somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ সময়ের তালে একই সুরে ভিন্ন মাত্রায় বাঁধা

২৫ শে মে, ২০১২ রাত ১১:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


সময়ের তালে একই সুরে ভিন্ন মাত্রায় বাঁধা


অনিক কথা
ঢাকা সময়ঃ রাত একটা, মে ২৪, ২০১২।

ঘুম ভেঙ্গে গেল হঠাৎ। খোলা জানালার দিকে চোখ গেল। কই সকাল তো হয়নি। বাইরে ঘুটঘুটে অন্ধকার। বাজে কয়টা? আমার রুমটা এপার্টমেন্টের পিছনের দিকে বলে রাস্তার আলো বা হৈ চৈ খুব আসে না। হাত বাড়িয়ে সেলফোনে দেখি একটা বাজে। কোন মানে আছে, কাল ভোরে আমার এত জরুরি প্রেসেন্টেশন! কাঁথা টেনে বালিশ জড়িয়ে ঘুমাবার চেষ্টা করলাম। অনেক বার এপাশ ওপাশ করলাম। কি যন্ত্রনা, ঘুমের কোন পাত্তা নাই।

“ধুত্যরিকা” বলে উঠে সাইড টেবিলে ঢাকনা দিয়ে রাখা পানি ঢকঢক করে খেলাম। সিগারেটের প্যাকেটটা নিয়ে বারান্দায় চলে এলাম। নিকষ কালো চারিদিকে। আজকে অমাবস্যা নাকি কে জানে। খালি এপার্টমেন্ট আর এপার্টমেন্ট, দেখতে লাগছে ভূতুরে ইট সিমেন্টের জঙ্গল। কোন কোন বাসায় আলো জ্বলছে, হয়তো কোন নববিবাহিত দম্পতি রাত জেগে খুনসুটি করছেন, কোন মা হয়তো তার কোলের শিশুকে দুধ খাইয়ে ডাইপার বদলে দিচ্ছেন, অথবা কোন সুন্দরী তরুনী প্রেমিকের উপর অভিমান করে অনেক আবেগ দিয়ে চিঠি লিখছে, অথবা বাংলা সিনেমার ভিলেনের মত এক শয়তান ব্যবসায়ী তার কালো ধান্দা রাতের অন্ধকারে সেরে নিচ্ছে! পৃথিবী ভর্তি আজব সব লোক। দিয়াশলাই ফস করে জ্বালিয়ে সিগারেটটা ধরিয়ে আয়েশ করে একটা টান দিলাম।

দীর্ঘশ্বাস আর ধোয়া মিলেমিশে কেমন যেন আবহ তৈরী করছিল। ভাবতে চাইছিলাম না সেই স্বপ্নের কথা যা দেখে ঘুম ভেঙেছে। কেন বার বার ওই মেয়ে স্বপ্নে হানা দেয় আমার?

আমাকে অবহেলায় ছুড়ে ফেলে যে চলে গেছে তার কথা মনে করে রাত দুপুরে ছ্যাক খাওয়া প্রেমিকের মত বারান্দায় দাঁড়িয়ে ফোঁস ফোঁস করে কান্না করার পাত্র আমি নই। আমি খুব প্র্যাকটিকাল, খুব লজিকাল একজন মানুষ। আজকে বিভা ফেইসবুকে রবীন্দ্রনাথের কি কবিতা পোস্ট করেছে, সেইটা পড়েই আমার অবচেতন আমার সাথে রসিকতা করতে চাইছে। কবিতাটা আসলেই দারুন ছিল, শেষ দুলাইনতো পুরা হলিঊড সিনেমার ক্লাইম্যাক্সের থেকেও চমকপ্রদ। কি যেন লাইনগুলো –ও মনে পড়েছে--

I dreamt that she sat by my head,
tenderly ruffling my hair with her fingers,
playing the melody of her touch.
I looked at her face and struggled with my tears,
till the agony of unspoken words burst my sleep like a bubble.
I sat up and saw the glow of the Milky Way above my window,
like a world of silence on fire,
and I wondered if at this moment
she had a dream that rhymed with mine.

এই দাড়িওয়ালা ভদ্রলোকের আসলেই অনেক প্রতিভা ছিল। আমি জানি তিথি আজ আর আমার স্বপ্ন দেখে না। কোথায় চলে গেছে সেই মেয়ে তাও তো জানি না। তিথিকে ভাবাটাও বোধহয় একদিক থেকে অনৈতিক। আরেকটা মেয়ে তার বর্তমান ভবিষ্যত আমার সুরে সুর মিলিয়ে গাইতে চাইছে, তাকে ছোট করা হয়। তবু তিথি যে কেন কেন বার বার হানা দেয় মনের দূর্গে কে জানে!

আমার ধারণা ওর হঠাৎ করে উধাও হয়ে যাওয়া, এক লহমায় আমার জীবন থেকে মুছে যাওয়া এই ব্যাপারটাকেই আমি মেনে নিতে পারিনি। ইংরেজীতে একটা কথা আছে closure, মানে একটা পরিনতি বা এন্ড পয়েন্ট নেই আমাদের সম্পর্কের। সেটাই হয়তো কারন। যাকগে, গতকালকে আমার এক আমার এক আতেঁল বন্ধু বল্লেন, একটা সাবস্টিটিউট খুঁজে আগেরজনকে রিপ্লেস করে দিলেই নাকি সব যাতনার অবসান! কিন্তু ভালবাসার রিপ্লেসমেন্ট হয়? প্রেমিকার সাবস্টিটিউট মেলে? তখন কিছু বলি নাই। বল্লেই বলবেন, “তুমি মিয়া শুদ্ধতাবাদী, এই জমানায় অচল মাল! দিন বদলাইছে, থিঙ্ক ট্রেন্ড, থিঙ্ক মডার্ণ!” আমি যে কেন ওনাদের মত করে ভাবতে পারি না? গাড়ি বদলানোর মত বউ বা প্রেমিকা বদল ডালভাত ব্যাপার—এইটা এই শর্মা কশ্মিনকালেও মেনে নিতে পারবে না। এটলিস্ট ভালবাসায় একমুখিতা থাক, পবিত্রতা থাক। —ধূর! রাত দুপুরে কি আবোল তাবোল ভাবছি। ঘুমানো দরকার!

সিগারেটের শেষাংশ বাইরে ছুড়ে ফেলে দেখতে চাইলাম কোথায় গিয়ে পড়ে, আমার জীবন যেমন অনিশ্চয়তার অন্ধকারে নিমজ্জিত, সিগারেটের শেষ চতুর্থাংশ ঘন থকথকে আধাঁরে কোথায় গেল, দেখতে পেলাম না।
ঘরে ফিরে মশারী গুজে বালিশ চাপড়ে, কোলবালিশ আঁকড়ে নিদ্রাদেবীকে অঞ্জলী দিতে লাগলাম! বেচারী বিভা। ওকে কালকে ফোনে জানিয়ে দেব, আমার পক্ষে আসলে কোন কমিটমেন্টে জড়ানো সম্ভব না। আমি তিথিকে সাবস্টিটিউট করে ফেলতে পারব না। ও আমাকে ছেড়ে চলে গেছে হৃদয়হীনার মত, কিন্তু আমি তো হৃদয়হীন নই। কই জানি পড়ছিলাম, , "affection could reveal itself in the most heartless moments", কথাটা খুব মনে ধরার মত—ভালবাসা ব্যাপারটা আসলেই আনকন্ডিশনাল, এমন দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া আমার ক্ষত বিক্ষত মনটা বোধহয় আজীবনই ধুকপুক ধুকপুক করে তিথি তিথি জপবে! ধুর শালা! হাউ ইস দিস ফেয়ার? আজকে গত তিন বছরের অসংখ্য দিনের মত না ঘুমিয়ে কাটাতে হবে! ভাল্লাগে না আর!

------------------
তিথি কথা
নিউ ইয়র্ক সময় দুপুর দুইটা, ২৩শে মে, ২০১২।

দুপুরবেলা সময় কাটতেই চায়না। যতদিন যাচ্ছে আমি ততই কেমন যেন নিজের ভিতরে গুটিয়ে যাচ্ছি। দেশ ছেড়ে, আত্মীয়স্বজন সবাইকে ছেড়ে চলে আসতে আমার একদম খারাপ লাগেনি। কি দিয়েছে ওরা আমাকে? অনিক ছিল একমাত্র দ্বিধা, কিন্তু আমি ওকেও সেইভাবে ভালবাসিনি।
ছাত্রজীবনে আবেগপ্রবন হয়ে জড়িয়ে গেছিলাম ওর সাথে। কিন্তু সংসার করতে গিয়ে বুঝলাম, বাস্তবতা অনেক কঠিন। শুধু চাল আর ডাল হলেই খিচুরী হয় না, তেল, নুন, মরিচ, হলুদ, গরম মশলাও লাগে। ঘি হলে আরও ভাল হয়। শুধু আবেগ দিয়ে দিন যায় না।

আমি জীবনে বেশী কিছু চাইনি, স্থিরতা চেয়েছি, সচ্ছলতা চেয়েছি, আমার মেধার সঠিক মূল্যায়ন চেয়েছি। আস্তে আস্তে বুঝতে পেরেছি অনিক দেশ নিয়ে, বা সমাজের দীনতা নিয়ে যতটা উত্তেজিত বা চিন্তিত, নিজের ব্যাপারে একেবারেই না। ওর সাথে থাকলে অনেক দারিদ্রে, ওর দ্বিতীয় প্রায়োরিটি হয়ে থাকতে হবে। আমার নিজের সত্তা, ওর স্ট্রং পারসোনালিটির কাছে আজীবন ম্রিয়মান হয়ে থাকবে। দেশের মানুষ, আমার নিজের আপন পরিজন আমার কোন দায়িত্ব কোনদিন নেয়নি, বাবা মা মারা যাবার পর প্রায় একা একা মানুষ হয়েছি। এত আনসারটিনিতে কেটেছে সারা জীবন, তাই যখন বিদেশে পড়ার সুযোগ পেলাম, একরকম পালিয়ে চলে এলাম! অনিকের জন্য খারাপ লেগেছে, কিন্তু ও আমাকে পিছনে টেনে রাখতো, দারিদ্র আর অনিশ্চয়তার মাঝে আমি সারাজীবন থাকতে পারব না!

জনের সাথে বিয়ের পর আমার এই সেটেল্ড জীবনে কোন অনিশ্চয়তা নেই, আমি সুখী। পড়াশোনা শেষ করে আমার ড্রিম জবও পেয়ে গেছি।
তবু মাঝে মাঝে অলস দুপুর গুলোতে অনিকের কথা মনে হয়। জানতে ইচ্ছে করে কেমন আছে ও! না আমি রিগ্রেট করি না। আমি বেশ আছি।
ও ভাল থাকবে। এখনো বিয়ে টিয়ে করেনি শুনেছি। করে ফেলবে। ব্যাস, তখন আমারও বিবেক বাবার খচখচানি বুকের স্থির পুকুরে অস্থিরতার ঢিল ছুড়বে না, দোলা দেবে না আর!

----------
বিভার কথা
ঢাকা সময়, রাত একটা ২৪শে মে, ২০১২

কিছু ভাল লাগছে না। অনিক আসলে কি চায়? কালকে প্রেশেন্টেশন আছে বলে কথা বলতে চাইল না। ও বিয়ের কথা আসলেই, কিম্বা আমাকে নিয়ে কি ভাবছে জানতে চাইলেই আমাকে বার বার এড়িয়ে যায়। আমার ধারনা ও তিথির জায়গায় কাউকে বসাতে পারবে না। আবার একা থাকতেও চায় না।

ওর সাথে সামনা সামনি কথা বলা হয়তো হবেই না। চিঠি লিখে ফেলব নাকি? পুরানো দিনের উপন্যাশের বিরহকাতর
নায়িকার ঢঙে? ভাবতেই ফিক করে হেসে ফেললাম, আমি একটা যা তা। কেউ এমন অবোধের মত রোমান্টিক হয়? কোন মানে আছে? এই বয়সে? উফ!

যাক লিখেই ফেলি। ঘুমতো আর আসবে না। কে জানে সব লিখে ফেললে হয়তো মনের ভার নেমে যাবে, নিদ্রাদেবী হয়তো কৃপা করবেন!

প্রিয় অনিক,
আজকে আমি যা বুঝলাম, তুমি এই মুহূর্তে দ্বিধান্বিত আমাকে নিয়ে। আমাকে বিয়ে করলে তোমার যে goals আছে তা বাঁধাপ্রাপ্ত হবে। জীবনধারণের তাগিদে অর্থের পিছনে ছুটতে হবে বলে। তাহলে আমার সাথে কথা কেন বললে? হয়তো তুমি একা থাকতে চাও না। আবার এদিকে বিয়েও চাও না কারন তোমার নিজস্বতা হারিয়ে যাবে।
তুমি আসলে কি চাও সেটা তোমাকেই ভাবতে হবে, সেটা পরিষ্কার না হয়ে, একটি মেয়ের সাথে শুধু ফান হিসাবে মেশা উচিত কিনা, এই বিতর্কে যাব না। এটা অবশ্যই মেয়েটির ব্যক্তিগত ধ্যানধারণার উপর নির্ভর করে। আমিতো নিছক আড্ডার জন্য, টাইম পাসের জন্য তোমার কাছে আসি নাই, তোমার হাত ধরি নাই!

আমি বিয়ে করব সেটার পিছনের কারণ তোমাকে বলি। আমি খুব সংসারী টাইপ মেয়ে না, কিন্তু ঘর সাজাতে, আমার প্রিয় কাউকে রেঁধে খাওয়াতে আমার খুব ভাল লাগে। আমার জীবনে একটাই অপূর্ণতা—আমি মা হতে চাই। আরো অনেক কিছু চাই! খুব প্রিয়জন কেউ থাকবে আমার, যার কাছে পরিপূর্ণ জায়া হতে চাই। নারী হতে চাই। আমাকে সবাই বলে আমি খুব ফেমিনিন, আমি একজন পুরুষ চাই যে আমাকে নিশর্ত ভালবাসবে। দেখলে তো চাওয়ার শেষ নাই। কিন্তু আমি পাব এমন আশাও করি না। কল্পনাবিলাসী হলেও এতটুকু বাস্তব জ্ঞ্যান আছে আমার, এই বয়সে ভালবাসা মরীচিকা বৈ কিছু নয়, সবটাই সমঝোতা। সেগুলো নিয়ে ভাবিও না। আমি আমার জীবনের অধিকাংশ সময় একা কাটিয়েছি, তাই অনেক independent হতে হয়েছে আমার। এই লোভটা আমি কাটিয়ে উঠতে পারি অনায়াসে শুধু মাতৃত্বের আকাঙ্খা মরে না। হয়তো আমার মা হওয়া বিধির কাম্য না, কিন্তু আমার একটিবার চেষ্টা করার খুব ইচ্ছা, আমার জীবনের এই একটাই ইচ্ছা, আর এই জন্যই বিয়ে নিয়ে এত তিক্ত অভিজ্ঞতা সত্ত্বেও আবার ছাঁদনাতলায় যাব বলে ভেবেছি।

আমি অনেক পাত্রের সাথে কথা বলি নাই। বাছাবাছি আমার পোষাবে না। আমি দুজনের সাথে কথা বলেছি, তার মধ্যে একজনের সাথে দেখা হয়েছে। এদের কারো সাথেই কোন কমন গ্রাঊন্ড নেই। আমাদের ব্যক্তিত্ব একদমই আলাদা। তারপর তোমার সাথে কথা হল। তোমার বিনম্রতা, অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ, সোজা সাপ্টা কথার ভঙ্গি আর সততা আমার ভাল লেগেছে। কিন্তু আমি বুঝতে পেরেছিলাম তুমি নিজের চারদিকে দেয়াল তুলে দিয়েছ, সেটা হয়ত আমি পার হতে পারব না। এটা মানতে খারাপ লেগেছে কিন্তু আমার একমাত্র ইচ্ছাটা, তুমি জানিয়েছিলে তোমারও ইচ্ছা। তোমার মনে আছে কিনা জানি না, তুমি আমাকে কোন একদিন বলেছিলে, তুমি আমার কাছে একটা ঘর চাও, শান্তি চাও, সন্তান চাও। আমার ইন্সটিঙ্কট বলেছিল, আমার খোঁজার পালা শেষ-তুমিই হয়তো “সে”।

আমি নির্দ্বিধায় মিশেছি তোমার সাথে, কিছু গোপন করি নাই, কোন গেম খেলি নাই, কোন মিথ্যার আশ্রয় নেই নাই। আমি যা তাই-ই তোমার সামনে উপস্থিত করেছি, নুতন পরিচিতের কাছে নিজেকে ইম্প্রেসিভ বানানোর স্বাভাবিক সাধারণ চেষ্টাও করি নাই।

কিন্তু যত দিন পার হয়েছে, তুমি আরো নিজেকে নিজের দেয়ালের ভিতর গুটিয়ে নিয়েছ। তোমার অনেক সংশয় “আমার সাথে সংসার নিয়ে”। আমি আমার সাধ্যমত, বিচার বুদ্ধিমত তোমাকে আস্বস্ত করতে চেয়েছি। কিন্তু আসলে এখানে আমার করণীয় নেই বেশী।

তুমি বিয়ে করতে চাও এটা পরিষ্কার। বাবা মায়ের খুঁজে দেয়া গুটিকয়েক পাত্রীর সাথে কথা বলেছ, আমার সাথে বলেছ, সেই অভিপ্রায়ে। কিন্তু আজকে তুমি জানালে বিয়ে করলে তোমার জীবনের লক্ষ্য থেকে দূরে সরে যেতে হবে। জীবিকার হিসাব মেলাতে গিয়ে নিজস্ব সত্তা বিসর্জন দিতে হবে। নিজেকে মেরে তুমি আমাকে বাঁচাবে কি করে?

তোমার মনের দেয়াল ভাঙার মত কিছু যে আমার নাই! আমাকে প্রবেশাধিকার দিতে যদি দ্বিধা আসে, সেটার কারণ যাই হোক আমার জোড় করে বলার আর কিইবা আছে বল? কিছু বলাই সাজে না আমার। উচিত না কোনক্রমেই।

আমি ভেবে দেখলাম, এখন তোমার ভাবার পালা। আমাকে জানিও তোমার সিদ্ধান্ত। আমি একটা কথা সবখানে লিখে রেখেছি, “মনেরে আজ কহ যে, ভাল মন্দ যাহাই আসুক সত্যরে লও সহজে”। অপ্রিয় বা প্রিয়, বাস্তবতার নিরিখে জীবনকে দেখাই সত্য! মনের ইচ্ছাকে মূল্য দেয়াই সত্য। তোমার সত্য তোমার কাছে ধরা দিক—এই কামনা করছি। সেই সত্যকে আমি নির্দ্বিধায় মেনে নেব, সহজ সরলতায় accept করে নিব। তোমার একদমই কোন দায় নেই।
শুভরাত্রি। সকল শুভ কামনা।
ইতি
বিভা

পিএসঃ তোমার জন্য এই গান

"পাখি আমার নীড়ের পাখি অধীর হল কেন জানি--
আকাশ-কোণে যায় শোনা কি ভোরের আলোর কানাকানি ।।
ডাক উঠেছে মেঘে মেঘে,
অলস পাখা উঠল জেগে--
লাগল তারে উদাসী ওই নীল গগনের পরশখানি ।।
আমার নীড়ের পাখি এবার উধাও হল আকাশ-মাঝে ।
যায় নি কারো সন্ধানে সে, যায় নি যে সে কোনো কাজে ।
গানের ভরা উঠল ভ'রে,
চায় দিতে তাই উজাড় ক'রে-
নীরব গানের সাগর-মাঝে আপন প্রাণের সকল বাণী ।। "

http://www.youtube.com/watch?v=EodL75feWpQ
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুলাই, ২০১২ রাত ৯:১২
১৩টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা

লিখেছেন এমজেডএফ, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১১



সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×