কাল : জুলাই ২০১৩-র এক সকাল।
চরিত্র : কোচের টিকেট কিনতে আগ্রহী যাত্রী কাউন্টারের সামনে এবং টিকেট বিক্রেতা কাউন্টারের ভেতরে।
যাত্রী : আমার ছয়টা টিকেট দরকার। ঢাকা টু টুঙ্গিপাড়া রিটার্ন।
কাউন্টার কার্ক : টুঙ্গিপাড়া? ছয়টা টিকেট? রিটার্ন?
যাত্রী : হ্যা।
কার্ক : ঈদের আগে অসম্ভব। সব টিকেট রমজানের আগেই বিক্রি হয়ে গিয়েছে।
যাত্রী : না। আমি রমজানের পরে টিকেট চাচ্ছি।
কার্ক : রমজানের পরের সব সিটও চলে গেছে।
যাত্রী : আশ্চর্য! রমজানের পরও কোনো টিকেট নেই!
কার্ক : এবার খুব সম্ভবত নয়ই আগস্টে ঈদ-উল ফিতর উদযাপিত হবে। আর তারপর পনেরই আগস্টে বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু দিবস। প্রতি বছরই তো বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুদিবস থাকে। কিন্তু এই বছরে কেন জানি না সেখানে যাবার জন্য এত ভীড়। আমাদের আর কোনো টিকেট নেই। পনেরই আগস্ট পর্যন্ত সব টিকেট শেষ।
যাত্রী (চিন্তিত মুখে) : তাহলে?
কার্ক (নরম এবং সহানুভূতির স্বরে) : টুঙ্গিপাড়াতে মধুমতি এন্টারপ্রাইজের বাসও যায়। আপনি ওদের কাউন্টারে ট্রাই করতে পারেন।
যাত্রী : আপনার এখানে যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে ওখানেও একই অবস্থা হবে।
কার্ক : হতে পারে।
যাত্রী (ব্যগ্র স্বরে) : প্লিজ, প্লিজ। যে করেই হোক আমাকে ঈদের পরে যে কোনো দিনে ছয়টা রিটার্ন টিকেট দিন। আমি খুব বিপদে পড়েই এই রিকোয়েস্টটা করছি। প্লিজ, ভাই সাহেব। ডাবল দাম দিতে হলেও দেব।
কার্ক (কৌতুহলী) : বিপদ? আপনার বিপদটা কি?
যাত্রী : বিপদ আপনার, আমার, সবারই। আজকের পত্রিকা পড়েন নাই?
কার্ক : পড়েছি তো। কোন খবরটার কথা বলছেন?
যাত্রী (দৈনিক নয়া দিগন্ত-র একটি পৃষ্ঠা খুলে ধরে) : এই দেখুন। আমি পড়ে শোনাচ্ছি।
ঈদের পর লোডশেডিংয়ের প্র্যাকটিস।
বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নতি ঘটলেও এ নিয়ে সমালোচনায় হতাশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ জন্য ঈদুল ফিতরের পর বিদ্যুৎ উৎপাদন ছয় বছর আগের অবস্থায় নিয়ে যাওয়ার কথাও বলেছেন তিনি।
গতকাল শনিবার গণভবনে এক অনুষ্ঠানে শেষ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় গিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ালেও বিএনপি জামায়াত জোটের শাসনে তা আবার কমে যায়। ১৬শ মেগাওয়াট থেকে আমরা চার হাজার ৩০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করেছিলাম। সাত বছর পরে (২০০৯ সালে) এসে পেলাম তিন হাজার ২০০ মেগাওয়াট।
বর্তমান মেয়াদে ক্ষমতায় গিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন আবার বাড়ানোর কথা তুলে ধরেন শেখ হসিনা।
আট থেকে নয় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্যাপাসিটি আমরা অর্জন করেছি। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে করেছি। গতকালকেও ছয় হাজার ৬৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। সমস্যার সমাধান করলেও সমস্যা। সেটা নিয়েও কথা। কুইক রেন্টাল কেন করা হলো? অমুক কেন করা হলো?
শেখ হাসিনা বলেন, আমি যদি এখন সিদ্ধান্ত নেই, যারা সমালোচনা করে এবং মানুষকে বোঝানোর জন্য তিন হাজার ২০০ মেগাওয়াট রেখে বাকি ৫৪-৫৫ টা যে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করেছি সেটা বন্ধ করে রাখি দু-চার দিন। তখন অবস্থাটা কি হবে?
রোজার পরে এ রকম একটা প্র্যাকটিস করতে হবে। মানুষকে বোঝানোর জন্য কি ছিল আর এখন কি আছে? না হলে এই সমালোচনা চলতেই থাকবে। ঈদের পর এই ধরনের প্র্যাকটিস ঘোষণা দিয়েই করা হবে, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
বিদ্যুৎ নিয়ে সমালোচনার জবাবে গত বছরও সংসদে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, তিনি নিজেই প্রতিদিন সকালে এক ঘণ্টা এবং বিকেলে এক ঘণ্টা করে লোডশেডিং দিতে বলেছেন, যাতে মানুষ ভুলে না যায়, তারা কি কষ্টে ছিল।
কার্ক (সবিস্ময়ে পুরোটা শোনার পর) : কি আশ্চর্য! কি আশ্চর্য! লোডশেডিং তো এমনিতে রোজই চলছে। বারবার। বিএনপি আমলেও কিছু লোডশেডিং ছিল। কিন্তু এখন বেশি লোডশেডিং কিনছি বেশি দামে। তিনগুন বেশি দামে। অথচ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন বিদ্যুৎ উৎপাদন বেশি হচ্ছে।
যাত্রী : দেখুন, বিদ্যুৎ উৎপাদন অর্থাৎ জেনারেশন হয়তো বেশি হচ্ছে। কিন্তু বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্থাৎ ডিস্টৃবিউশন ঠিক মতো হচ্ছে না। সাপ্লাই ম্যানেজমেন্টে বিশাল ঘাপলা আছে। তাই বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না অথবা যেটুকু পাচ্ছেন আগের চাইতে তিনগুন বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।
কার্ক : খবরটা তো প্রথম আলো-তে নেই।
যাত্রী : প্রথম আলোতে খবরটা নেই কারণ এটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কোনো খবর নয়। সে যাই হোক না কেন প্লিজ আমার জন্য ছয়টা টিকেটের ব্যবস্থা করুন। আমি ব্ল্যাকমার্কেট রেটও আপনাকে দিতে রাজি।
কার্ক (দৃঢ় স্বরে) : আমাকে দুর্নীতির লোভ দেখাবেন না।
যাত্রী : কুইক রেন্টালের বদৌলতে এখন দেশে যে বিদ্যুৎ আছে তার জন্মই তো দুর্নীতির মধ্য দিয়ে। সুতরাং, প্লিজ, রিফিউজ করবেন না।
কার্ক : তার আগে বলুন, এই খবরের সঙ্গে আপনার টুঙ্গিপাড়া যাওয়ার সম্পর্কটা কি?
যাত্রী : বিষয়টা একটু বুঝিয়ে বলতে হবে। ধৈর্য ধরে শুনতে হবে।
কার্ক : বলুন।
যাত্রী : প্রধানমন্ত্রী ঈদের পরে ঘোষণা দিয়ে চারদিন লোডকোজিং করবেন বলেছেন
কার্ক (কথা থামিয়ে দিয়ে) : কি বললেন? লোডকোজিং?
যাত্রী : হ্যা। লোডকোজিং। এখন ঘণ্টায় ঘণ্টায় যে বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে সেটা লোডশেডিং কিন্তু চারদিন এক নাগাড়ে যে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে সেটা হবে লোডকোজিং।
কার্ক (মাথা নেড়ে) : বুঝলাম।
যাত্রী : আমি বিশ্বাস করি প্রধানমন্ত্রী একজন সিরিয়াস পার্সন। যদিও তার আগের প্রধানমন্ত্রীত্বের সময়ে ড. কামাল হোসেনের বড়ির সামনে আবর্জনা ফেলার প্রেক্ষিতে জনৈক বিচারপতি তাকে রং হেডেড পার্সন বলেছিলেন। আমি বিচারপতির কথা মানতে রাজি নই। আমি জানি প্রধানমন্ত্রী খুব ভেবেচিন্তে তার কথাগুলো বলেন। আর তিনি যা বলেন, তা পালন করেন। ২০০৮এর নির্বাচনের আগে তিনি বলেছিলেন মানুষকে দশ টাকা কেজি দরে চাল খাওয়াবেন। চাষীদের ফৃ সার দেবেন। ঘরে ঘটে একটা করে চাকরি দেবেন। সেসব কথাই তিনি রেখেছেন। সুতরাং এই কথাও তিনি রাখবেন। ঈদের পরে চারদিন লোডকোজিং প্র্যাকটিস করবেন।
কার্ক : কি যে বলেন? দশ টাকা কেজি চাল হয়নি, ফৃ সার হয়নি। ঘরে ঘরে চাকরিও হয়নি।
যাত্রী : আপনি একজন রাজাকারের মতো বলছেন। আপনি মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাস করেন না। শুনুন। আপনি প্রধানমন্ত্রীর কথা বিশ্বাস করুন। তার ওপর আস্থা রাখুন।
কার্ক : আপনি তাকে বিশ্বাস করেন, তার ওপরে আস্থা রাখেন। তাহলে বিপদটা কোথায়?
যাত্রী : ঈশ্বরের ওপর বিশ্বাস এবং আস্থা রাখলেই যে মানুষ বিপদে পড়বে না, সেটা আপনাকে কে বলল? পথের পাশে নীল পলিথিনে ঘেরা বস্তির মানুষকে দেখুন। তারা তো আল্লাহ খোদায় বিশ্বাসী। অথচ কি রকম দুঃখভরা জীবন তারা কাটাচ্ছে। ভাই সাহেব, বিপদ কার কতোখানি হবে সেটা নির্ভর করে টাকার ওপরে। যার টাকা থাকে তার বিপদ কম হয়। চারদিনের লোডকোজিংয়ে আমি ঢাকা থেকে সপরিবারে পালিয়ে টুঙ্গিপাড়ায় আশ্রয় নেব। যাদের আমার চাইতে বেশি টাকা আছে তাদের বিপদ হয়তো হবে না। তারা চারদিন অনবরত জেনারেটর চালাবে প্রধানমন্ত্রীর গণভবনের মতোই। আর আমার চাইতে কম টাকা যাদের আছে তারা ঢাকায় থেকে কষ্টভোগ করবে। তাদের কেউ কেউ হয়তো মারাও যাবে।
কার্ক (শংকিত স্বরে) : মারা যাবে? কেন?
যাত্রী : বহু কারণে। বিদ্যুৎ না থাকলে একদিন পর কারো বাড়িতে পানি থাকবে না। কারণ পানি সাপ্লাই নির্ভর করে বিদ্যুৎ সাপ্লাইয়ের ওপর। ওয়াসা থেকে বাড়িতে এবং বাড়িতে পাম্পের ওপর। আর পানি যদি না থাকে তাহলে মানুষ রান্নাবান্না, ধোয়াধুয়ি, গোসল ইত্যাদি করবে কি করে? টয়লেট ফাশ করবে কি করে? শহরের বাসস্থানগুলো তো দুর্গন্ধে ভরে যাবে। পানির অভাবে কিছু মানুষ মারা যাবে।
কার্ক (চিন্তিত স্বরে) : হতে পারে। কজন আর মিনারাল ওয়াটার কিনতে পারে?
যাত্রী : ধনীরা পারবে। তারা টয়লেট ফাশিংয়েও মিনারাল ওয়াটার ইউজ করবে। তারপর দেখুন। বিদ্যুৎ না থাকলে ফ্যান এসি কিছুই চলবে না। গরমে কিছু মানুষ মরবে। সব হাইরাইজ বিলডিংয়ে লিফটগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। যারা ওপরের দিকে থাকেন তারা খাবারÑদাবার কেনাকাটার জন্য কতোবার নিচে নামতে পারবেন? নামলেও উঠতে পারবেন কি? এই ওঠানামা করতে গিয়ে অনেকেই পটল তুলবেন। কিন্তু সেসব খবর টিভি অথবা রেডিওতে জানা যাবে না। কারণ টিভি রেডিও নিজেদের জেনারেটরে খবর সম্প্রচার করলেও কেবল অপারেটরা ইমার্জেন্সি জেনারেটর একটানা বেশিক্ষণ চালাতে পারবে না। আর চালালেও, বাড়িতে বিদ্যুৎ না থাকলে কোনো অনুষ্ঠানই কেউ দেখতে পারবে না, শুনতে পারবে না। আইপিএস সব একদিন পরেই অচল হয়ে যাবে রিচার্জ না হবার কারণে। আর এসব বিপদে যে আপনি ফোন করে কারো সাহায্য চাইবেন সেটাও পারবেন না। কারণ মোবাইল ফোন রিচার্জ করা যাবে না। সব অফিস, ফ্যাকটরি, হসপিটাল, কিনিক বন্ধ হয়ে যাবে দ্বিতীয় দিনেই। আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসকেও খবর দিতে পারবেন না। সবচেয়ে বড় বিপদ হবে আইন শৃংখলার ক্ষেত্রে। প্রথম রাত থেকেই ল অ্যান্ড অর্ডার বলে কিছু থাকবে না। ছিনতাইকারী, চোর, ডাকাত সবার হবে পোয়া বারো। বিশ্বের অতি উন্নত শহর নিউ ইয়র্কে এক রাত লোড শেডিংয়ে অপরাধের মাত্রা বহুগুন বেড়ে গিয়েছিল। বাংলাদেশে, যেখানে সরকারই রাতে সব লাইট নিভিয়ে হত্যাযজ্ঞ চালায়, সেখানে চার রাতে কতো খুন খারাপি হতে পারে, সেটা ভেবে দেখুন।
কার্ক (রুদ্ধশ্বাসে শোনার পর) : শুধু ঢাকা শহরেই এমনটা হবে?
যাত্রী : না। সব শহরেই হবে কম বেশি।
কার্ক : কিন্তু আপনি টুঙ্গিপাড়া যেতে চাইছেন কেন? ছয়টা টিকেট কেন?
যাত্রী : ছয়টা টিকেট আমার, আমার বিবিসাহেব, বুড়ো আব্বা আম্মা, আর দুই ছেলেমেয়ের জন্য। টুঙ্গিপাড়ায় যেতে চাচ্ছি এই জন্য যে ওই চারদিন বাংলাদেশের দুটি স্থানে এসব বিপদ হবে না। এক. প্রধানমন্ত্রীর গণভবনে যেখানে সব ইমার্জেন্সি ব্যবস্থা আছে। এবং দুই. টুঙ্গিপাড়াতে। কারণ, প্রধানমন্ত্রী তার প্রয়াত পিতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং আগামী নির্বাচনে ওখানকার ভোটারদের ওপর নির্ভরশীল। গাজীপুর ছিল তার দ্বিতীয় দুর্গ। সেখানে তার দল সমর্থিত প্রার্থী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে শোচনীয়ভাবে হেরে গিয়েছেন। অনেকে ধারনা করছেন প্রধানমন্ত্রী তার প্রথম দুর্গেও হেরে যেতে পারেন। তাই লোডকোজিংয়ের ওই চারদিন প্রধানমন্ত্রী প্রথম দুর্গে সব রকমের জরুরি ব্যবস্থা নিশ্চয়ই রাখবেন। প্লিজ, ছয়টা টিকেট দেন।
হঠাৎ কাউন্টার কার্কের মোবাইল ফোনটা বেজে উঠল। মনোযোগ দিয়ে তিনি অপর প্রান্তের কথা শুনলেন।
কার্ক : আপনার ভাগ্য খুব ভালো। সমস্যা কিছুটা কেটে গেছে। আপনি ছয়টা টিকেটই পাবেন। প্রতি জনে ছয়শ টাকা রিটার্ন। মোট তিন হাজার ছয়শ টাকা দিন।
যাত্রী (সোচ্ছ্বাসে, মানিব্যাগ থেকে সাত হাজার টাকা রেব করে) : আলহামদুলিল্লাহ। আলহামদুলিল্লাহ। থ্যাংক ইউ। থ্যাংক ইউ। আল্লাহ আপনার হায়াত দরাজ করুন। চেইঞ্জ দিতে হবে না। এই মেহেরবানীর জন্য আপনাকে কিছু দিলাম।
কার্ক : আমাকে কিছু দিতে হবে না। বরং আপনি ধন্যবাদ দিতে পারেন অন্য আরেকজনকে।
যাত্রী : কাকে?
কার্ক : যোগাযোগমন্ত্রী মি. ওবায়দুল কাদেরকে যিনি হতে পারেন আওয়ামী লীগের পরবর্তী জেনারেল সেক্রেটারি অথবা প্রধানমন্ত্রী।
যাত্রী : আমার মুশকিল আহসানে তিনি কি করলেন?
কার্ক : এই মাত্র যোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ এসেছে ইনডিয়ান ধারে গতকাল যে আটাশিটা বিআরটিসি বাস ঢাকায় নামানো হয়েছে সে সবই ডাইভার্ট করে দেওয়া হবে ঢাকাÑটুঙ্গিপাড়া সার্ভিসে, আগামী কয়েকদিনে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের লক্ষ্যে। আপনাদের সবার টুঙ্গিপাড়া যাওয়া হবে। (টিকেট ও চেইঞ্জ ফেরত দিয়ে) আর হ্যা, আপনার সঙ্গে আবার দেখা হবে।
যাত্রী (বিস্মিত) : কোথায়?
কার্ক : টুঙ্গিপাড়াতেই। আপনার পথ আমিও ধরছি। সপরিবারে আমিও ওই চারদিন টুঙ্গিপাড়াতে থাকব।
১৪ জুলাই ২০১৩
facebook.com/ShafikRehmanPresents