ধনীরা সাজছে ভূমহিীন, এই শরিোনামে আজ শনবিার প্রথম আলো পত্রকিায় একটি প্রতবিদেন ছাপানো হয়ছেে ।প্রতবিদেনটি হচ্ছে এমন....
নজিকেে ভূমহিীন দাবি করে খাসজমি পতেে আবদেন করছেনে রাজশাহীর চারঘাটরে তালবাড়য়িা গ্রামরে এই বাড়রি মালকি আবদুস সাত্তার (বাঁয়)। অথচ একই উপজলোয় দরদ্রি অরুণা চন্দ্র দাসরে আবদেনপত্রটি খুঁজইে পাওয়া যাচ্ছে না এমনই লেখা হয়েছে শিরোনামে , পরেরটুকু হল এমন..........
পাঁচ কক্ষবিশিষ্ট পাকা বাড়ি আছে তাঁর। আছে বাগান ও আবাদি জমি। তবু তিনি খাসজমি পেতে ভূমিহীন হিসেবে আবেদন করেছেন। রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার চক কাপাশিয়া গ্রামের তথাকথিত এই ভূমিহীন হচ্ছেন মহসিন আলী। একই উপজেলা সদরের সাদিপুর এলাকায় রাস্তার ধারে খুপরি ঘরে সাত সদস্য নিয়ে বাস করেন অরুণা চন্দ্র দাস। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় খাসজমি থেকে উচ্ছেদ করা হয় তাঁকে। সে সময় তিনি এক টুকরো জমির জন্য আবেদন করেন। এত দিনেও জমি বন্দোবস্ত পাননি তিনি। উপরন্তু তাঁর আবেদনপত্রটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। প্রকৃত ভূমিহীনেরা এভাবেই উপেক্ষিত হচ্ছেন। আর জমিজমা আছে এমন অনেকে খাসজমি বন্দোবস্ত পেতে আবেদন করেছেন রাজশাহীর বিভিন্ন উপজেলার ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ে। চারঘাট ও দুর্গাপুর উপজেলায় খোঁজ নিয়ে এমন শতাধিক আবেদনকারীর খোঁজ পাওয়া গেছে। চারঘাটে ২০০৯-২০১০ সালে জমির জন্য ৩০২ জন ভূমিহীনের আবেদনপত্র জমা পড়ে। জুন মাসের পর আরও ৮৪টি আবেদন জমা পড়ে। সেগুলো এখনো বাছাই কমিটিতে যায়নি। এদিকে দুর্গাপুরে গত বছরের অক্টোবরে দরখাস্ত আহ্বান করা হয়। গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৪৩টি আবেদনপত্র জমা পড়েছে। চারঘাটের তালবাড়িয়া গ্রামের আম-ব্যবসায়ী আবদুস সাত্তার খাসজমির জন্য আবেদন করেছেন। উপজেলা ভূমি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার তালবাড়িয়া মৌজায় তাঁর নামে দুই দাগে ১ দশমিক ৭২২ একর জমি রয়েছে। ৪ এপ্রিল তালবাড়িয়া গ্রামে সরেজমিনে দেখা গেছে, সাত্তারের টিনশেড পাকা বাড়ি। স্থানীয় লোকজন জানান, তিনি এলাকার একজন বড় আম-ব্যবসায়ী। তবে সাত্তার জানান, যে জমির জন্য তিনি আবেদন করেছেন, সেটি তাঁর কেনা সম্পত্তি। নিবন্ধন করতে গিয়ে দেখেন, জমিটা খাস। তিনি ওই জমি নিজের নামে বন্দোবস্ত পেতে আবেদন করেছেন।
৫ এপ্রিল সকালে চক কাপাশিয়া গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, মহসিন আলীর আলিসান বাড়ি। গ্রামের মধ্যে অবস্থাসম্পন্ন পরিবার। মহসিনের অপর দুই ভাইয়েরও একই রকম অবস্থা। মহসিন সে সময় বাড়ি ছিলেন না। মাঠে গিয়ে তাঁকে পাওয়া গেল। তিনি খাসজমির জন্য আবেদন করার কথা স্বীকার করে জানান, ওই জমিটা তাঁদের পৈতৃক। ভুলবশত খাস খতিয়ানভুক্ত হয়ে গেছে। এ জন্য তিনি পত্তন নিতে আবেদন করেছেন। খাসজমি সরকার শুধু ভূমিহীনদের মধ্যে বরাদ্দ দিচ্ছে। আপনার মতো অবস্থাসম্পন্ন লোক কেন আবেদন করেছেন, জানতে চাইলে তিনি দাবি করেন, তাঁর ভিটা ছাড়া আর কোনো জমি নেই। অথচ কথা বলার শুরুতে তিনি যে জমি চাষ দিচ্ছিলেন, সেটি তাঁর নিজের বলেই জানিয়েছিলেন। উপজেলা ভূমি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মহসিন আলীর নামে প্রায় ১৫ বিঘা জমি রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চারঘাটের নিমপাড়া ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি অবস্থাসম্পন্ন লোক ভূমিহীন হিসেবে খাসজমি বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করেছেন। এই ইউনিয়নের নিমপাড়া গ্রামের মাজদার রহমানের সাড়ে তিন একর জমি রয়েছে। তার পরও তিনি ৩৩ শতাংশ খাসজমির জন্য আবেদন করেছেন। রামচন্দ্রপুর গ্রামের সাবদুল হকের নামে ৮০ শতাংশ জমি আছে। তিনি ৩০ শতাংশ জমির জন্য আবেদন করেছেন। কালুহাটি গ্রামের আবদুল করিমের ৬১ শতাংশ জমি থাকার পরও ১৯ শতাংশ জমির জন্য আবেদন করেছেন তিনি। একই গ্রামের আছেন আরও চারজন। এঁরা হলেন: চয়েন উদ্দিন, কামরুল হাসান, জামাল উদ্দিন ও রবিউল ইসলাম। তাঁদের প্রত্যেকের নামেই জমি আছে। তবু তাঁরা খাসজমির জন্য আবেদন করেছেন। দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলতাফ হোসেন শেখ সম্প্রতি সরেজমিন তদন্ত করে এমন নয়জন আবেদনকারীকে শনাক্ত করেছেন, যাঁদের সবাই সচ্ছল। অথচ তহশিলদার ও ইউপি চেয়ারম্যানরা তাঁদের আবেদন উপজেলায় পাঠিয়েছেন। তিনি আবেদনগুলো আটকে দিয়েছেন। চারঘাট উপজেলার ইউএনও আ ন ম বজলুর রশিদ জানান, গত মাসে তাঁরা ছয়টি ইউনিয়নের আবেদনকারীদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। অবস্থাসম্পন্ন আবেদনকারীরা উপস্থিত না হয়ে বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালাচ্ছেন।
সূএঃ

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




