
সমালোচনা করা নাগরিক দায়িত্ব।
সমালোচনা করা খারাপ কিছু নয়। সমালোচনা হোক প্রতিবাদের হাতিয়ার। সমস্ত অন্যায়ের বিরুদ্ধে সমালোচনা করুন। গীবত আর সমালোচনা এক না। গীবত করা খারাপ। ধর্ম গীবত করতে কঠিন ভাবে নিষেধ করেছে। ভালো কাজের সমালোচনা করার কিছু নেই। সাধারণত শিক্ষিত ও মানবিক জনগোষ্ঠী মন্দ কাজ গুলোর সমালোচনা করে। দু:খের বিষয় এখন মানুষ সমালোচনা করে ফেসবুকে। সমালোচনা নয় ফেসবুকে তারা শুধু নিন্দে করে। ফেসবুক মানুষকে আত্মকেন্দ্রিক করে দিয়েছে। সমালোচনা করেই আমাদের চাঁদগাজী/সোনাগাজী আজ ব্যান। অত্যন্ত দুঃখজনক। সোনাগাজী না থাকাতে সামুতে এসে আনন্দ পাচ্ছি না। অগা মগা জগা সামুতে থাকবে, লিখবে, আর একজন মুক্তিযোদ্ধা সামুতে থাকতে পারবে না? লিখতে পারবে না? উনার মতো সজ্জন ব্যাক্তি সামুতে আর কয়জন আছে? আমার ভীষন খারাপ লাগছে।
একটা কবিতা আছে-
"নিন্দুকেরে বাসি আমি সবার চেয়ে ভালো, যুগ জনমের বন্ধু আমার আঁধার ঘরের আঁলো।" গ্রেট রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন। ফেসবুকে লোকজন প্রচুর সমালোচনা করে। সমালোচনা করতেও যোগ্যতা লাগে। অযোগ্য লোক যখন সমালোচনা করে তখন মেজাজ অত্যাধিক খারাপ হয়। অশিক্ষিত মানুষ সমালোচনা করতে পারে না। সমালোচনার মধ্যে লজিক থাকতে হয়। সমালোচনার নামে অযথা হাউকাউ করে লাভ নেই। এই যে শেখ মুজিবের বাড়ি ভেঙে ফেলা হলো। এটা অন্যায় হয়েছে। আওয়ামী লীগ অন্যায় করলে দেশের আইন অনুযায়ী তাদের শাস্তি হবে। কিন্তু বাড়ি ভেঙে ফেলা বিরাট অন্যায় হয়েছে। আমি অযথা হাউকাউ না করে এই অন্যায়ের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছি। বৈষম্যবিরোধী আর সমন্বয়করা একের পর এক অন্যায় করে যাচ্ছে। ইউনূস সাহেব এবং সেনাবাহিনী তাদের থামাচ্ছে না। যে লোকটা ব্লগ ভালোবাসে, তাকে ব্লগে থাকতে দেওয়া হলো না। এ যে ভীষন অন্যায়।
আমাদের নবীজিকে লোকে সমালোচনা করেছেন।
বিশ্বের শ্রেষ্ঠ মানবকেও সমালোচনা সহ্য করতে হয়েছে। মহা জ্ঞানী এরিস্টটল, আইনস্টাইন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মাদার তেরেসা গ্রেট সব মানুষদের সমালোচনা করা হয়েছে। সমাজের মানুষ গুলো এরকম ভালো কাজ করলেও সমালোচনা করে, মন্দ কাজ করলেও সমালোচনা করে। বাঙালি জাতি সমালোচনা ছাড়া এক মুহুর্ত থাকতে পারে না। পশ্চিম বঙ্গের লোকেরাও প্রচুর সমালোচনা করে। যারা অন্যায় করে তাদের শাস্তি পেতেই হবে। প্রকৃতি কাউকে ক্ষমা করে না। ভালো কাজ নিয়ে আলাপ আলোচনা হলে, লোকজন ভালো কাজ করতে উৎসাহ পাবে। মন্দ কাজ নিয়ে সমালোচনা হলে মানুষ মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকবে। সমালোচনা কে ভয় পাওয়া যাবে না। বাধা বিপত্তি আসবেই, তবুও সামনে এগিয়ে যেতে হবে। আমার ধারনা ব্লগটিম তাদের ভুল বুঝতে পারবে। এবং তারা চাঁদগাজী/সোনাগাজীকে ফিরিয়ে আনবেন লাল গালিচা সংবর্ধনা দিয়ে। আমি সেই অপেক্ষায় আছি।
যুগটাই বদলে গেছে।
ধরুন, একটা মসজিদ বা মন্দির ভেঙে ফেলা হলো। অথবা একটা লাইব্রেরি ভেঙে ফেলা হচ্ছে। মসজিদ, মন্দির, লাইব্রেরি ভেঙে ফেলা কখনই ভালো কাজ নয়। অথচ তখনো দেখিবেন, এক দল বলবে, হ্যা মসজিদ/মন্দির ভেঙে ভালো হয়েছে। আরেকদল বলবে, মসজিদ/মন্দির ভেঙে মহা অন্যায় করা হয়েছে। দুই দল মিলে তুমুল সমালোচনায় মেতে ওঠে। কাজেই আপনি ভালো কাজ করলেও লোকে সমালোচনা করবে, মন্দ কাজ করলেও লোকে সমালোচনা করবে। সেই কবে রবীন্দ্রনাথ আর কাদম্বরী দেবী মারা গেছেন। অথচ আজ লোকজন রবীন্দ্রনাথের সাথে কাদম্বরী দেবীকে জড়িয়ে নানান আজেবাজে কথা বলে। এদিকে কাদম্বরী দেবীর সাথে রবীন্দ্রনাথের সম্পর্ক ছিলো সহজ সরল সুন্দর। একদম মা আর ছেলের সম্পর্ক। যাইহোক, সামু সব সময় স্বাধীনতার পক্ষে। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অনেক বড় শক্তি। চাঁদগাজী/সোনাগাজী স্বাধীনতার পক্ষের লোক।
আমি ভাংগা কূলা। লোকজন আমার সমালোচনা করে।
অথচ আমি অতি সাধারণ মানুষ। তুচ্ছ মানুষ। চালচুলাহীন। কেউ কেউ আমাকে ভারতের দালাল বলে, কেউ আমাকে নাস্তিক বলে, কেউ আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। অথচ আমি কোনো সাতেপাঁচে নেই। আপন মনে থাকি। পথে পথে ঘুরে বেড়াই। আমার মতো কর্মহীন মানুষকে নিয়েও লোকে সমালোচনা করে। আমি মানবিক মানুষ। অসহায়। লোকজন আমাকে না চিনেই, না বুঝেই সমানে সমালোচনা করতেই থাকে। কিছু লোক আমাকে দারুণ অপছন্দ করে। যে যা খুশি বলুক, আমি কাউরে করি না বিমুখ। আমার পৃথিবী সুন্দর। সহজ সরল সত্য কথা হলো- সামুতে দুষ্টলোকের জম ছিলেন চাঁদগাজী/সোনাগাজী। তার কারণে জামাত শিবির আর ক্রিমিনালেরা সামুতে সুবিধা করতে পারতো না। দেশে শেখ হাসিনা নেই- জামাত শিবির মাথাচারা দিয়ে উঠেছে। এখন সামুতে চাঁদগাজী/সোনাগাজী নেই বলে- ক্রিমিনাল গুলো মাথাচারা দিয়ে উঠবে। আশা করি সামুটিম তাকে ফিরিয়ে আনবেন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


