সব মুফাস্সির, ফকীহ, মুহাদ্দিসরা যেহেতু এ বিষয়ে একমত যে নেক আমলের দ্বারা ইমানের শক্তি, নুর ইত্যাদী বাড়ে।
বুখরী শরীফের একটি হাদীসে আছে, ফরমাবরদার বান্দা নফল এবাদতের দ্বারা আল্লাহর নৈকট্য হাসিল করে। ( এখানে 'ফরমাবরদার' কথাটা লক্ষনীয়, অর্থাৎ যে ব্যক্তি আল্লাহর নির্ধারিত বিষয়গুলো আদায় করে ও নিষিদ্ধ বিষয় ত্যাগ করে, শুধু সে-ই নফল এবাদত করলে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করবে । নির্ধারিত বিষয় বাদ দিয়ে নফল কাজের দ্বারা নৈকট্য হাসিল হবে না ।) এমনকি আমি তার হাত হয়ে যাই যার দ্বারা সে ধরে, পা হয়ে যাই যার দ্বারা সে চলে .... ( অর্থাৎ তার সব কিছু আল্লাহর সন্তুষ্টি মত হয় ।)
আর একথা তো খুবই সত্য ইমানের শক্তি বাড়লেই আল্লাহর নৈকট্য হাসিল হবে , বা আল্লাহর নৈকট্য হাসিল ইমানের শক্তি বাড়ার মাধ্যমেই হবে ।
তাবলীগ জামাতের সমালোচনা ওতার জবাব কিতাবে শায়খ জাকারিয়া খুব স্পষ্ট ভাবে বলেছেন, নিয়মিত নামাজ আদায় জেহাদ থেকে উত্তম। হজরত শায়খ আল্লামা শামীর হাওয়ালাও দিয়েছেন এতে। উপর হাদীস দ্বারাও প্রমান হয় আল্লাহর নৈকট্য লাভের প্রথম ও প্রধান উপার ফরজ কাজগুলো। এরপর নফল । তাই নামাজ - রোজা - হজ -জাকাত এসবের দ্বারা আল্লাহর নৈকট্য যতটুকু হাসিল হবে দাওয়াত- তাবলীগ - জেহাদ ইত্যাদীর দ্বারা ততটুকু হবে না , কেননা পরবর্তি কাজগুলো সবসময় ফরজ না।
আগের পর্ব : view this link
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৩২