" For God sake, hold your toung and let me love, - দোহাই তোদের একটুকু চুপ কর, ভালবাসিবারে দে মোরে অবসর"- রবি ঠাকুর এর এই পন্ক্তিটি এক সময় আমারে প্রচন্ড ভাবে অনুপ্রানিত করত। "শেষের কবিতা" উপন্যাসটি যে কতবার শুনেছি সেটার ইয়ত্তা নেই। শুধু তাই নয়, শমরেশ মজুমদার এর উপন্যাস গুলো গোগ্রাসে গিলতাম আর কল্পনায় আসতো মাধবিলতা কিন্বা দিপাবলি অথবা লাবন্য এর মত কোন এক চরিত্র। কতভাবেই না আশা করতাম, কোন একদিন আমার জীবনে আসবে অবাক করা ভালবাসা।
প্রভাতি লগ্নে শিশির ভেজা ঘাস, চারিদিকে পাখিদের কিচির-মিচির কলরব, মৃদুমন্ড হাওয়া, সেই হাওয়াতেই আশেপাশের গাছপালার ডাল-পালা যেন কুর্নিশ করছে, এরকম একটা মুহুর্তে আবির্ভাব হবে আমার কল্পনার সেই প্রেমিকা, পড়নে সবুজ জামদানি শাড়ি, জলে ভেজা এলকেশ থেকে বিন্দু বিন্দু জলকনা গড়িয়ে পড়ছে ধিরে ধিরে।কাছে এসে আমায় বলবে, "ভালবাসি তোমায়"!! আফসোস, জীবনের এইসব কল্পনা মনের ভিতর রয়ে গেল।
মানুষ সব সময় যা চায়, তা যে পাবেই এ কখনই হবার নয়। আমার ক্ষেত্রেও যে তাই হয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।আর সেটার সুরু সেই স্কুল জীবন থেকেই।মনে মনে কতবার কত কিছু চেয়েছি, কিন্তু হায় কপাল, সেই সব চাওয়া মনের মধ্যে রয়ে গেছে। আগে খুব আফসোস হত, আর কতবার যে ঈশ্বর কে দুযেছি সেটারও হিসেব নেই।এখন সেই সব স্মৃতি রোমন্থন করলে হাসি পায়।কি ছেলেমানুষী যে করতাম আগে! আর এখন যেন কোন কিছুই মনের মধ্যে আচড় কাটেনা। একারণেই হয়ত বলা হয়, সময় সব শোকের সবচেয়ে বড় নিরামক।
প্রথমে ভেবেছিলাম আমার জীবনের লাবন্যের কথা সবার সামনে তুলে ধরব,পড়ে মনে হল এটা তো উপন্যাস নয়। আমার লাবন্যতো শুধু আমার।হোকনা, বাস্তবে সে আমার পাশে নেই, কিন্তু আমার শয়নে-স্বপনে,চিন্তা-কল্পনায় সব সময় সে তো আছে আমার সঙ্গী হয়েই।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




