somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

টিকে থাকার সংগ্রাম ও রূপান্তরের উৎসব

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমাদের মনে দীর্ঘদিন ধরে একটি শীতল সন্দেহ ঘুরপাক খাচ্ছে—আমরা কি টিকে থাকবো, নাকি ধ্বংস হয়ে যাবো? এই প্রশ্নটি যেন চিরকাল আমাদের মানসিকতা জড়িয়ে রেখেছে। ছোটবেলা থেকে বাবার মুখে শুনেছি, তাঁর বাবারাও একই আশঙ্কা প্রকাশ করতেন। গ্রামের মানুষ, শিক্ষকরাও এই সন্দেহ নিয়ে আলোচনা করতেন। মনে হতো, জাতিটি আর টিকবে না। সময়ের সাথে এই সন্দেহ ধারাবাহিক ও প্রাগৈতিহাসিক হয়ে উঠেছে, তবুও আমরা টিকে আছি।

আমার বাবা, রাগে ফেটে পড়ে বলতেন, "এই জাত আর টিকবে না, সবকিছুতে টাকা দিতে হয়, তাও কাজ হয় না।" কিন্তু বাস্তবে, আমরাই একদিকে ভয় নিয়ে থাকলেও অন্যদিকে টিকে থাকার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাই। ধ্বংসের সম্ভাবনার মধ্যেও প্রাণের টিকে থাকার এক অদম্য শক্তি আছে—এটিই আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে। আজও আমরা ধান বুনে ভয় পাই, চারা গজাবে কিনা, কিন্তু শেষে গজায়। একইভাবে আমাদের পোষা প্রাণীগুলোও, যেমন বিড়াল, কেমন যেন বদলে যাচ্ছে, তবু তারা টিকে আছে।

প্রকৃতপক্ষে, আমাদের চারপাশে টিকে থাকার উৎসব চলছে। তেলাপোকা, কচ্ছপ, এমনকি মানুষের মধ্যেও টিকে থাকার জন্য নানা রূপান্তর ঘটছে। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও বদলে গেছে; তারা আর আগের মতো কাজ করতে পারছে না, কিন্তু তাদের অস্ত্রধারণের ধরন পাল্টে গেছে। কেরানী শ্রেণীও আজ বিরাট গিরগিটির মতো, তাদের জিভ শুধু অপেক্ষায় থাকে আমাদের পকেট শুষে নেওয়ার। এভাবেই তারা পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে টিকে আছে।

আমাদের রাজনীতিক নেতারা কুমিরের মতো; সামনে যা পায়, তা গিলে ফেলে। কিন্তু তাদের গিলে খাওয়ার আগে কিছুটা অশ্রু বিসর্জনও করে। তারা পরিবেশ অনুযায়ী তাদের রঙ বদলে টিকে থাকে। এমনকি আগের দিনের পণ্ডিত শ্রেণী আজ বুদ্ধিজীবী হয়ে টিকে আছে। তাদের আর মস্তিষ্কের প্রয়োজন নেই, শুধু উচ্চকণ্ঠই যথেষ্ট।

আমরা ভেবেছিলাম, নারী জাতি হয়তো টিকবে না, কিন্তু তারাও টিকে আছে। তাদের কমলতা হারিয়ে গেছে, কিন্তু পরিবেশের সাথে তারা খাপ খাইয়ে নিয়েছে।

আজকের পৃথিবীতে আমরা খাপ খাওয়ানো জাতিতে পরিণত হয়েছি। টিকে থাকার জন্য আমাদের রূপান্তর ঘটেছে, নিজেদের বলে কিছু নেই। কিন্তু এটাই আমাদের নতুন শক্তি—আমরা যেকোনো রূপ ধারন করতে সক্ষম, যেকোনো পরিবেশের সাথে মানিয়ে টিকে থাকবো
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের শাহেদ জামাল- ৮১

লিখেছেন রাজীব নুর, ১৫ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ৯:৫৭



শাহেদ। শাহেদ জামাল। আমার বন্ধু।
বড় ভালো ছেলে শাহেদ। অথচ তার চাকরিবাকরি নেই। চাকরিবাকরি তার দরকারও নেই। যার ঘরসংসার নেই সে চাকরি দিয়ে কি করিবে? অবশ্য টাকা এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি ভিক্ষা দিচ্ছেন মানে আপনি জাতিকে পঙ্গু করছেন

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৫ ই জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১:০৫


ভিক্ষা হলো একটি সংস্কৃত শব্দ এর অর্থ হলো চাওয়া বা প্রার্থনা করা যা ভারতীয় ধর্ম যেমন জৈনধর্ম, বৌদ্ধধর্ম ও হিন্দুধর্মে ভিক্ষাকরা বা চাওয়ার কাজকে বোঝাতে ব্যবহৃত হতো। প্রাচীনকালে ভিক্ষা... ...বাকিটুকু পড়ুন

=ভাল্লাগে না কোনো কিছু=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৫ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৫:২৩


ভাল্লেগা না কোনো কিছু
মন বসে না কাজে,
কোন সে দুঃখ জমা হলো
বুকের ভাঁজে ভাঁজে।

ভাল্লাগে না আজকে আমার
মন যে উদাস হলো,
দু'চোখ আমার নীল বেদনায়
জলে টলোমলো।

বৃষ্টি এলো বৃষ্টি গেলো,
আনমনা হই আরও,
মন জমিনে কোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। পদ্মার ইলিশ বিখ্যাত গোটা পৃথিবীতে , কেন ??[/sb

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৫ ই জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১২









Padma Hilsa- বিশেষজ্ঞদের একাংশ দাবি করেন, পদ্মার জলে পুষ্টিগুণ ভাল। সেখানে কাঁকড়া, ঝিনুক, শৈবাল ইলিশের খাবার। আর তা থেকে পর্যাপ্ত পুষ্টি পায় ইলিশ। ফলে মাছের স্বাদও হয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

“তুই তো দুই আনার মালিক, রাস্তায় গিয়ে থাক।”- বৃদ্ধ মাকে ছেলে।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৫ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ৮:১৩




খবরের লিংক

দেখুন। সম্পত্তির লোভে মাকে বাসায় ঢুকতে দেয় না। হয়তো বউ শিখিয়ে দিছে। “আর সহ্য করতে পারছি না। তুমার মাকে এবার বৃদ্ধাশ্রমে পাঠাও।” এমন কথা হয়তো বউয়েরা হর হামেশাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×