বাধ্য হয়ে নবীজি একজন বয়স্ক বিধবা ধনী মহিলা বিয়ে করেন। এই মহিলা আগেও বিয়ে হয়েছিল। বাচ্চাকাচ্চাও আছে। নবীজির আর্থিক অবস্থা যখন ভালোর দিকে যেতে শুরু করলো, নবীজি আরো কয়েকটি বিয়ে করেন। সাহাবীরা ছায়ার মতো নবীজির সাথে থাকতেন। নবীজির কথা শুনতে তাদের ভালো লাগতো। নবীজির সান্নিধ্য সাহাবীরা পছন্দ করতেন। সাহাবীরা জ্ঞানী ছিলেন না। তাদের মনে প্রশ্ন জাগলে তারা নবীজির কাছ থেকে প্রশ্নের উত্তর জেনে নিতেন। নবীজি সহ তার সাহাবীরা এরিস্টটল কিংবা গৌতম বুদ্ধের নাম শুনেন নাই। এজন্য কোরআন হাদিসে মহামতি এরিস্টটল এবং বুদ্ধের নাম আসে নাই। ফেরাউন এর নাম এসেছে। নবীজির সহি হাদিস সংখ্যা অনেক কম। কোটি কোটি হাদিস থাকলে আমাদের জন্য অনেক সুবিধা হতো। কোরআন শরীফে স্পষ্ট বলা হয়েছে নবীজিকে ফলো করতে। মুসলমানদের জন্য আদর্শবান ব্যাক্তি একজনই। তিনি হচ্ছেন মুহাম্মদ।
আরবে নবীজি সবার আগে উচ্চারণ করেন, নারীদের সম্মান দিতে হবে।
নারীরা বাবার সম্পত্তির ভাগ পাবে। নারীরা প্রয়োজনে চাকরি বা ব্যবসা করতে পারবে। নারীরা শুধু ভোগের পন্য নয়। তাদের স্বাদ আহ্লাদ আছে। তাদের স্বপ্ন আছে। মায়ের পায়ের নিচেই সন্তানের বেহেশত। নবীজি নারীদের জন্য দেন মোহর ঠিক করে দিলেন। নারীদের শিক্ষার কথা বললেন। নবীজির কথা শুনে সাহাবীরা তাদের স্ত্রীর সাথে ভালো আচরণ করতেন। নারীদের দেখলে আরবের পুরুষের মাথা ঠিক থাকতো না। তাই নবীজি পরামর্শ দিলেন, নারীরা কালো কাপড় দিয়ে তাদের পুরো শরীর ঢেকে রাখবে। নারীরা পরপুরুষের সামনে যাবে না। নবীজি বলেছেন, আল্লাহ খুশি হলে বৃষ্টি দেন। আর খুব খুশি হলে কন্যা সন্তান দান করেন। সূরা বাকারায় একটা আয়াত আছে, তাতে বলা হয়েছে স্ত্রীকে প্রহার করো। খেয়াল রাখতে হবে যেন শরীরে দাগ না বসে যায়। সূরা বাকারায় আরেকটা আয়াত আছে, সেখানে নারীদের উদ্দেশ্য বলা হয়েছে, স্বামী ডাকলে রান্না ফেলে দৌড়ে যেতে হবে সহবাস করার জন্য।
নবীজি নবুয়াত প্রাপ্তির পর আরবের নারীরা সুন্দর জীবন যাপন করতে পেরেছে।
নতুন কোনো সমস্যা সামনে এলে, নবীজি হেরা গুহায় চলে যেতেন। ধ্যান করতেন। আল্লাহ ফেরেশতার মাধ্যমে বার্তা পাঠিয়ে দিতেন। এইভাবেই বার্তা জমে জমে আমরা কোরআন শরীর পাই। দুনিয়ার সব সমস্যার সমাধান কোরআন শরীফে আছে। আমার যখন খুব অস্থির লাগে তখন আমি কোরআন পড়ি। একেক দিন একেক সূরা পড়ি। আমার অশান্ত মন শান্ত হয়ে যায়। আফসোস আমাদের দেশ কোরআনের নিয়ম অনুযায়ী চলে না। দেশ চলে সংবিধান অনুযায়ী। দুনিয়া বদলে গেছে, নবীজির দেশ সৌদিতে বার আছে, সিনেমা হল করা হয়েছে, কনসার্ট করা হচ্ছে। মেয়েরা গাড়ি চালাচ্ছে। দু:খ হয় আমার। আমার নবীজির দেশ বদলে গেছে। ইসলামে যা যা নিষিদ্ধ আজ সেসব হচ্ছে। গান বাজনা হচ্ছে, ছবি আকা হচ্ছে, মদ জুয়া চলছে, নারীদের বিবস্ত্র করা হচ্ছে, বিবাহ ছাড়াই নারী পুরুষ একসাথে থাকছে। বড় কষ্ট হয় আমার।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


