ব্লগিমেটকে মাইক্রোব্লগ, নরমালব্লগ এবং সোস্যাল মিডিয়ার সম্বনিত রুপ হিসেবে ধরে নেয়া হয়। টুইটার এবং অন্যান্য সার্ভিসে ১৪০ বা তার চেয়েও কম ওয়ার্ড যোগ করা যায়, যেখানে ওয়ার্ডপ্রেস,ব্লগস্পট অন্যান্যরা নরমাল ব্লগ লিখতে পারে সেখানে ব্লগিমেটে ছোট এবং বড় যেকোন ধরনের ব্লগ লিখার সুবিধা দিয়ে থাকে। ব্লগিমেট-ই প্রথম লাইফ ব্লগিং এর সিস্টেম চালু করেছে যার মাধ্যমে ভিজিটররা যেকোন ইভেন্ট এর সংবাদ সাথে সাথে পাবে।

ফ্র্যান্ড এবং ফলোয়ার তৈরি করার সুবিধা নিয়ে ব্লগিমেট মাইক্রোব্লগ এবং নরমাল ব্লগের মধ্যে সেতুবন্ধন রচনা করেছে।
কেন ব্লগিমেট ব্যবহার করবেনঃ
সহজ কথায় বলতে ব্লগিমেটের মাধ্যমে ব্লগ তৈরি খুবই সহজ। এটা ব্লগারকে ফলো করা এবং তাদের আর্টিকেল শেয়ার করার সুবিধা দেয়। ব্লগিমেট এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যা নরমাল ব্লগের ভাল অংশ এবং মাইক্রো ব্লগের ভাল অংশের সমন্বয়। এটা নরমাল ব্লগের মত মাল্টিমিডিয়াসহ বড় বড় আর্টিকেল প্রকাশ করার সুবিধা দেয়, সেইসাথে মাইক্রো ব্লগের মত ব্লগারদের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি করে একটি সামাজিক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে।
বিভিন্ন ধরনের ফরমেটঃ
ব্লগিমেট বিভিন্ন ধরনের মিডিয়ার সাহায্যে আর্টিকেল প্রকাশ করতে পারে, যা অন্যান্য ব্লগিং সাইট হতে একে ভিণ্ণতর স্তরে নিয়ে গেছে। এখানে বিভিণ্ণ ধরণের টেম্পলেট পাওয়া যায়, যার মাধ্যমে নরমাল টেক্সট,ফরমেটেড টেক্সট, ছবি, এম্বিডেট ভিডিও, অডিও, এটাচড ফাইল, প্রোগ্রামিং সিনটেক্সট আর্টিকেলে সংযোগ করা যাবে। এখানে প্রতিটি টেম্পলেট একেকটি সেকশান হিসেবে সংযোগ করা যাবে, যা সম্মলিতভাবে আর্টিকেলকে প্রকাশ করবে।এটি খুব সহজ এবং ব্লগ লিখার জন্য নতুন সিস্টেম।
ব্লগিমেট API:
টুইটার এবং ফেইসবুকের মত ব্লগিমেট API সরবরাহ করে, যার ফলে যেকোন ডেভোলাপার ব্লগিমেটের জন্য এপ্লিকেশান তৈরি করতে পারে। সকল API HTTP নির্ভর এবং এর ডাটার ধরন XML, যার ফলে ডেভোলাপারা সহজে এই API ব্যবহার করতে পারে।
অন্যান্য সুবিধাসমুহঃ
টুইটারের মত ব্লগিমেটের মাধ্যমে অন্যান্য ব্লগারের আর্টিকেল ফলো করা যায় এবং ফেইসবুকের মত অন্যান্য ব্লগারকে ফ্র্যান্ড হিসেবে সংযোগ করা যায়। ব্লগিমেট ফ্র্যান্ড এবং ফলোয়ারের আর্টিকেলসমুহ ড্যাশবোর্ডে প্রকাশ করে থাকে।যেকোন আর্টিকেলকে ফেভারেট হিসেবে সেইভ করে রাখা যাবে যা পরবর্তীতে তথ্যভান্ডার হিসেবে কাজ করবে।ব্লগিমেট সাজেস্ট নামে একটি নতুন ফিচার প্রবর্তণ করেছে,যার মাধ্যমে একজন সদস্য যেকোন আর্টিকেল তার ফ্র্যান্ডদের পড়ার জন্য রিকোয়েষ্ট পাঠাতে পারবে। এখানে ফলো করা এবং ফ্র্যান্ড তৈরি করা খুবই সহজ। শুধুমাত্র “Follow” এবং “Add As Friend ” বাটনে ক্লিক করলেই হবে। এখানে ফলো করার জন্য ফলোয়ারের সম্মতির প্রয়োজন হয় না,কিন্তু ফ্র্যান্ড রিকোয়েষ্টের জন্য সম্মতির প্রয়োজন।
ব্লগিমেটের অপশনসমুহঃ
ব্লগিমেটে যেকেউ একটি ব্লগের উপর কতৃত্য করতে পারবে।এখানে কয়েকজন লেখকের সমন্বয় গ্রুপ আর্টিকেল তৈরি করা যায়। ব্লগিমেটে যেকোন আর্টিকেলের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রাইভেসি পলেসি আছে,ব্লগার চাইলে শুধুমাত্র ফ্র্যান্ডদের সাথে অথবা ফ্র্যান্ড এবং ফলোয়ারদের সাথে আর্টিকেল শেয়ার করতে পারবে, ঠিক তদ্রুপ কারা আর্টিকেলে মতামত দিতে পারবে তাও নির্ধারন করা যায়। সাধারনত আর্টিকেল পোষ্ট করার সময় পাবলিক স্ট্যাটাস “hide”হয়ে থাকে,যা যেকোন অসম্পুর্ণ লিখাকে সবার সামনে প্রকাশ করবে না।
উইজেটঃ
ফেইসবুক, টুইটারের মত ব্লগিমেটে উইজেট তৈরি করার সুবিধা দিয়ে থাকে। এর ফলে ব্লগিমেটের আর্টিকেলগুলো অন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা যায়।
RSS Feed এবং Share:
ব্লগিমেট ব্লগার এবং ব্লগের জন্য সয়ংক্রিয়ভাবে RSS Feed তৈরি করে থাকে। ব্লগিমেট এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে করে সহজেই একটি আর্টিকেলকে অন্যান্য সোস্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করা যায়। আর্টিকেল লিখার সাথে সাথে ব্লগিমেট শেয়ারের অপশনগুলো দেখাবে এবং আর্টিকেলের জন্য ছোট লিংক তৈরি করে দিবে।BGM.ME(official URL shortner for blogymate)এই লিংক ছোট করার কাজ করে থাকে।
শেষকথাঃ
ব্লগিমেট ব্লগ লিখার জন্য সহজ ক্ষেত্র, যা প্রতিনিয়ত কিছু নিবেদিত প্রোগ্রামার দ্বারা আপডেট হচ্ছে। নতুন ব্লগার,ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং নিজস্ব আর্টিকেল লিখার জন্য ব্লগিমেট সবচেয়ে উওম ওয়েবসাইট।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




