দেখতে দেখতে জীবনের ১০টা বছর পার করে দিলাম এই যানজট, ঘিঞ্জি আর বাতাসে সীসা ভরা ঢাকা শহরে। মনের অজান্তেই কখন যে ভালবেসে ফেলেছি এই শহরকে তা নিজেও যানি না। জীবনের ৩ ভাগের ১ ভাগ সময় কম কথা না। এখন যখন বাড়ী যাই প্রথম ২ দিন খুব ভাল লাগে। কিন্তু তারপরই কিসের যেন একটা টান অনুভব করি ফিরে আসার জন্য। যা লেখে বোঝানো যায় না।
প্রথম যখন ঢাকায় আসি ১৯৯৮ সালে কোচিং করতে মনে আছে মার কথা মনে করে ট্রেনে চোখের জল ধরে রাখতে পারিনি। কিন্তু আজ আমার কেন এমন লাগছে?
একটু চিন্তা করলে বুঝতে পারি আসলে ঢাকা আমকে বড় হতে শিখিয়েছে। শিখিয়েছে মনে কোন আবেগের স্থান না দিতে, শিখিয়েছে ভালবাসতে, শিখিয়েছে নিজেকে নতুন করে জানতে, নিজের পায়ে সাবলম্বি হতে। ভাগ্যন্বেষণে মানুষ দুনিয়ার কত জায়গায় যায়। আমাকেও জয়েন করতে হবে নতুন চাকরিতে। কাল কি পরশু চলে যেতে হবে ঢাকার বাইরে। আজ এই দিনে আমার বিগত ১০ বছর চোখের সামনে ভেসে উঠছে আলোর ঝলকের মত। কত স্মৃতি, কত সুখ, কত বেদনার স্মৃতি বিযুক্ত এই শহর ছেড়ে চলে যাব কোন সভ্যতা বিবর্জিত জায়গায়! আমার প্রতিদিনের পরিচিত চেনা মুখগুলোকে আর দেখা হবে না কত দিনের জন্য কে জানে?
রাসেল ভাইয়ের সাথে সেই হংকং রেস্তোরার সকালের চা আর সিগারেট আর মাঝে মাঝে নাস্তা খেতে পারবনা আর! এ অসলে হয় না। দেড় বছরের অভ্যাস।
কলিগ জেসমিন মিস, রাশেদ স্যার, আমাদের স্কুলের এডমিন নাসিমা মিস, খুরশিদ মিস, স্কুলের ছাত্রছাত্রী সবাই কে মিস করব।
আমার মন তাই অসম্ভব খারাপ। কিছু লেখতেও ইচ্ছে করছে না।
আমার সব বন্ধু, শুভাকাঙ্খী, আর পরিচিত সবাই ভাল থেকো। আবার যেন তোমাদের মাঝে মিশি যেতে পারি, আবার যেন ব্লগ লেখতে পারি তার জন্য আশীর্বাদ/দোয়া করো।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৫:৪৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




