
শেখ হাসিনা দেশে নেই।
একসময় সবাই ধরে নিয়েছিলো আমৃত্যু হাসিনা ক্ষমতায় থাকবেন। কিন্তু কি থেকে কি হয়ে গেলো! এরকমটা হবে, হতে পারে- কেউ ভাবে নাই। গত পনের বছরে বিএনপি আওয়ামিলীগ কে সরানোর জন্য অনেক রকম করে, অনেক বার চেস্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। শেষমেশ তারা আশাই ছেড়ে দিয়েছে। এক কথায় বলা যায়, আওয়ামী লীগ বিএনপির কোমর ভেঙে দিয়েছিল। যদি আর ৫ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতো তাহলে বিএনপির নাম চিহ্ন চিরতরে মুছে যেতো। গত সাত মাসে বাংলাদেশকে ভুল পথে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এজন্য দায়ী ইউনূস গং এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। হাসিনা না থাকাতে জামাত শিবির গর্ত থেকে বের হয়েছে এবং ঘেউ ঘেউ করেই যাচ্ছে।
হাসিনা নাই, তবু বাংলাদেশ সঠিক পথে নাই।
বরং বিনা দ্বিধায় বলা যায়, হাসিনার আমলের চেয়ে বাংলাদেশ এখন খারাপ অবস্থায় আছে। পুরো দেশ এখন বিশৃংখলায় ভরা। সারা দেশে চুরী ছিনতাই ডাকাতি, ধর্ষণ, খুন, এবং প্রতারণা কয়েক গুন বেড়েছে। চোর ছিনতাইকারীর চেয়ে বেশি ভয়ংকর মৌলবাদীরা। আরো সহজ করে বললে বলতে হবে জামাত শিবিরের কথা। ওদের দেখে মনে হচ্ছে দেশটা ওদের। ওরাই ৭১ এ যুদ্ধ করে এই দেশ স্বাধীন করেছে। এই দেশ ওদের। ওদের কথায় আমাদের উঠতে হবে, বসতে হবে। মূলত ৭৫ শেখ মুজিবের হত্যার মধ্যে দিয়ে জাতির কপাল পুড়েছে। শেখ মুজিব, তাজ উদ্দীন, ভাসানী, শেরে বাংলা এরা ছিলেন খাটি মানুষ, জ্ঞানী মানুষ। এরপর যারা ক্ষমতায় এসেছেন, শুধু লুটপাট করে গেছেন।
আওয়ামী লীগের লোকজন সাধারণ মানুষকে জুলুম অত্যাচার করেছে।
ছাত্রলীগ অতি মাত্রায় বাড়াবাড়ি করেছে। শেখ হাসিনা তাদের থামান নাই। মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। দিনে দুপুরে বিশ্বজিৎ কে কুপিয়ে মারা হয়েছিল। সেদিনই হাসিনার উচিৎ ছিলো ছাত্রলীগকে অফ করে দেওয়া। কিন্তু তা তিনি করেননি। শেখ হাসিনার পতনের কারন হচ্ছে, আমেরিকান দূতাবাস, আমাদের দেশের সেনাবাহিনী এবং জামাত শিবিরের কারনে। জটিল কুটিল এক চক্রান্ত হয়েছে। ৩২ নম্বর ভেঙে গুড়িয়ে দিলো, তাতে আওয়ামী লীগের কলিজা কেপে গেছে। হয়তো এরপর হাসিনা মুখ খুললে গোপালগঞ্জে তার বাবার কবর গুড়িয়ে দেবে জামাত শিবির। জামাত শিবিরের দীর্ঘ দিনের ক্ষোভ মন ভরে এবার মিটিয়ে নিয়েছে। বিএনপির ক্ষোভ জামাত শিবির পূরণ করে দিয়েছে। বিএনপির আগ বাড়িয়ে কিচ্ছু করতে হয়নি। আসলে আওয়ামী লীগ বেশ কিছু বড় বড় ভুল করেছে। তারা তাদের পাপের শাস্তি পেয়েছে। তাই বলে ৩২ নম্বর গুড়িয়ে দেওয়া উচিৎ হয়নি। যারা ৩২ নম্বর ভেঙে দিয়েছে তাদের শাস্তি এই বাংলার মাটিতে হবে।
৫৪ বছর হয়েছে দেশ স্বাধীন হয়েছে।
বিএনপি উন্নয়ন বুঝে না। বুঝে শুধু দূর্নীতি। আওয়ামী লীগ দূর্নীতি করলেও দেশের উন্নয়ন টা অব্যাহত রাখে। আমাদের চোখের সামনেই আছে উন্নয়নের নমুনা, মেট্রোরেল, পদ্মাসেতু, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে থেকে শুরু করে আরো অনেক কিছু। শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশ এখন ৭১ এর পরাজিতদের হাতে। এরা বাংলাদেশ কে আফগানিস্তান বানাতে চায়। দেশে সংস্কৃতি চর্চা বন্ধ করে দিতে চায়। নারীদের কোনঠাসা করে রাখতে চায়। যাইহোক, জামাতের আমির বাচ্চাদের এরকম ভাবে চুমু কেন দিচ্ছেন বুঝতে পারছি না। দেখতে খুবই নোংরা লাগে। বাচ্চাদের কপালে চুমু দিলেই তো হয়। একটা মেয়ের ওড়না গলায় থাকবে, না কোথায় থাকবে সেটা মেয়েটার ইচ্ছে। সেই মেয়েকে হেনস্তা করার অধিকার কে দিলো? আমাদের দেশে কি কোনো সংবিধান নেই? হুজুরদের মেয়েদের ওড়নায় সমস্যা। দেশে কি আর কোনো সমস্যা নেই? বেকার সমস্যার সমাধান কর, ছিনতাই যেন না হয়, সেই ব্যবস্থা কর। মেয়েদের পেছনে পড়লি কেন?
আজকাল দেশের সাধারণ জনগণ আক্ষেপ নিয়ে বলছেন, আগেই ভালো ছিলাম।
অর্থাৎ হাসিনার আমলই ভালো ছিলো। ইউনূস গং পুরোপুরি ব্যর্থ। উপদেষ্টারা সাত মাসে একটা ভালো কাজ করে দেখাতে পারেনি। বরং কারাগার থেকে দাগী আসামীদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিদেশে পালিয়ে যাওয়া আসামীরা বুক ফুলিয়ে দেশে ফিরে এসেছে। এদিকে সমন্বয়ক/বৈষম্যবিরোধীরা যেন দেশের রাজা। তাদের ইচ্ছাতেই জাতিকে চলতে হবে। ওরা কে? ওদের অতীত কি? কোথা থেকে আসছে ওরা? এখন জাতি জেনে গেছে, বুঝে গেছে ওরা জামাতের একটা শাখা। জামাতের হয়ে ওরা কাজ করছে। অর্থের বিনিময়ে ওরা ওদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন ভুল পথে আছে। জামাত শিবির বাংলাদেশ কে ভুল পথে নিয়ে যাচ্ছে। স্বাধীনতা পক্ষের লোকদের সহ্যের বাধ ভেঙে গেলে জামাত শিবির পলানোর পথ পাবে না। জয় বাংলা।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:৪১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


