
আমি কুকুরপ্রেমী নই।
কয়েকজন মিলে একটা কুকুরকে দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে ফেলল গাছের সাথে। কুকুরের গলায় দড়ি। কুকুরটা ছটফট করছে। বিকট করুন আওয়াজ করছে। চারপাশের লোকজন দৃশ্যটা দেখছে। তারা অনেক মজা পাচ্ছে। কুকুর যত ছটফট করছে তারা তত আনন্দ পাচ্ছে। কেউ কেউ খুশিতে-আনন্দে হাত তালি দিচ্ছে। টাইট করে দড়ি দিয়ে গলা বাঁধার কারণে কুকুরটা ক্রমশ মৃত্যুর দিকে যাচ্ছে। কিন্তু মানুষের সময়ের দাম আছে। তাই একজন লাঠি দিয়ে মাথার মধ্যে আঘাত করতে শুরু করলো। কুকুরটা মারা গেলো। আরেকটা ঘটনা বলি- একটা বেজিকে খাচায় বন্ধি করা হয়েছে। বেজির গায়ে পেট্রোল দেওয়া হলো। তারপর আগুন ধরিয়ে দেওয়া হলো। বেজিটা ছটফট করতে করতে মারা গেলো। আশেপাশের লোকজনের কি আনন্দ! ধর্ষন করে ভিডিও করা হচ্ছে। ধর্ষন করার পর গলা কেটে হত্যা করা হচ্ছে। ভিডিও গুলো ভাইরাল হয়েছে। দেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী যেন এই বিষয় গুলো জানেই না।
হাসিনা চলে যাওয়ার পর- বহু মানুষকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
সেই ভিডিও গুলো স্যোসাল মিডিয়ায় এসেছে। কাউকে কি গ্রেফতার করা হয়েছে? নিহতদের জন্য কি ইউনুস সাহেব সমবেদনা জানিয়েছেন? গিয়েছেন নিহত ব্যাক্তিদের পরিবারের কাছে সমবেদনা জানাতে? বাসে, লঞ্চে, রাস্তায় নারীদের লাঞ্চিত করা হয়েছে- ইউনুস সাহেব গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন তাদের? জুলাই আন্দোলনে মিথ্যা মামলা দিয়ে অসংখ্য মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের পরিবার গুলো কেমন আছে, সেই খোজ কি ইউনুস সাহেব নিয়েছেন? ধানমন্ডি ৩২ নম্বর ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিলো। একবারও তিনি দুঃখ প্রকাশ করলেন না! ভারতের সাথে সম্পর্ক খারাপ করে পাকিস্তানের সাথে বন্ধুত্বের হাত বাড়ালেন! দেশের মানুষ হতবাক! কি হচ্ছে এসব! যেন দেশে আইন নেই। মা বাপ ছাড়া একটি পরিবার যেমন, দেশের পরিস্থিতি এখন সেরকম। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে- যে বা যারা আওয়ামীলীগ সাপোর্ট করবে তাদেরই গ্রেফতার করো।
গতকাল তৌহিদ আফ্রিদি নামে এক ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আফ্রিদি ইউটিবার। ব্লগ বানায়, কনটেন্ট তৈরি করে। হাসিখুশি ছেলে। ভালো ছেলে। বেশ জনপ্রিয়। এই ছেলে দেশের দুঃসময়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বারবার। মানুষকে চাকরি দিয়েছে, নগদ অর্থ দিয়ে সাহায্য করেছে। অসুস্থদের চিকিৎসা করিয়েছে, দরিদ্র ব্যাক্তিদের হজ্ব করিয়েছে, বন্যার সময় নিজে মাথায় করে ত্রান সামগ্রী নিয়ে ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছে। তৌহিদ আফ্রিদিকে কখনও কোনো মন্দ কাজ করেনি। ব্যাক্তিগত ভাবে আমি এই তৌহিদ আফ্রিদিকে চিনি না, জানিও না। তার সঙ্গে আমার কখনও দেখা সাক্ষাত বা কথা হয়নি। কিন্তু আমি নিশ্চিত এই ছেলে কাউকে খুন করেনি। অথচ তাকে জুলাই আন্দোলনে যাত্রাবাড়িতে খুনের মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। অযথাই গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ছেলের বাপ চাচা মামা খালু হয়তো আওয়ামীলীগার। কিন্তু এই ছেলেকে অযথাই গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে তার বাবাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
হাসিনা চলে যাওয়ার পর- গত এক বছরে দেশের পক্ষে কেউ সত্য কথা বলেনি।
সবাই যেন বোবা হয়ে গেছে। এই সুযোগে এনসিপি হুমকি ধামকি শুরু করেছে। তারা যেন হুমকি ধামকি ছাড়া কথাই বলতে পারে না। এদিকে ইউনুস গং পাকিস্তানকে আব্বা ভাবতে শুরু করেছে। যেন তাদের ছাড়া আম আদের চলবেই না। তাদের ছাড়া আমাদের কোনো উপায় নেই। এডভোকেট ফজলুর রহমান চিৎকার করে সব সময় সত্যটা বলেছেন। ফজলুর রহমান একজন মুক্তিযোদ্ধা। সাহসী মানুষ। দেশের কোনো কবি সাহিত্যিক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার অভিনয় শিল্পী- কেউ দেশের সার্বিক অবস্থা নিয়ে মুখ খুলেননি। কিন্তু ফজলুর রহমান সব সময় সত্য কথা বলেছেন। ইউনুস গংদের নিয়ে বলেছেন, রাজাকারদের নিয়ে বলেছেন, এনসিপি-জামাত শিবিরিকে নিয়ে উচিৎ কথা বলেছেন। উনি সত্য বলে বিপদে পড়েছেন। এই দেশে সত্য বলা অন্যায়। জামাত শিবির এখন চাচ্ছে মব সৃষ্টি করে তাকে মেরে ফেলতে।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



