দৈনিক আমাদের অর্থনীতিতে ওড়না নিয়ে জান্নাতুন নাঈম প্রীতি'র একটা লেখা ছাপা হয়। আমি এর হালকা মূল্যায়ণ করলাম!
প্রীতির প্রতি
প্রীতি আপু!
আমি আপনাকে যে কথাগুলো বলব তাতে অবশ্যই সম্মান থাকবে না। আশা করি আপনি প্রতিবাদ করে সেটা আদায় করে নিবেন। আপনার লেখায় সাজু খাদেমের যে চরিত্রের উল্লেখ করেছেন- আমরা মৌলবীরা সেটা কখনোই সাপোর্ট করি না। আমার কথা হচ্ছে, আপনার শরীরের মূল্যবান অঙ্গগুলোকে আপনি যেভাবে মূল্যায়ণ করেছেন সেটা নিয়ে। আপনি একজাগায় লিখেছেন- 'আমি নিজেই মেয়েদেরকে দেখেছি অন্য মেয়েটা বুকে ওড়না দিয়েছে কি না সেটা নিয়ে চিন্তিত, এমনকি ছেলেদের চেয়েও। এই মেয়েরাই একদিন ইচ্ছা না করলেও স্বামীর ধর্ষণকে হালাল সেক্স বলে মেনে নেবে।'
আচ্ছা আপু! পুরুষ জাতিকে কি আপনার জানোয়ার মনে হয়? যে, একজন স্বামী প্রাণপ্রিয় স্ত্রীর উপর মানষিক নির্যাতন করবে। আমি স্বীকার করি সব পুরুষই ভাল নয়। ভাল মন্দের মিশ্রণ সবমহলেই আছে। তা ছাড়া ঐ মেয়েটা যেটা মেনে নিচ্ছে সেটা নিয়ে আপনার এতো খুতখুতানি কেন? স্বামীর চাহিদা পূরণ না করলে এই স্বামীটাই তো অন্য কারো সাথে পরকিয়া করবে। আপনি বুঝি প্রতিবাদি মন্ত্র দিয়ে সমাজটাকে নষ্ট করতে চান?
এরপর আপনি লিখেছেন- 'শোন মেয়ে- বুক বা স্তন একটা অঙ্গ, ওড়না একটা পোষাক। ইচ্ছে হলে ওড়না পরো না, ফেলে দাও।'
আচ্ছা আপু! আপনাকে একটা কথা জিগ্যেস করি! আপনার স্তন বা যোনীও তো আপনার চেহারার মত একটা অঙ্গ। তাহলে আপনি সেটাকে চেহারার মত ওপেন করে হাটছেন না কেন? কেউ যদি আপনার কাছে আবদার করে, আপু! আপনার চেহারা নামক অঙ্গের মত আপনার স্তন নামক অঙ্গটাকে সরাসরি দেখতে চাই! আপনি কি তাকে দেখতে দেবেন? কেন পারবেন না? দুই অঙ্গের মাঝে ফারাক আছে বুঝি?
এরপর লিখেছেন-' যতদিন তোমার সম্মান যোনীতে আর স্তনে তালাবদ্ধ থাকবে -ততদিন তুমি বারবার ধর্ষিত হবে।'
বাহ! আপনি বেশ বলেছেন। সবাই যদি আপনার মত যোনী আর স্তনের তালা খুলে, লোকাল বাসের মত অঙ্গ দুইটাকে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়- তাহলে সত্যিই কেউ আর ধর্ষিত হবে না। কারণ, ধর্ষণের সংজ্ঞাটাই তো আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।
শেষে লিখেছেন- 'সম্মান স্তনে, যোনীতে থাকে না। সম্মান টিকে থাকে প্রতিবাদে, আত্মবিশ্বাসে, মেধায় আর সৃজনশীলতায়। সম্মান পুরুষের সহানুভূতি দিয়ে কেনা যায় না, নিজের প্রতিবাদ দিয়ে কিনতে হয়। বুঝলে?'
আমি অবাক হচ্ছি আপনার প্রতিবাদী মনোভাব আর যোগ্যতার ব্যবধান দেখে। আপনি এতটাই সৃজনশীল হয়ে পড়েছেন যে, সম্মান জিনিসটাকে পণ্য বানিয়ে ফেলেছেন। আপনি এটাও বুঝতে পারেন নি যে, সহানুভূতির বিনিময়ে যা পাওয়া যায় -তাকে সম্মান বলে না। সম্মান, সম্মানই। এটা মানুষের মনের গভীর থেকে আসে। দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে, আপনার মত অযোগ্য লেখকের লেখা দৈনিকে ছাপে।
বি. দ্র. কেউ আমাকে নিয়ে নেগেটিভ ভাববেন না pls....