যে ছেলেটির হবার কথা ছিলো একজন আর্দশ শিক্ষক কিংবা একজন প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা সে ছেলেটি আজ সিএনজির ড্রাইবার। ভাগ্য মানুষকে মাঝে মাঝে কষে লাথ্থি মারে.."!
.
নোয়াখালী কলেজে একই বেঞ্চে বসে পরিক্ষা দিয়েছি ছেলেটার সাথে মেরিড় লিষ্টে প্রথম হয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান পাওয়া ছেলেটি এখন সিনএনজি চালায়। তিন বছর পর আজ দেখা হয়ে গেলো ছেলেটির সাথে। নাম ছিলো রুমন হায়াত..!!
.
প্রথমে আমাকে দেখে ছেলেটি নিজেকে আড়াল করে নিয়েছে লজ্জায়, যদি জানতে চাই কি করে?? এমন ছেলেকে কি ভুলা যায়?যে ছেলেটি নিজের পরিক্ষা শেষ করে বিশজনকে হেল্প করে চান্স করে দেই। তার চেহারা ভুলতে পারিনি আমি। এতো দিন পরে দেখেও সংকোচ বোধ না করে জিজ্ঞেস করলাম....
.
কিরে কি করিস এখন??
কে ভাই আপনি..?
আমাকে চিনতে পারিসনি?
তোর সাথে বসে অর্নাস ভর্তি পরিক্ষা দিয়েছিলাম।
হ্যাঁ ভাই এখন মনে পড়ছে.. আপনি এখন কি করেন??
কিরে তুই আমাকে আপনি করে বলছিস কেনো??
না এমনিতেই.. এখন কি করেন
আমি আছি আলহামদুলিল্লাহ্... তুই?
তোর রাষ্ট্রবিজ্ঞানের খবর কি??
না ভাই এখন পড়িনা চিটাগাং সিনএনজি চালায়...
.
আমি মুর্চা গেলাম কথাটা শুনে আর কোনো প্রশ্ন করার সাহস করিনি। ও নিজ থেকেই বলতে লাগলো তার কষ্টের কথা গুলো। বাবা নেই সংসারের হাল ধরতে আজ কলমের বদলে সিনএনজির চুওয়ান হাতে। আমার ভিতরটা দুমড়ে মুছড়ে গেলো..!!
.
বাংলাদেশে এমন অসংখ্য মেধাবী সন্তান আছে যারা কলম ছেড়ে রিক্সার প্যাড়েল ঘুরায় জীবিকার সন্ধানে অথচ তাদের প্রাপ্য ছিলো বড় একটা চেয়ার। সব মেধাবী তার প্রতিভা কাজে লাগাতে পারেনা। কিছু মেধাতে দেওয়ালের ওপারে মুখ লুকিয়ে কাঁদে..!! :'(
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪০