somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

এনসিপি'র ভবিষ্যৎ কি?

০২ রা আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



এনসিপি কোনো দলের মধ্যেই পড়ে না।
তবে এনসিপি জামাতের একটি শাখা বলা যেতে পারে। আওয়ামিলীগের একটা ইতিহাস আছে। বাংলাদেশ তৈরি হওয়ার পেছনে আওয়ামী লীগের ভূমিকা আছে। এনসিপির কোনো ইতিহাস নেই। তারা দেশের জন্য কিছুই করেনি। এরা উড়ে এসে জুড়ে বসেছে। এনসিপির কথিত নেতাদের মধ্যে ব্যাক্তিত্বে বড় অভাব। এরা ঠিক করে কথা বলতে পারে না। উচ্চারণ ভালো না। এরা রাজনীতি কি করবে? এরা রাজনীতির কি বুঝে? এরা করবে দেশ পরিচালনা! এরা সবচেয়ে ভালো পারবে চাঁদাবাজি করতে। অলরেডি চাঁদাবাজি করতে গিয়ে ধরা খেয়েছে। এনসিপি বাংলাদেশের জন্য অভিশাপ। ভুল পথে যাওয়া তরুনদের দল। যা পরিচালনা করছে জামাত।

আমাদের দেশের খাটি নেতা হলো-
শেরে বাংলা, ভাসানী, তাজউদ্দীন আহমদ, শেখ মুজিব। এরা ক্ষমতা বা টাকার জন্য রাজনীতি করেন নাই। এরা সত্যিকার ভাবে দেশের মানুষকে ভালোবেসে রাজনীতি করেছেন। শেখ মুজিব ছিলেন গ্রেট নেতা। তার তুলনা হয় না। ৭ই মার্চের ভাষণের পর শেখ মুজিবকে গ্রেফতার করা হয়। পাকিস্তানিরা আচমকা আক্রমণ করে বসে। সেই সময় তাজউদ্দীন ভারতে গিয়ে ইন্দিরা গান্ধীকে ধরলেন। তাজউদ্দীন জানতেন, এই বিপদে ইন্দিরা গান্ধী ছাড়া আর কেউ উপকার করতে পারবে না। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাজউদ্দীন ইন্দিরা গান্ধীর পেছন পেছন ঘুরে দাবী আদায় করে নিয়েছেন। ভাসানী। একজন নেতা। লুঙ্গি পরা নেতা। বেশভূষা অতি সাধারণ ছিলো। অথচ মানুষটার কি মারাত্মক তেজ ছিলো। শেরে বাংলার ছিলো দারুণ ব্যাক্তিত্ব।

আজ হোক কাল হোক, দেশে নির্বাচন হবে।
এনসিপি একটাও আসন পাবে না। এদের চিনে কে? এদের জানে কে? একজন রিকশা চালক বা একজন শ্রমিকের কিছু যোগ্যতা আছে। এদের কিছুই নেই। এরা এখন উচ্চবাচ্য করছে, দুজন মানুষের কারণে। এক, ইউনুস। দুই, জামাতের আমির। নির্বাচনের পর ইউনুসকে খুজে পাওয়া যাবে না। জামাতের আমির আবার গর্তে লুকাবে। তখন এনসিপির ছায়াও খুজে পাওয়া যাবে না। এমনকি তারা নিরব চাদাবাজিও করতে পারবে না। নির্বাচনের পর ইউনুস গ্যাং, জামাতের আমিরদের সাথে মিলে এনসিপিও গর্তে লুকাবে। তাদের এত হুমকি ধামকি থেমে যাবে। তবে ইউনুস পালিয়ে যাবে। এনসিপির নেতারা পালানোর সুযোগ পাবে না। এদের কপালে দুখ আছে। এনসিপির ভবিষ্যৎ হবে ভয়ংকর খারাপ। এরা অল্প বয়সে বড় বড় অন্যায় করে বসে আছে।

এনসিপির সবচেয়ে বড় ভুল ৩২ নম্বর ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া।
দ্বিতীয় ভুল মুজিব মুর্দাবাদ বলা। এই দুই ভুলের কারণে দেশের মানুষ আজ তাদের ঘৃনা করে। এনসিপি যদি শেখ মুজিবকে সম্মান জানাতো, তাতে তাদের ক্ষতি হতো না। বরং মানুষ হিসেবে তারা একটু উঁচুতে উঠতো। এনসিপির আরেকটা ভুল হচ্ছে 'জয় বাংলা' শব্দটা মুছে দেওয়ার চেস্টা করা। জয় বাংলা শব্দটা প্রতিটা বাঙালির বুকের ভেতর থেকে উঠে আসা শব্দ। যে শব্দটা ১৯৭১ এ সাহস ও শক্তি যুগিয়েছে। সেই শব্দকে অস্বীকার করা মানে, তারা বাংলাদেশকে ভালোবাসে না। তাদের দেশ পাকিস্তান। এজন্য তারা কথায় কথায় ইনকিলাব জিন্দাবাদ বলে। যে শব্দ ব্যবহার করেছে ইয়াহিয়া। জিন্না আর ভুট্রু। এনসিপি মূলত জাতিকে শেষ করে দিতে চায়। ওদের স্বপ্ন কোনো দিন পূরণ হবে না।

জামাত শিবির কঠিন এক নীল নকশা করেছিলো।
সেই নীল নকশার ধরা খেয়েছে আওয়ামী লীগ। যেমন: জামাতের লোক সরকারের সব সেক্টরে ঢুকে গেছে। আর্মিতে, সচিবালয়ে, ছাত্রলীগে, যুবলীগে ইত্যাদি সব সেক্টরে। আওয়ামী লীগ টের পায়নি। একটুও বুঝতে পারেনি। এনসিপির সারজিস ছাত্রলীগে ঢুকেছে। এভাবে আওয়ামী লীগকে শেষ করে দিয়েছে এনসিপি অর্থাৎ জামাত শিবির। এনসিপি মূলত ঠক, প্রতারক। এরা দেশকে পাকিস্তানের হাতে তুলে দিতে চায়। দেশকে করে দিতে চায়, আফগান, সিরিয়া। ৭১ এর পরাজিত শক্তি, ৭১ এর হারের প্রতিশোধ নিতে চায়। আমার ব্যাক্তিগত বিশ্বাস এনসিপি বেশি দূর যেতে পারবে না। বাংলা মায়ের দামাল ছেলেরা পরাজিত শক্তিদের যথাসময়ে থামিয়ে দিবে। ইয়েস, থামিয়ে দেবে।

আওয়ামী লীগ দূর্নীতি করলেও উন্নয়ন বুঝে।
বিএনপি উন্নয়ন বুঝে না। বুঝে শুধু দূর্নীতি। এনসিপি বা জামাতের চেয়ে বিএনপি ভালো। এদিকে মন্দের ভালো হলেও, আওয়ামী লীগ ভালো। এনসিপি যে অন্যায় করেছে, তাদের ক্ষমা করা উচিৎ হবে না। শাস্তি তাদের পেতেই হবে। ইউনুস সাহেব যেকদিন আছে ততদিন এনসিপি থাকবে। ইউনুস নাই তো এনসিপি নাই। ইউনুস সাহেবের কপালেও দুখ আছে। যদি সে সঠিক সময়ে পালাতে পারে, তাহলে ভালো। নইলে তার বাকি জীবন কাটবে কারাগারে। আওয়ামী লীগ এই বাংলায় আবার ফিরে আসবে। কবি বলেছেন, দেরী হোক যায়নি সময়। আওয়ামী লীগ বহু বছর পর রাজাকারদের বিচার করেছে, শেখ মুজিবের হত্যাকারীদের বিচার করেছে। ঠিক তেমনি শেখ মুজিবের ভাস্কর্য যারা ভেঙেছে, ৩২ নম্বর গুড়িয়ে দিয়েছে, মেট্রোরেল ভাংচুর করেছে, এদের বিচার বাংলার মাটিতে হবেই। দেরী হোক, যায়নি সময়।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:৩২
২৫টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিজয় দিবসের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে, প্রতিবাদ ও ঘৃণা জানিয়ে । সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান ২০২৫, ১৬ই ডিসেম্বর।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:১৯




দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে ত্রিশ লক্ষ তাজা প্রানের এক সাগর রক্তের বিনিময়। দুই লক্ষাধিক মা বোনের সম্ভ্রম হারানো। লক্ষ শিশুর অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত‍্যু। এক কোটি মানুষের বাস্তুহারা জিবন। লক্ষ কোটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:২৫

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

বন্ডাই সৈকতের হামলাস্থল। ছবি: রয়টার্স

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই সৈকত এলাকায় ইহুদিদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সমবেত মানুষের ওপর দুই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অতর্কিতে গুলি চালিয়েছে। এতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমাণ নন বলা কুফুরী

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪



সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৫। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজয়ের আগে রাজাকারের গুলিতে নিহত আফজাল

লিখেছেন প্রামানিক, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১৩


ঘটনা স্থল গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার উড়িয়া ইউনিয়নের গুণভরি ওয়াপদা বাঁধ।

১৯৭১সালের ১৬ই ডিসেম্বরের কয়েক দিন আগের ঘটনা। আফজাল নামের ভদ্রলোক এসেছিলেন শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে। আমাদের পাশের গ্রামেই তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫৫ বছর আগে কি ঘটেছে, উহা কি ইডিয়টদের মনে থাকে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৮




ব্লগের অনেক প্রশ্নফাঁস ( Gen-F ) ১ দিন আগে পড়া নিউটনের ২য় সুত্রের প্রমাণ মনে করতে পারে না বলেই ফাঁসকরা প্রশ্নপত্র কিনে, বইয়ের পাতা কেটে পরীক্ষার হলে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×