
এনসিপি কোনো দলের মধ্যেই পড়ে না।
তবে এনসিপি জামাতের একটি শাখা বলা যেতে পারে। আওয়ামিলীগের একটা ইতিহাস আছে। বাংলাদেশ তৈরি হওয়ার পেছনে আওয়ামী লীগের ভূমিকা আছে। এনসিপির কোনো ইতিহাস নেই। তারা দেশের জন্য কিছুই করেনি। এরা উড়ে এসে জুড়ে বসেছে। এনসিপির কথিত নেতাদের মধ্যে ব্যাক্তিত্বে বড় অভাব। এরা ঠিক করে কথা বলতে পারে না। উচ্চারণ ভালো না। এরা রাজনীতি কি করবে? এরা রাজনীতির কি বুঝে? এরা করবে দেশ পরিচালনা! এরা সবচেয়ে ভালো পারবে চাঁদাবাজি করতে। অলরেডি চাঁদাবাজি করতে গিয়ে ধরা খেয়েছে। এনসিপি বাংলাদেশের জন্য অভিশাপ। ভুল পথে যাওয়া তরুনদের দল। যা পরিচালনা করছে জামাত।
আমাদের দেশের খাটি নেতা হলো-
শেরে বাংলা, ভাসানী, তাজউদ্দীন আহমদ, শেখ মুজিব। এরা ক্ষমতা বা টাকার জন্য রাজনীতি করেন নাই। এরা সত্যিকার ভাবে দেশের মানুষকে ভালোবেসে রাজনীতি করেছেন। শেখ মুজিব ছিলেন গ্রেট নেতা। তার তুলনা হয় না। ৭ই মার্চের ভাষণের পর শেখ মুজিবকে গ্রেফতার করা হয়। পাকিস্তানিরা আচমকা আক্রমণ করে বসে। সেই সময় তাজউদ্দীন ভারতে গিয়ে ইন্দিরা গান্ধীকে ধরলেন। তাজউদ্দীন জানতেন, এই বিপদে ইন্দিরা গান্ধী ছাড়া আর কেউ উপকার করতে পারবে না। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাজউদ্দীন ইন্দিরা গান্ধীর পেছন পেছন ঘুরে দাবী আদায় করে নিয়েছেন। ভাসানী। একজন নেতা। লুঙ্গি পরা নেতা। বেশভূষা অতি সাধারণ ছিলো। অথচ মানুষটার কি মারাত্মক তেজ ছিলো। শেরে বাংলার ছিলো দারুণ ব্যাক্তিত্ব।
আজ হোক কাল হোক, দেশে নির্বাচন হবে।
এনসিপি একটাও আসন পাবে না। এদের চিনে কে? এদের জানে কে? একজন রিকশা চালক বা একজন শ্রমিকের কিছু যোগ্যতা আছে। এদের কিছুই নেই। এরা এখন উচ্চবাচ্য করছে, দুজন মানুষের কারণে। এক, ইউনুস। দুই, জামাতের আমির। নির্বাচনের পর ইউনুসকে খুজে পাওয়া যাবে না। জামাতের আমির আবার গর্তে লুকাবে। তখন এনসিপির ছায়াও খুজে পাওয়া যাবে না। এমনকি তারা নিরব চাদাবাজিও করতে পারবে না। নির্বাচনের পর ইউনুস গ্যাং, জামাতের আমিরদের সাথে মিলে এনসিপিও গর্তে লুকাবে। তাদের এত হুমকি ধামকি থেমে যাবে। তবে ইউনুস পালিয়ে যাবে। এনসিপির নেতারা পালানোর সুযোগ পাবে না। এদের কপালে দুখ আছে। এনসিপির ভবিষ্যৎ হবে ভয়ংকর খারাপ। এরা অল্প বয়সে বড় বড় অন্যায় করে বসে আছে।
এনসিপির সবচেয়ে বড় ভুল ৩২ নম্বর ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া।
দ্বিতীয় ভুল মুজিব মুর্দাবাদ বলা। এই দুই ভুলের কারণে দেশের মানুষ আজ তাদের ঘৃনা করে। এনসিপি যদি শেখ মুজিবকে সম্মান জানাতো, তাতে তাদের ক্ষতি হতো না। বরং মানুষ হিসেবে তারা একটু উঁচুতে উঠতো। এনসিপির আরেকটা ভুল হচ্ছে 'জয় বাংলা' শব্দটা মুছে দেওয়ার চেস্টা করা। জয় বাংলা শব্দটা প্রতিটা বাঙালির বুকের ভেতর থেকে উঠে আসা শব্দ। যে শব্দটা ১৯৭১ এ সাহস ও শক্তি যুগিয়েছে। সেই শব্দকে অস্বীকার করা মানে, তারা বাংলাদেশকে ভালোবাসে না। তাদের দেশ পাকিস্তান। এজন্য তারা কথায় কথায় ইনকিলাব জিন্দাবাদ বলে। যে শব্দ ব্যবহার করেছে ইয়াহিয়া। জিন্না আর ভুট্রু। এনসিপি মূলত জাতিকে শেষ করে দিতে চায়। ওদের স্বপ্ন কোনো দিন পূরণ হবে না।
জামাত শিবির কঠিন এক নীল নকশা করেছিলো।
সেই নীল নকশার ধরা খেয়েছে আওয়ামী লীগ। যেমন: জামাতের লোক সরকারের সব সেক্টরে ঢুকে গেছে। আর্মিতে, সচিবালয়ে, ছাত্রলীগে, যুবলীগে ইত্যাদি সব সেক্টরে। আওয়ামী লীগ টের পায়নি। একটুও বুঝতে পারেনি। এনসিপির সারজিস ছাত্রলীগে ঢুকেছে। এভাবে আওয়ামী লীগকে শেষ করে দিয়েছে এনসিপি অর্থাৎ জামাত শিবির। এনসিপি মূলত ঠক, প্রতারক। এরা দেশকে পাকিস্তানের হাতে তুলে দিতে চায়। দেশকে করে দিতে চায়, আফগান, সিরিয়া। ৭১ এর পরাজিত শক্তি, ৭১ এর হারের প্রতিশোধ নিতে চায়। আমার ব্যাক্তিগত বিশ্বাস এনসিপি বেশি দূর যেতে পারবে না। বাংলা মায়ের দামাল ছেলেরা পরাজিত শক্তিদের যথাসময়ে থামিয়ে দিবে। ইয়েস, থামিয়ে দেবে।
আওয়ামী লীগ দূর্নীতি করলেও উন্নয়ন বুঝে।
বিএনপি উন্নয়ন বুঝে না। বুঝে শুধু দূর্নীতি। এনসিপি বা জামাতের চেয়ে বিএনপি ভালো। এদিকে মন্দের ভালো হলেও, আওয়ামী লীগ ভালো। এনসিপি যে অন্যায় করেছে, তাদের ক্ষমা করা উচিৎ হবে না। শাস্তি তাদের পেতেই হবে। ইউনুস সাহেব যেকদিন আছে ততদিন এনসিপি থাকবে। ইউনুস নাই তো এনসিপি নাই। ইউনুস সাহেবের কপালেও দুখ আছে। যদি সে সঠিক সময়ে পালাতে পারে, তাহলে ভালো। নইলে তার বাকি জীবন কাটবে কারাগারে। আওয়ামী লীগ এই বাংলায় আবার ফিরে আসবে। কবি বলেছেন, দেরী হোক যায়নি সময়। আওয়ামী লীগ বহু বছর পর রাজাকারদের বিচার করেছে, শেখ মুজিবের হত্যাকারীদের বিচার করেছে। ঠিক তেমনি শেখ মুজিবের ভাস্কর্য যারা ভেঙেছে, ৩২ নম্বর গুড়িয়ে দিয়েছে, মেট্রোরেল ভাংচুর করেছে, এদের বিচার বাংলার মাটিতে হবেই। দেরী হোক, যায়নি সময়।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:৩২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




