"প্রথম চাকরি প্রথম প্রেমের অনুভূতির মত"
ছোটবেলায় যখন কল সেন্টারে কল দিয়ে কাস্টমার ম্যানেজারের কথা শুনতাম, ঠিক তখন থেকেই ইচ্ছা ছিল এমন একটা চাকরি করার। সেই ইচ্ছা পূরণ হয় ২০১৫ সালের ৩০শে জুলাই। জয়েন করলাম গ্রামীণফোনের কল সেন্টারে।
জীবনের প্রথম চাকরি ছিল এটা। নতুন নতুন খুবই ভালো লাগত। বিচিত্র সব মানুষজন কল করত তাদের সমস্যা নিয়ে। ১ টা সমস্যা নিয়ে কল করলেও কখনোই তারা ৫/৬ টা সমস্যার সমাধান না নিয়ে ফোন রাখত না। কিছুদিনপর উপলব্ধি করতে পারলাম কল সেন্টারের চাকরির মধ্যে সবচাইতে চ্যালেঞ্জিং হচ্ছে টেলিকমিউনিকেশনের চাকরি।
ব্যাংকে শুধুমাত্র ব্যাংকাররা ফোন করে, এয়ারলাইন্সের হটলাইনে শুধুমাত্র যাত্রীরা এবং এই দুশ্রেণীর মানুষজনই শিক্ষিত। কিন্তু টেলিকমিউনিকেশনের হটলাইনে সমাজের সকল স্তরের মানুষজন কল করে এবং তাদের সমস্যার কোন অন্ত নেই। এই দুবছরে যত অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি তার মধ্যে সর্বত্তম হচ্ছে মানুষ চেনার অভিজ্ঞতা, যেটা জীবনে সবচাইতে বেশি কাজে দিবে।
এছাড়াও গ্রামীণফোন যে কর্পোরেট কালচার শিক্ষা দিয়েছে সেটা দিয়ে নিঃসন্ধেয়ে যে কোন কোম্পানিতে অনায়াসে মিশে যাওয়া যাবে। শুধু তাই না, মানুষের সাথে মেশার এবং মানুষকে বোঝার শিক্ষা জীবনে অনেক কাজে লাগবে।
তবে এই দুবছরে প্রাপ্তি যেমন আছে, তেমনি হারিয়েছি অনেককিছু। হারিয়েছি; বন্ধুদের আড্ডা, ক্যাম্পাসের ভালোলাগা, পরিবারের সময়, বছরের সবচাইতে বিশেষ দিন (ঈদের দিন) এবং আরও অনেককিছু।
তবুও বন্ধুমহলে এবং পরিবারে মাথা উঁচু করে বাঁচার অধিকারটুকু দিয়েছিল গ্রামীণফোন।
"প্রথম চাকরি আসলেই প্রথম প্রেমের অনুভূতির মত"
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:১৬