somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশের নীতিনির্ধারক, আমলা আর বুদ্ধিজীবীদের বুদ্ধি দেখলে হতবাক হওয়া ছাড়া উপায় নেই

১১ ই জুন, ২০২১ রাত ১১:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দেশের অতিদরিদ্র কেউ প্রতিদিনের খাবার যোগাড়ের ব্যবস্থা করতে পারলেও শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থানসহ সামাজিক অধিকারগুলো তাদের জন্য এখনো চ্যালেঞ্জ ও ঝুঁকির মধ্যে পড়ে রয়েছে।
দেশের ৪৯% জনগোষ্ঠী এখনো দরিদ্র সীমার নীচে, দেশের নাগরিক হিসেবে তাদের প্রাপ্তি সরকারের আগে দেখা উচিৎ। তারা কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি করে বাড়ি-গাড়ি করার চিন্তা করেনা।  তাদের লক্ষ্য থাকে খেয়ে পরে কোনমতে জীবন পার করা। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য, মোবাইল বিল, সরকারি সেবা থেকে দেশের সর্বোচ্চ ধনী থেকে মধ্যবিত্ত ব্যাক্তিরা যে হারে কর দিচ্ছে দরিদ্র জনগোষ্ঠী থেকেও সরকার সে হারে কর নিচ্ছে। সরকারের উচিৎ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ কিছু সুবিধা সমসময় রাখা। অথচ সেটাতো হচ্ছেই না বরং দরিদ্র জনগোষ্ঠী দিন দিন বঞ্চনার শিকার হচ্ছে।
অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, দারিদ্র্য পরিমাপ করা হয় সাধারণত ভোগ দিয়ে। কিন্তু দারিদ্র্য একটা বহুমুখী ধারণা, যেমন শিক্ষা ও চিকিৎসায়ও এর প্রভাব রয়েছে।
আজ পর্যন্ত দেশের বস্তিতে বসবাসকারী, ভাসমান মানুষ ও পথশিশুদের মূলধারার জনগোষ্ঠীর কাতারে আনার কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। নামকাওয়াস্তে কিছু পদক্ষেপ নিলেও সব জলে গেছে এবং উল্টো কিছু মানুষের পকেটভারী হচ্ছে। এই বাজেটেও দরিদ্র ও অবহেলিত জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ কিছু নেই। লক্ষ লক্ষ মানুষ এখোনো নেশাগ্রস্ত হয়ে রাস্তার দুপাশে পড়ে থাকে। অনেকে তাদের ব্যবহার করে খুনখারাপিসহ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঘটায়।

দেশের হেপাটাইটিস-বি, এইডস, এইচপিবি, টিউবার কুলোসিস সহ সব ধরনের ভাইরাস- ব্যাকটেরিয়া তাদের মাধ্যমে ছড়ায় ৬৫ ভাগ। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, হাইকোর্ট এলাকায় আমি ভাসমান  কয়েকজন শিশুবাচ্চার মায়েদের সাথে কথা বল্লাম। বাচ্চাদের টীকা দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলাম? তারা কেউ বল্লো— টীকা কি? কিভাবে, কখন দিতে হয় কিছুই জানেনা। অনেকে বল্লো টীকা সম্পর্কে তাদের কোন ধারনা নেই। মেডিকেল সাইন্স অনুযায়ী একজন হেপাটাইটিস-বি ভাইরাস আক্রান্ত ব্যাক্তি যদি চায়ের দোকান থেকে চা খায়, আপনিও যদি সেই দোকান থেকে চা খান আপনার হেপাটাইটিস-বি হওয়ার সম্ভাবনা ৯২%

সরকার বিদ্যুৎ বিল, গ্যাসের বিলসহ বিভিন্ন  বিল নির্ধারণ করে এলাকা ভিত্তিক। দরিদ্র মানুষ হিসেবে নয়।একটা স্বচ্ছল পরিবার শহরের বাহিরে বিদ্যুৎ বিল যদি দেয় ২০০ টাকা কিন্তু একটা দরিদ্র পরিবার শহরে সমান পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার করে বিল দেয় ৩ থেকে ৪ গুন বেশি। বর্তমানে সরকার বিদ্যুৎ ও গ্যাসের বিল প্রিপেইড কার্ড সিস্টেম করছে। ২০২২ সালের মধ্যে পুরো দেশে প্রিপেইডের আওতায় আনা হবে। আপাতদৃষ্টিতে  ডিজিটাল বা উন্নত ব্যবস্থা মনে হলেও এটাতেও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দূর্দশা বাড়বে। মাসিক বিলের চেয়ে প্রিপেইড কার্ডে বিল অনেক বেশি কাটে। অযুক্তিক বাড়তি ডিমান্ড চার্জ, ভ্যাট ট্যাক্স তো আছেই। যারা দিনে আনে দিনে খায় তারা গ্যাসের বিলের কথা চিন্তা করে পানি ফুটিয়ে খাবেনা এমন দরিদ্র জনগোষ্ঠী দেশে অভাব নেই। এটার ফলাফল কত খারাপ হবে তা আতকে উঠার মতো। যেখানে কয়েক লক্ষ অবৈধ গ্যাস বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে। অনেকে কোটি কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল জালিয়াতি করে লোপাট করেছে। সেগুলোর বিরুদ্ধে কখনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমন নীতি গ্রহণ না করে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর  মৌলিক চাহিদার কথা চিন্তা করে সুচিন্তিত পরিকল্পনা নেওয়া উচিত বলে মনে করি।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুন, ২০২১ সকাল ১০:১৫
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×