বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অনেক প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশের অস্তিত্বের স্বাক্ষী এই জাতীয় পতাকা। আমাদেরই এই পতাকার প্রকৃত সম্মান দিতে হবে। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার নির্দিষ্ট মাপ এবং রং আছে এবং নির্দিষ্ট নিয়ম আছে যার অধীনে জাতীয় পতাকার সম্মান রক্ষিত আছে।
অনেক আইনসিদ্ধ নিয়মের মধ্যে একটা হচ্ছে- বিদেশী পতাকা বাংলাদেশে অবস্থিত সেই দেশের কাউন্সিলর অফিস, প্রধান ডিপ্লোম্যাটিক মিশন এবং তাদের আবাসিক স্থানে উত্তোলন করতে পারবে। বিদেশী কোন রাষ্ট্র প্রধান, প্রধানমন্ত্রী অথবা কোন মন্ত্রী সফরকালে তাদের যদি রীতি থাকে তবে কারে বা বিমানে জাতীয় পতাকা উড়াতে পারবে। এছাড়া বাংলাদেশে অবস্থিত কোন দূতাবাসে তাদের রাষ্ট্রীয় দিবসে বিদেশী পতাকা উত্তোলন করতে পারবে সেক্ষেত্রে একই সাথে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে হবে। জোড় সংখ্যক পতাকা হলে বাংলাদেশের পতাকা সামনে থেকে ডানদিকে রাখতে হবে এবং বিজোড় সংখ্যক হলে বাংলাদেশের পতাকা মাঝখানে রাখতে হবে।
উপরের সকল ক্ষেত্রে শুধুমাত্র সেই সকল দেশ সুবিধা পাবে যারা অনুরূপ সুবিধা বাংলাদেশের জন্য রেখেছে। অন্যথায় কোন অবস্থাতেই বিদেশী পতাকা বাংলাদেশের কোন ভবন বা অফিসে বা অন্য কোথাও উত্তোলন করা যাবে না।
এবার আসল আলোচনায় আসি। সামনে বিশ্বকাপ ফুটবল। এই উপলক্ষে অনেকে ঘরে থাকা গত বিশ্বকাপের পতাকা খুঁজে বের করা শুরু করেছে। অনেকে আবার অগ্রিম দর্জিকে অর্ডার দিয়ে রেখেছে তার ফেভারিট দেশের পতাকার জন্য। বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার অনেক আগে থেকে এসব পতাকা ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশের প্রতিটা শহরে অনেক বাড়িতে উড়তে থাকে। খেলা শেষ হয়ে গেলেও অনেক বাড়িতে মাসাধিককাল এই পতাকাগুলি উড়তে দেখা যায়। অথচ নিজের দেশের পতাকা কি মাপের এবং কিভাবে হলো এসব হয়তো জানে না এবং পতাকার কি গুরুত্ব তা পর্যন্ত জানে না এমনই অনেকে বিদেশী পতাকার জন্য ব্যস্ত হয়ে ওঠে। অথচ এটা কোনভাবেই উচিত না এবং সচেতন বাংলাদেশীর কাম্য না।
আর্জেন্টিনা বা ব্রাজিল কিংবা ইতালী-তুরস্ক-সৌদি আরব যেই হোক না কেন, এসব পতাকা উড়ানো আইনগতভাবে নিষেধ।
আমাদের জাতীয়তার প্রতীক জাতীয় পতাকা। এই পতাকার সম্মান আমাদের যেকোন মুল্যে রাখতে হবে। এজন্য যতটা না সরকারী ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজন তার থেকে বেশি প্রয়োজন আমাদের সবার সচেতনতা এবং এ ব্যাপারে মানুষকে সজাগ করা।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




