
শেখ হাসিনার অপরাধ কেন সে পদ্মাসেতু করলো।
শেখ হাসিনার অপরাধ কেন সে মেট্রোরেল করলো। শেখ হাসিনার অপরাধ কেন সে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে করলো। শেখ হাসিনার অপরাধ কেন সে দেশকে ডিজিটাল করলো। বিদ্যুতের জন্য কম কষ্ট করি নাই আমরা। সারাদিন রোজা রেখে সন্ধ্যায় ইফতার করার সময় বিদ্যুৎ চলে যেত। শেখ হাসিনার আমলে বিদ্যুৎ নিয়ে কোনো অশান্তি হয়নি। আসলে শেখ হাসিনার অপরাধের শেষ নেই। এই দেশের জন্য যারা ভালো কাজ করবে, তাদের করুন পরিনতি হবে। শেখ মুজিবের কথা ভেবে দেখুন, কি করুন মৃত্যু হলো। পাকিপ্রেমীরা চালাকি করে শেখ হাসিনাকে সরিয়েছে।
শেখ হাসিনা দেশে নেই বলেই, আজ ভারতের সাথে আমাদের খারাপ সম্পর্ক হয়েছে।
শেখ হাসিনা আজ দেশে নেই বলেই, জামাত শিবির এত উজাইছে। শেখ হাসিনা আজ দেশে নেই বলেই, বিএনপি তাদের অতীত ভুলে গেছে। শেখ হাসিনা আজ দেশে নেই বলে, ছাত্ররা লেখাপড়া বাদ দিয়ে নেতাগিরি করছে। নিজেদের নাম দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী। শেখ হাসিনা নেই বলে আজ দেশে চুরী, ডাকাতি বেড়ে গেছে। শেখের বেটি শক্ত হাতে দেশ পরিচালনা করেছেন। জামাত শিবির উচ্চবাচ্য করতে পারেনি। দাগী আসামীরা কারাগার থেকে বের হতে পারেনি। সমস্ত দুষ্ট ইদুরেরা লুকিয়ে ছিলো গর্তে। সেই সব ইদুর আজ বিষাক্ত সাপ হয়ে বের হয়েছে। তারা জাতিকে শেষ করে দিবে।
হ্যা আওয়ামীলীগের অনেক দোষ আছে।
তাদের দলের নেতারা দূর্নীতি করেছে। তিনি তাদের থামান নাই। ছাত্রলীগ অতি মাত্রায় করেছে, তিনি তাদের থামান নাই। তার দলের কিছু লোকের জন্য তার আজ এই অবস্থা। তিনি দলের প্রধান, দেশের প্রধান। তার উচিৎ ছিলো সব দিকে লক্ষ্য রাখা। তার সময়ে দেশে লেখাপড়ার মান অনেক নীচে নেমে গেছে। ব্যাঙের ছাতার মতো মানহীন প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি হয়েছে। অযোগ্য অদক্ষ লোকেরা কোটিপতি হয়েছে। তিনি সেদিকে নজর দেন নাই। তার সময়ে দেশে মন্দ যা ঘটেছে তার দায়ভার তো তাকেই নিতে হবে। সমাজের জন্য সবচেয়ে খারাপ হচ্ছে চাটুকারেরা। তাকে সব সময় ঘিরে থাকতো চাটুকারেরা। এই সমস্ত চাটুকারীরাই তার সর্বনাশ করেছে।
শেখ হাসিনা অবশ্যই দেশে ফিরবেন।
তার অসমাপ্ত কাজ গুলো শেষ করবেন। জামাত শিবির আর বিএনপির চেয়ে আওয়ামী লীগ ভালো। আওয়ামী লীগের আমলে অনন্ত দেশের উন্নয়ন হয়। বারবার দূর্নীতিতে দেশ চ্যাম্পিয়ন হয় না। বর্হিবিশ্বের সাথে আমাদের সম্পর্ক ভালো থাকে। শেখ হাসিনা দয়ার সাগর। লাখ লাখ রোহিংগাদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। রাজাকারদের বিচার করেছেন। দেশকে কলংক মুক্ত করেছেন। শেখ মুজিবের খুনীদের বিচার করেছেন। জংগীদের শক্ত হাতে দমন করেছেন। কিনা করেছেন তিনি দেশের জন্য। তার অবদান অস্বীকার করলে আমরা জাতি হিসেবে ছোট হয়ে যাবো। বৈষম্যবিরোধীরা মূলত শিবির। ওদের পরিচালনা করছে জামাত।
মূলত শেখ হাসিনাকে পরিকল্পিত ভাবে দেশ থেকে সরানো হয়েছে।
এখানে সবচেয়ে বড় হাত আমেরিকার। তারপর জামাত শিবির। আর জামাত শিবিরকে সাপোর্ট করেছে বিএনপি এবং আর্মিরা পর্যন্ত ওদের সাপোর্ট করেছে। সেদিন যদি শেখ হাসিনা ভারত না যেতো তাহলে তাকে নির্মম ভাবে হত্যা করা হতো। পুরো ঘটনায় ছাত্রদের ব্যবহার করা হয়েছে। কঠিন এক ঘুটি খেলতে সক্ষম হয়েছে জামাত শিবির। জামাত ক্ষমতায় এলে দেশ হয়ে যাবে আফগান। নারীদের করুন পরিনতি হবে। আর বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশের উন্নয়ন বন্ধ হয়ে যাবে। নতুন নতুন কালু মালু ফালুর জন্ম হবে। তারা দেশকে লুটেপুটে শেষ করে দিবে। এখন যারা উপদেষ্টা আছেন, তাদের চার মাস হয়ে গেছে। একটা ভালো কাজ এখন পর্যন্ত তারা করে দেখাতে পারেন নাই। প্রধান উপদেষ্টার উচিৎ ছিলো, যে বা যারা শেখ মুজিবের ভাস্কর্য ভেঙেছে, ভাস্কর্যের গায়ে মুতে দিয়েছে এবং ৩২ নম্বরের বাড়িতে আগুন দিয়েছে তাদের বিচারের মুখোমুখি করা। তিনি এই কাজটি করেন নাই। কোনো একদিন এজন্য তার বিচারের মুখোমুখি হতে হইবে।
শেখ হাসিনা অপরাধটা কি করেছেন?
উনাকে ফাসানো হয়েছে। উনার দলেই কিছু মীর জাফর ছিলো। তাদের অতি লোভের কারণে আজ আওয়ামী লীগের এই অবস্থা হয়েছে। শেখ হাসিনা আর দশটা বছর ক্ষমতায় থাকলে আমাদের দেশটা বদলে যেতো। কিন্তু পাকিপ্রেমী শকুনেরা তাকে থাকতে দিলো না। এক সময় এই জাতি শেখ হাসিনার জন্য কপাল চাপড়াবে। হায় হায় করবে। আমাদের দেশ স্বাধীন হয়েছে ৫৩ বছর হয়ে গেছে। কোনো সরকার দেশের জন্য কাজ করে নাই। একমাত্র দেশের উন্নতি করেছেন শেখ হাসিনা। ভারত আমাদের বন্ধু। পাকিস্তান আমাদের বন্ধু নয়। পাকিস্তান কোনোদিন আমাদের ভালো চায়নি। সুযোগ পেলেই পাকিস্তান আমাদের ক্ষতি করবে। এই দেশকে কিছু মানুষ সত্যিই ভালোবাসে। তারা এই দেশকে জাহান্নাম বানাতে দিবে না। বাংলা মায়ের কিছু সাহসী দামাল ছেলে জামাত শিবিরকে অবশ্যই রুখে দিবে। জয় বাংলা।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।

