somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কৃপণ কারূণ

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তোমরা হয়তো জানো মাটির নিচে সোনা, রূপা, হীরা, মণি-মাণিক্যের খনি এবং সমুদ্রের নিচে ইয়াকুত, জমরদ, প্রবাল ও মুক্তা অনেক আছে। তোমরা শুনে আশ্চর্য হবে যে, এই সবই আগে একজন মাত্র লোকের সম্পত্তি ছিলো।

এত বড়ো ধনী পৃথিবীতে আর একজনও ছিলো না এবং আর কেউ কখনো হবে না। তার সেই ধনসম্পত্তি কিরূপে ছড়িয়ে পড়লো এবং ভূগর্ভে ও সমুদ্রের মধ্যে কেমন করে প্রবেশ করলো সেই আজব কাহিনী আজ তোমাদের কাছে বলবো।

হযরত মুসার জ্ঞাতি সম্পকরঈয় এক চাচাতো ভাই –নাম ছিলো তার কারূণ। কারূণের বরাত ছিল খুব ভাল। দুনিয়ার সব জায়গায় তার মালগুদাম ছিলো। সমস্ত নদীতে ও সমুদ্রে ঝাঁকে ঝাঁকে তার নৌকা ও জাহাজ চলাফেরা করতো। পৃথিবীর সকল সওদাগরের সে ছিলো একমাত্র মহাজন, সুতরাং সমস্ত কাজ কারবারের মূল। নিজেও কারবার করে সে অনেক অর্থ উপার্জন করতা এবং সওদাগরীর মুনাফা থেকে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মুদ্রা তার আয় হতো।

হযরত মুসা তাকে খুব ভালবাসতেন। তাকে আদর করে মাটি দিয়ে সোনা তৈরি করবার কায়দা শিখিয়ে দিয়েছিলেন। এসব নানা ব্যাপারে চারিদিক থেকে কত টাকা যে তার আয় হতো তার লেখাজোখা ছিলো না। এই সব টাকার বদলে সে হীরা, মণি, মু্কতা, জহরৎ, চুনি, পান্না, ইয়াকুত, জমরদ যোগাড় করে লক্ষ লক্ষ সিন্দুক বোঝাই করে রাখতো। সেই সমস্ত সিন্দুকের চাবি একটা মজবুত সিন্দুকে রেখ সেই সিন্দুকের চাবি দড়িতে বেঁধে নিজের কোমরে সর্বদা ঝুলিয়ে রাখতো। সারাদিন রাতের মধ্যে তাকে বড় একটা কেউ বাইরে দেখতে পেতো না। চাবি হাতে করে সে প্রত্যেক দিন গুদামে গুদামে ঘুরে বেড়াতো। তোমরা হয়তো ভেবেছো, এত যার টাকাকড়ি, ধন-দৌলত সে নিশ্চয় খুব বিলাসী এবং ব্যয়ে মুক্ত হস্ত ছিলো। কিন্তু বিলাস বা সখ তার বিন্দুমাত্র ছিলো না। একটা চিন্ন ময়লা তালিযুক্ত পায়জামা এবং গায়ে একটা জামা ও পায়ে একজোড়া চটি জুতা ছিলো তার বেশ। ছেঁড়া চাটাই পেতে মাটিতে শুয়ে সে রাত্রি কাটাতো। দুই একখানি শুকনো রুটি, কিছু খেজুর ও কয়েক পাত্র পানি ছিলো তারা সারাদিনের আহার্য। কথিত আছে, কিছুদিন পরে তাও নাকি সে গ্রহণ করতো না। একখানি মাত্র রুটি এক পাত্র পানিতে ডুবিয়ে সেই পানি পান করে জীবন ধারণ করতো, তারপর সেই রুটিটি শুকিয়ে রাখতো। আত্মীয়-বন্ধু তাকে বলতোঃ তোমার এত ধন-দৌলত তুমি মিছামিছি এত কষ্ট করো কেন? তুমি একজোড়া জুতা কিংবা একটা জামাও কিনতে পারো না?

কারূণ হেসে বলতোঃ বাঃ তোমা তো আমাকে বেশ পরামর্শ দিচ্ছো! ক’টা পয়সা বা আমি সিন্দুকে বাক্সে তুলেছি যে তোমরা আমাকে ধনী বলে ঠাট্টা করছো। এখন আমিরীকরে এ ক’টি পয়সা যদি খরচ করে ফেলি তবে বুড়ো বয়সে ছেলেপুলে নিয়ে উপোস করলে দেবে কে বলো? তোমরা আমাকে পথে বসবার বেশ ফন্দি করছো দেখছি।

উপদেশ দাতারা এই কথা শুনে অবাক হয়ে চলে যেতো।

মুসা একদিন বললেনঃ কারূণ খোদা তোমাকে এত ধন-দৌলত দিয়েছেন, তার একটা সামান্য অংশ গরীব দুঃখীদের মধ্যে জাকাত (দান) দেওয়া তোমার উচিত। ধর্মে নিয়ম আছে যে, শতকরা আড়াই টাকা জাকাত দিতে হয়। আশা করি তুমি শতকরা একটি টাকা জাকাত দেবে।

কারূণে তার দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে খানিকক্ষণ চেয়ে বললোঃ জাকাত কাকে বলে?

মুসা বললেনঃ শতকরা এক টাকা গরীব-দুঃখীদের দান করাকে জাকাত বলে।

অন্য কেউ যদি কারুণকে দান করার কথা বলতো তাহলে সে কি করতো বলা যায় না, কিন্তু মুসা সম্পর্কে তার বড় ভাই, কখনো তাঁর কথা সে অমান্য করেনি, সুতরাং মাথা নিচু করে খানিকক্ষণ চুপকরে থেকে জবাব দিলোঃ দেখতেই পাচ্ছো আমি অতি গরীব, টাকা-পয়সা কোথায় পাবো যে জাকাত দেবো?

মুসা বললেনঃ কারূণ এত যার ধন-দৌলত সে যদি গরীব হয় তবে ধনী লোক কাকে বলে?

কারূন প্রত্যুত্তর করলোঃ খেয়ে না খেয়ে, কত কষ্ট করে ক’টি পয়সাই বা জমেছে, তা’ যদি এখন দান-খয়রাত করে বসি বুড়ো বয়সে খাবো কি? ভিক্ষা করা ছাড়া তো আমারকোন উপায় থাকবে না ভাই। আমাকে মাফ করো, জাকাত আমি দিতে পারবো না।

মুসা বিরক্ত হয়ে বললেনঃ খোদা তোমাকে এত দিয়েছেন যে, তুমি যদি সারাজীবন দান করো তা’হলেও শেষ হবে না।

কথা শুনে কারূণ হো-হো করে হেসে উঠলো। বললোঃ না বুঝে দান করলে রাজার রাজত্ব উড়ে যায়, আর আমার তো সামান্য ঐ ক’টা পয়সা ও আর উড়তে কতক্ষণ।

মুসা বললেনঃ তুমি গরীব কি ধনী সে তর্ক তোমর সঙ্গে করতে আসি নাই। জাকাত দেওয়া তোমার পক্ষে একান্ত কর্তব্য, তাই তোমায় বলতে এসেছি। তুমি জাকাত দেবে কি না বলো?

নিরুপায় হয়ে কারূন আমতা আমতা করে বললোঃ আচ্ছা আজ ভেবে দেখি কাল জবাব দেবো।

কারূনের মনে আনন্দের লেশ মাত্র নেই। সমস্ত দিন তার একরূপে অনাহারে ও দুশ্চিন্তায় কাটলো। কি করা যায়, মুসাকে কি জবাব সে দেবে, ভেবে-চিন্তে কিছুই সে ঠিক করতে পারলো না। দিন গত হয়ে সন্ধ্যার আঁধার ঘনিয়ে এলো। একটা প্রদীপ জ্বেলে কারূণ হিসাব করতে বললো। একশত টাকায় এক টাকা, হাজার টাকায় দশ টাকা, এক লক্ষ টাকায় হবে এক হাজার! কারূণ আর হিসাব করতে পারলো না, তার মাথা ভোঁ ভোঁ করে ঘুরতে লাগলো। খানিক পরে আবার হিসাব করতে লাগলো, এক লক্ষ টাকায় দি এক হাজার টাকা হয় তাহলে এক কোটি টাকায় হবে এক লক্ষ টাকা।

কারূণ পাগলের মতো চিৎকার করে উঠলোঃ মুসা, তোমার উপদেশ শোনার পরিবর্তে আমার বুকে ছুরি মেরে আমাকে মেরে ফেলো। এক কোটি টাকায় এক লক্ষ টাকা আমায় দিতে হবে জাকাত! কেন? গরীব-দুঃখীরা তো টাকা রোজগার করে আমার কাছে জমা রাখেনি যে, আমাকে তাদের দান করতে হবে? আমি দেবো না, এক পয়সাও আমি দেবো না। কারূণ বালিশে মুখ গুঁজে চুপ করে পড়ে রইলো এবং মনে মনে মুসার মুণ্ডপাত করতে লাগলো। সে রাত্রে কারূণ আর ঘুমুতে পারলো না। হঠাৎ প্রদীপটার দিকে তার নজর পড়তেই চমকে উঠলোঃ আঃ তেল সবটা পুড়ে গেলো দেখছি অথচ এক পয়সাও আয় হলো না। বলে প্রদীপটা নিভিয়ে দিয়ে অন্ধকারে দেওয়ালে ঠেস দিয়ে সারারাত বসে বসে আকাশ-পাতাল ভাবতে লাগলো।

পরদনি সকাল হতে না হতেই মুসা কারূণের বাড়িতে এসে হাজির। জিজ্ঞাসা করলেনঃ কিছু ঠিক করতে পেরেছো কি কারূণ?

কারূণ যেন আকাশ থেকে পড়লো। বিস্ময়পূর্ণ কণ্ঠে বললোঃ কি ঠিক করার কথা বলছো, সেই জাকাতের কথা? এ যাঃ একেবারেই ভুলে গেছি। আচ্ছা আজ তুমি যাও। কাল ঠিক তোমার কথার জবাব দেবো।

মুসা চলে গেলেন। কিন্তু পরদিনও এমনি ব্যাপার। এমনি করে রোজ রোজ মিথ্যা ওজর দেখিয়ে কারূণ দিন কাটাতে লাগলো।

একদিন মুসা বিরক্ত হয়ে বললেনঃ তোমার কি একটুখানি লজ্জা সরমও নেই কারূণ –রোজই টালবাহানা করো। আমি এখনই শুনতে চাই জাকাত দেবে কি না।

কারূনও খুব রাগের সঙ্গে জবাব দিলোঃ তুমি কি মনে করো তোমার কতা আমি বুঝতে পারি না। খেয়ে না খেয়ে, কত কষ্ট করে কিছু সঞ্চয় করেছি তা দেখে তোমাদের চোখ জ্বালা করছে। ফন্দি আটছো, কেমন করে সেগুলো বার করে তোমরা লুটপাট করে নেবে। অত বোকা আমি নই। সেটি কখনও হবে না। আমি এক পয়সাও দান-খয়রাত করবো না। তুমি যা খুশী করতে পারো।

মুসা অবাক! কিন্তু হতাশ হলেন না।

আরও অনেক দিন ধরে তিনি কারূণকে উপদেশ দিলেন। তিনি আল্লাহতা’লার গজবেরভয় পর্যন্ত দেখালেন, দোজখের দুঃখ, বেহেশতের সুখের কথা বললেন। কিন্তু কারূণ অটল-কিছুতেই তার মত গললো না।

এবার মুসা নিরুপায় হয়ে পড়লেন। তিনি খোদার দরগায় এই প্রার্থনা করলেনঃ হে প্রভু, কারূণকে সৎকার্যে দান করবার জন্য আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করলাম কিন্তু তার সদবুদ্ধি হলো না। এখন তোমার আদেশ আমাকে জানাও!

জিবরাইল খোদার আদেশ নিয়ে তাঁর কাছে হাজির হলেন। মুসাকে বললেনঃ মুসা, তুমি বনি-ইসরাইলদের মিশর থেকে চলে যেতে বলো।

মুসা সে আদেশ পালন করলেন।

জিবরাইল জানালেনঃ এখন থেকে বসুমতী তোমার আজ্ঞাধীন হলে। তার দ্বারা তোমার ইচ্ছা অনুযায়ী কার্য করতে পারো।

কয়েকদিন পরে মুসা পুনরায় কারূণের নিকট এসে তাকে বললেনঃ কারূণ, তুমি সৎকার্যে দান করো, খোদার পথে জাকাত দাও, নতুবা তোমার মহা অন্যায় হবে।

কারূণ জবাব দিলোঃ ভাই মুসা, তোমার এ-কথা অনেকদিন থেকে শুনে আসছি। কোন নতুন খবর থাকে বলতে পারো –বলে সে চলে যেতে উদ্যত হলো।

মুসা তাকে ধমন দিয়ে বললেনঃ এখনও হুঁশিয়ার।

কারূণ বললোঃ হুঁশিয়ার আগে থেকেই হয়ে আছি।

এই কথা শেষ হবার সঙ্গে সঙ্গে তার কোমর পর্যন্ত মাটির মধ্যে প্রবেশ করলো। বিস্ময় ও ভয়ে তার মুখ শুকিয়ে গেলো। বললোঃ বাঃ বেশ তো ভেলকী শিখেছো! চালাকি করে টাকা আদায় করবে এমন কচি খোকা পাও নি।

এবারে তার গলা পর্যন্ত মাটির মধ্যে ডুবে গেলো।

তখন সে চিৎকার করে মুসাকে বললোঃ তুমি কি এমন করে আমাকে মেরে ফেলতে চাও নাকি?

মুসা ধমক দিয়ে বললোঃ খবরদার, এখনও যদি খোদার নামে সৎকাজে দান করো তাহলে পরিত্রাণ পেতে পারো।

কারূণ বললোঃ আমার যথাসর্বস্ব দান করে ভিক্ষে করে খাবার জন্য বেঁচে থাকতে আমি চাইনে।

সে আরো কানিকটা মাটির মধ্যে ঢুকে গেলো। তার দাড়ির হাডু ঠক করে মাটিতে এসে ঠেকলো। হাতের খানিকটা তখন অবধি বাইরে ছিলো। এইবার কারূণ হেসে ফেললো।

মুসা দৃঢ়কণ্ঠে জিজ্ঞাসা করলেনঃ তুমি হাসছো কেন?

কারূণ জবাব দিলোঃ যে আশায় তুমি আমাকে মারবার চেষ্টা করছো সে আশা তোমার পূর্ণ হবে না। কারণ সমস্ত সিন্দুকের চাবি যে সিন্দুকে বন্ধ করা আছে –এই দেখ সেই চাবি আমার মুঠোর মধ্যে রয়েছে। দুনিয়াতে এমন কোন হাতিয়ার নেই যা দিয়ে সেই সিন্দুক কাটতে বা ভাঙতে পারবে, কাজেই আমাকে মেরে কোন লাভ নেই।

মুসা বললেনঃ মূর্খ, গরীব দুঃখীকে দান করো, খোদার পথে জাকাত দাও –তোমার জীবন রক্ষা হবে।

কারূণ কিছু জবাব দিলো না –শুধু সিন্দুকটার দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে রইলো।

মুসা বললেনঃ কারূণ তোমার কি বাঁচার ইচ্ছা হয় না?

কারূণ মুসার দিকে চোখ না ফিরিয়েই চিৎকার করে বললোঃ না একেবারে না।

মুসা প্রশ্ন করলেনঃ বাঁচতে ইচ্ছা হয় না কেন?

কারূন জবাব দিলোঃ কেন জানতে চাও? আর কিছুদিন বেঁচে থাকলে তোমরা আমায় ‘ধনী’ ধনী বলে পাগল করে দিতে, আর হয়তো দান-খয়রাত করিয়ে সমস্ত বিষয় আশয় লুটিয়ে দিয়ে আমাকে পথে বসাতে। সুতরাং টাকা কয়টা থাকতে থাকতেই আমার মরা উচিত।

মুসা আবার বললেনঃ কারূণ তোমার কি একেবারে বাঁচতে ইচ্ছা হয় না?

এবারে কারূণ রেগে চোখ লাল করে বললোঃ টাকার বদলে আমারা বাঁচতে ইচ্ছে হয় না।

তারপর আস্তে আস্তে তার নাক, মুখ মাটির মধ্যে প্রবেশ করতে লাগলো। দেখতে দেখতে কারূণের দালান-কোঠা, ধন-দৌলত, সিন্দুক-বাক্স সমস্তই মাটির মধ্যে চলে গেলো।

সংগৃহীত

কোরাণের গল্প-বন্দে আলী মিয়া
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৩৯
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ভণ্ড মুসলমান

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:২৬

ওরে মুসলিম ধর্ম তোমার টুপি পাঞ্জাবী মাথার মুকুট,
মনের ভেতর শয়তানি এক নিজের স্বার্থে চলে খুটখাট।
সবই যখন খোদার হুকুম শয়তানি করে কে?
খোদার উপর চাপিয়ে দিতেই খোদা কি-বলছে?

মানুষ ঠকিয়ে খোদার হুকুম শয়তানি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসবে তুমি কবে ?

লিখেছেন সেলিম আনোয়ার, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪২



আজি আমার আঙিনায়
তোমার দেখা নাই,
কোথায় তোমায় পাই?
বিশ্ব বিবেকের কাছে
প্রশ্ন রেখে যাই।
তুমি থাকো যে দূরে
আমার স্পর্শের বাহিরে,
আমি থাকিগো অপেক্ষায়।
আসবে যে তুমি কবে ?
কবে হবেগো ঠাঁই আমার ?
... ...বাকিটুকু পড়ুন

(রম্য রচনা -৩০কিলো/ঘন্টা মোটরসাইকেলের গতি )

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫০



একজন খুব পরিশ্রম করে খাঁটি শুকনো সবজি( দুষ্টু লোকে যাকে গাঁ*জা বলে ডাকে) খেয়ে পড়াশোনা করে হঠাৎ করে বিসিএস হয়ে গেলো। যথারীতি কষ্ট করে সফলতার গল্প হলো। সবাই খুশি। ক্যাডারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোথাও ছিলো না কেউ ....

লিখেছেন আহমেদ জী এস, ২০ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:১৯




কখনো কোথাও ছিলো না কেউ
না ছিলো উত্তরে, না দক্ষিনে
শুধু তুমি নক্ষত্র হয়ে ছিলে উর্দ্ধাকাশে।

আকাশে আর কোন নক্ষত্র ছিলো না
খাল-বিল-পুকুরে আকাশের ছবি ছিলো না
বাতাসে কারো গন্ধ ছিলোনা
ছিলোনা... ...বাকিটুকু পড়ুন

#প্রিয়তম কী লিখি তোমায়

লিখেছেন নীল মনি, ২১ শে মে, ২০২৪ সকাল ৭:৫১


আমাদের শহর ছিল।
সে শহর ঘিরে গড়ে উঠেছিল অলৌকিক সংসার।
তুমি রোজ তাঁকে যে গল্প শোনাতে সেখানে ভিড় জমাতো বেলা বোস, বনলতা কিংবা রোদ্দুর নামের সেই মেয়েটি!
সে কেবল অভিমানে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×