
কী জঘন্য কাজ। কত বড় বেয়াদব। অমানুষ।
একটা বাড়ি ভেঙে গুড়িয়ে দিলো! তাও আবার গ্রেট শেখ মুজিবের বাড়ি! এর আগে ভাস্কর্য ভেঙে, মুতে দিয়ে মন ভরেনি। এত বড় অন্যায়! দেশে কি কোনো আইন নেই? দেশটা জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এই ইউনুস সাহেবই কি শান্তিতে নোবেল পেয়েছিলেন? তার এই অধপতন! তার কারনেই আজ এই অবস্থা। সেনাবাহিনী পর্যন্ত তাদের থামাতে পারলো না। ওরে হায়েনার দল! ইতিহাস কি মুছে ফেলা যায়? দেশের সাধারণ মানুষকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। শাওন কি অন্যায় করেছে? অত্যন্ত দু:খজনক। সমন্বয়ক গুলোর কি সাহস ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ভয়ভীতি দেখায়।
দেশের সচেতন ও শিক্ষিত জনগোষ্ঠী হতবাক!
তার মানে দেশে আইন নেই। গজব অবস্থা। বিনা দ্বিধায় বলা যায়, এই সমস্ত কাজ করেছে জামাত শিবির। ৭১ সালেও জামাত শিবির ভয়ংকর ছিলো, আজ তারা আরো ভয়ংকর হয়েছে। ৭১ এর পরাজয়ের প্রতিশোধ নিচ্ছে জামাত শিবির। প্রতিটা সেক্টরে জামাত শিবিরের লোক। ইউনুস সাহেব আপনি কেন বুঝতে পারছেন না, অন্যায় অন্যায়ই, সেটা আপনি বা আমি যে-ই করুক না কেন। ধরে নিলাম, আওয়ামিলীগ সব ভুল করেছে, এখন আপনারা কি সব সঠিক কাজ করছেন? বৈষম্যবিরোধীরা ছাত্র নয়, সন্ত্রাস। শিবির। দেশে অরাজকতা চলছে। খুন হচ্ছে, চুরী হচ্ছে, ছিনতাই হচ্ছে, ডাকাতি হচ্ছে, সেসব থামান। আওয়ামী লীগের বদনাম করা ছাড়া কি আপনাদের আর কোনো কাজ নেই? আওয়ামী লীগের অনেক অবদান এই দেশের জন্য। সে মুছে ফেলতে পারবেন না। পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মডেল মসজিদ ইত্যাদি। এগুলো কি ভেঙে ফেলবেন?
ওরা থানায় আগুন লাগিয়েছে, অস্ত্র লুট করেছে,
পুলিশ হত্যা করেছে, কারাগার থেকে আসামি নিয়ে গেছে, মিরপুর দশ নম্বরের মেট্রোরেল স্টেশন ধ্বংস করেছে, গণভবন লুট করেছে। ইউনুস সাহেব ক্ষমতা হাতে নিয়ে এইসব দুষ্ট লোকদের গ্রেফতার করেন নাই। ফলাফল তারা ৩২ নম্বর ভেঙে দিলো, গুড়িয়ে দিলো। এমনকি আরো অনেকের বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। সামনের দিন গুলোতে ওরা দেশের আরো ক্ষতি করবে। যারা এসব কাজ করেছে তারা অবশ্যই বেজন্মা। ওরা দেশের জন্য ক্ষতিকর। সেনাবাহিনী গত ছয়মাসে কোনো দক্ষতার পরিচয় দিতে পারেনি। বগুড়ার টাউন ক্লাব ভেঙে ফিলো। যারা এই ধ্বংসের খেলায় মেতেছে দয়া করে তাদের ছাত্র জনতা নাম দেবেন না। তারা জামাত শিবির। তারা জল্লাদ। তারা সন্ত্রাস। তারা হায়েনা। হাসিনা থাকতে এইসব জামাত শিবির জংগীরা গর্তে লুকিয়ে ছিলো। আমি রাজনীতি করি না। কোনো দলও করি না। কাজ করি ভাত খাই। কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশে যা হচ্ছে ভালো হচ্ছে না। ইহা অন্যায়। এই অন্যায় থামাতে হবে। আওয়ামী লীগের যেসব নেতাকর্মী অন্যায় করেছে তাদের শাস্তি দিন। কিন্তু দয়া করে দেশের সম্পদ ধ্বংস করবেন না।
বলছেন, ব্যাংক লুট হয়েছে, যখন ব্যাংক লুট হলো তখন কেন প্রতিবাদ করেননি?
বলছেন, দূর্নীতি হয়েছে, যখন দূর্নীতি হলো, তখন কেন প্রতিবাদ করেননি। যখন গুম খুন হয়েছে, তখন কেন প্রতিবাদ করেননি? আওয়ামী লীগ অন্যায় করলে, অবশ্যই তাদের শাস্তি হবে। তাই বলে এমন ভাংচুর করতে হবে? এই দেশের প্রতি জামাত শিবিরের কোনো ভালোবাসা নেই। বর্তমানে যারা উপদেষ্টা আছেন, এরা এখন পর্যন্ত দেশের জন্য একটা ভালো কাজ করতে পারেন নাই। যদিও দেশবাসীর ইউনূসের উপর আস্থা ভরসা ছিলো। কিন্তু ইউনূস গং জাস্ট পাকিস্তানের প্রেতাত্মা। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ব্যর্থ। ইউনুস সাহেব এবং সেনাবাহিনী চাইলেই দেশের অরাজকতা বন্ধ করা সম্ভব। তারা তাদের দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করছে না। স্বাধীনতা পক্ষের লোকজন যদি রাস্তায় নামে তাহলে এইসব বৈষম্যবিরোধী আর সমন্বয়করা কিন্তু পালানোর পথ পাবে না।
চারিদিকে অসুস্থ পরিস্থিতি।
যারা দেশের সম্পদ নষ্ট করে, তাদেত একটাই পরিচয় তারা বেজন্মা। এদের দেশ থেকে বিতাড়িত করতে হবে। হবেই। দেশে এখন যা হচ্ছে সব জামাতের চক্রান্ত। ওরা পাকিস্তানের কথা মতো কাজ করছে। যাদেরকে আপনারা ছাত্র মনে করছেন, বৈষম্যবিরোধী এরা ভয়ংকর শিবির। এরা পাকিস্তান থেকে ট্রেনিং নেওয়া জল্লাদ। এদের আন্ডারে হাজার হাজার রাজাকার মানসিকতার ছেলে আছে। এরা দেশকে অন্ধকারে নিয়ে যাবে। ছাত্রদের কাজ লেখাপড়া করা। ভাড়ায় খাটা না। মুক্তিযুদ্ধের সৃতি মুছে ফেলা না। কারা ওদের ভুলভাল বুঝিয়ে লেলিয়ে দিয়েছে? দেশে শান্তির জন্য হাসনাত আর সারজিস কে গ্রেফতার করুন। সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ায় মন দিতে বলুন। দেশে আমাদের পরিবার নিয়ে শান্তিতে বসবাস করতে দিন। আল্লাহর দোহাই লাগে। ৩২ নম্বর আবার নতুন করে গড়ে উঠবে। সবকিছু পুড়ে শেষ হওয়ার পর, আবার নতুন করে তৈরি হবে। দেরী হোক, যায়নি সময়।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


