আমাকে আজকে দুইদিন আপনারা ব্লগে না দেখে অনেক অনেক কষ্ট পেয়েছেন তা আমি খুব ভালো করে জানি। কারন আমি জানি আপনারা আমাকে খুব খুব বেশি ভালোবাসেন। যাহোক আমি আমার সুরমার দুঃখ ভুলতে কক্সবাজারে আমার খালার বাসায় চলে এসেছি। আপনারা জানেন যে সুরমার দুষ্ট বাবা আমার সুরমাকে বিয়ে দিয়ে ফেলেছে। এরপর থেকে আমার মন বেশি ভালো না। অনেক কেঁদেছি। আরো বেশী কাঁদার জন্য কক্যবাজারে চলে এলাম।
জানেন আমি যখন রাত এগারটায় রাজারবাগ এর গ্রীন লাইন বাসের ওখানে আসতেছিলাম কাসেমের মটর সাইকেলে করে তখনো কাঁদছিলাম। তারপর কাসেম আমাকে গ্রীন লাইনের রাত ১১টার ভলবো বাসের গাড়িতে তুলে দিলো। তারপর আমি একা হয়ে গেলাম। গাড়ির ভিতর খুব ঠাণ্ডা লাগছিলো। তাই আমি একটা কম্বল নিয়ে গায়ে দিয়ে বসলাম। আমার পাশে আরেকটা লোক জানালার পাশে বসেছিলো। লোকটা গাড়িতে উঠেই ঘুমিয়ে গেছে। কি বোকা লোক। এরপর আমার পাশের দিকের সিটে দেখলাম এক মেয়ে তার সাথে আরেকটি মেয়ে নিয়ে এসে বসলো। আমি তাদের দেখে তাদের দিকে তাকালাম। কিন্তু তারা আমার দিকে তাকালোনা। মেয়েদের একটু অহংকার বেশি এটা আমি জানি। এরপর গাড়ি ছেড়ে দিল। মেয়েগুলা দেখে মনে হচ্ছিলো তারা বোন। তারপর আমিও ঘুমিয়ে গেলাম। এরপর এক লোক হঠাৎ বলে উঠলো আমার কুমিল্লা এসেছি। এখানে খাবেন, বাথরুমে যাবেন, ৩০ মিনিট সময় দেয়া হলো।
আমরা সবাই গাড়ি থেকে নেমে গেলাম। মেয়েটাও নামলো। আমি মনে মনে ভাবলাম এখন সুযোগ কথা বলার। আমি মেয়েটাকে বললাম প্লিজ চলেন আমরা একসাথে খাই। মেয়েটা আমাকে বললো আমাকে নিয়ে আপনার চিন্তিত হওয়া লাগবেনা। আপনার খাবার আপনি খান। মেয়েটা আমাকে এমন ভাবছে কেন বুঝলামনা। আমি কি কম সুন্দর? আমি কি খারাপ লোক? যাক আমি খেয়ে নিলাম। আসলে ব্লগের আপু গুলা ছাড়া আর সব মেয়ে খারাপ। এরপর আমি কক্সবাজারে চলে এলাম। আমার খালাতো বোন তাদের প্রাইভেট কার নিয়ে আমাকে নিতে এসেছিলো। আমি যখন কারে উঠছিলাম তখন ওই মেয়ে এসে আমাকে বলে আই এম সরি ফর মিসবিহেইব। আমি বললাম ইটস ওকে। এরপর চলে গেলাম বাসায়। খালা আমার চেহারা দেখে বলে কিরে রাসেদ তোর চেহারা এমন খারাপ কেন!!
আমি বাসের জার্নির কথা বলে সুরমার কথা এরিয়ে গেলাম। কালকে বীচে গিয়ে কাঁদব। আজকে আর যাইনি। কয়দিন থাকি জানিনা। বন্ধুরা তোমরা ভালো থেকো।