ক্ষুব্ধ হয়েই বলছি, মালালা নোবেল পেলো কি কলা পেলো, আমার কিছু যায় আসে না
একটি অসভ্য সমাজে বেড়ে ওঠা মেয়েটি আমার দেশের ক্রিকেট টীম নিয়েও একটি অশোভন মন্তব্য করেছিলো এক সময়। আশা করি সেটা ভুলে যাই নি আমরা।
উগ্র তালেবানদের ক্রোধের শিকার এই মেয়েটি বিশ্বের সব মানুষের সহানুভূতি আর আকর্ষণ কেড়ে নিয়েছিল ঐ অমানবিক ঘটনার পর।
শুধু আমরা ভুলে গিয়েছিলাম, মেয়েটি পাকিস্তানী, শরীরে তার পাকিস্তানী রক্ত আর জাতি হিসেবেই পাকিস্তান বর্বর, অসামাজিক, পারভার্ট এবং হিংস্র (গবেষণাঃ ডাঃ এম এ হাসান)। সেই দেশের মেয়ে মালালা বাংলাদেশ এর পাকিস্তান সফর নিরাপত্তাজনিতে কারনে বাতিল হওয়ায় বাংলাদেশ ক্রিকেট টীমকে 'বিড়াল' বলেছিলো।
বোমা হামলার পরে ইংল্যান্ডে যদি ঠাই না মিলতো, তবে কি মালালার সুযোগ হতো এই কথা টুইটারে বলার? ওর দেশে মানুষ বিড়াল কেউ এ তো নিরাপদ না!!
অনেক সুশীল বলবেন, মালালা ছোট মানুষ, কি না কি বলেছে এসব ধরলে চলে না
আমি তাদের বলবো, তুই রাজাকার!!
প্রিয় সুশীল, এই ছোট মানুষকে পাকিস্তান থেকে তুলে নিয়ে আপনারা বিশ্বনন্দিত রনজেন, হেনরি ডুনান্ট, মেরী কুরী, ড্যাগ হ্যামার্শেল্ড, রবীন্দ্রনাথ, অমর্ত্য সেন এর কাতারে বসাচ্ছেন, এবং এখানে আমি একজন সাহিত্যপ্রেমী, চিকিতসাবিজ্ঞানের ছাত্র এবং সংগ্রাম দিয়ে অর্জিত স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে চুপ থাকবো না
মালালার আগেও অনেক নারী আন্দোলন করে নিজেরদের সর্বস্ব খুইয়েছেন, তাদের নাম গন্ধও আমরা পাই নাই, তাদেরকে কেউ প্রমোট করে নাই, তাঁরাও সম্মাননা পাবার যোগ্য - মালালার পাবলিসিটি ব্র্যান্ডিং ভালো হওয়ায় ও পেলো এই যা!
১৯৭১ সালে আমাদের যে সকল বীরাঙ্গনা যুদ্ধ করেছেন, যে সব নারী উদ্যোক্তা দেশে নারীদের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করেছেন এবং করে যাচ্ছেন, প্রত্যকেই সম্মাননা পাবার দাবী রাখেন
আমি নোবেল কমিটিকে চ্যালেঞ্জ করার ধৃষ্টতা নিয়ে আসি নি
আমি আমার ঘৃণার কথা জানাতে এসেছি,
এই ঘৃণা পাকিস্তানের প্রতি,
এই ঘৃণা এক কৃতঘ্ন জাতি পাকিস্তানীদের করা মন্তব্যের প্রতি,
এই ঘৃণা সেই রক্তের প্রতি যাদের বুকে এতোটুকু মায়া হয়নি আমার দেশের ২ লক্ষ মা-বোনকে ইতিহাসের পৈশাচিকতম নির্যাতন করতে...
আমি, স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে এক অভদ্র পাকিস্তানীর নোবেল প্রাপ্তি মেনে নিতে পারলাম না