somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

১১ মে ঐতিহাসিক কুরআন দিবস : প্রেরনায় ভাস্বর একটি দিন

১০ ই মে, ২০১০ রাত ৯:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কোরআন দিবস সর্ম্পকে বিস্তারিত পড়ুন নিচ

প্রেরনায় ভাস্বর একটি দিন- ডা. মো. ফখরুদ্দিন মানিক

আমি আমার এ দুটি আঁখি কি করে ধরে রাখি
অঝোরে কান্না বেরিয়ে আসে............
যখন মাসের পরে মাস পেরিয়ে ১১মে আসে............

৩৮ বছরের বাংলাদেশ অনেক ঘটনার নিরব সাক্ষী, স্বাধীনতার পরবর্তী এই ছোট্ট সময়ে অনেক অর্জন যেমন বাংলাদেশকে মাথা উঁচু করে দাড়াতে সহায়তা করেছে তেমনি ঐতিহাসিক অনেক ঘটনাই আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় ও সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের চেতনায় আঘাত করছে। ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে অগণিত মানুষের হৃদয়ে। যার দগ দগে ঘা থেকে রক্তরণ হয় মাঝে মাঝে। নির্বাক একটি গাছ কিংবা ইট পাথরের দেয়ালগুলোর যদি কথা বলার সুযোগ থাকতো তাহলে হয়তো তারাও চিৎকার করে বলতো, না এই আঘাত অথবা অপমান আর সহ্য করার মত নয়।
১৯৮৫ সালের ১১মে চাপাই নবাবগঞ্জে ঠিক তেমনই একটি ঘটনা বাংলাদেশের ইতিহাসে সংযোজিত হয়েছে।
যেভাবে ঘটনা শুরু
১০ এপ্রিল ভারতীয় ২ উগ্রবাদী হিন্দু পদ্মমল চেপারা ও শীতল শিং আদালতে কোরআন বাজেয়াপ্ত করার মামলা দায়ের করে। তারা কোরআনের উল্লেখিত সূরা বাকারার ১৯১নং আয়াত ও সূরা তওবার ৩১ নং আয়াতের রেফারেন্স দিয়ে মামলা দায়ের করেছিল। কোরআন যেহেতু কাফের মুশরিকদের বিরুদ্ধে লড়াই করা, তাদের হত্যা করার কথা বলেছে সেহেতু কোরআন একটি সাম্প্রদায়িক উস্কানী দাতা গ্রন্থ(নাউযুবিল্লাহ)। তাই একে বাজেয়াপ্ত করার দাবি তুলে মামলা দায়ের করে। ভারতীয় সংবিধানের ২২৩ নং ধারা সি আর পিসি ১১৫(ক) ও ২৯৯ (ক) উদ্ধৃতি দিয়ে তারা আল কোরআনকে ভারতীয় সংবিধান বিরোধী বলে উল্লেখ করে। বিচারপতি পদ্মা খাস্তগীর ভারতীয় সংবিধানে ঐশীগ্রন্থ সম্পর্কে যে বক্তব্য রযেছে তা হজম করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মামলা গ্রহণ করেন। তিনি ১২ এপ্রিল এ বিষয়ে তিন সপ্তাহের মধ্যে এফিডেভিট প্রদানের জন্য রাজ্য সরকারের প্রতি নির্দেশ দেয়। এ ঘটনায় গোটা ভারতে মুসলমানদের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিশ্বের প্রতিটি মুসলিম দেশ এর প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। যার উত্তাল তরঙ্গের জলরাশি আচড়ে পড়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগোষ্ঠীর দেশ বাংলাদেশের চাপাই নবাবগঞ্জে। এর প্রতিবাদে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়। বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ ইসলাম প্রিয় তৌহিদি জনতার মিছিলে অত্যাচার নিপীড়নও চালায়।

কোরআন প্রেমিকদের খুনে রঞ্জিত চাপাই নবাবগঞ্জ :
চাপাই নবাবগঞ্জ আলীয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জনাব হোসাইন আহমদ একটি সভার আহবান করেন। সেই সভা থেকে ১১ই মে ঈদগাহ ময়দানে বিকেল ৩টায় প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেয়া হয়। সভার প্রস্তুতির জন্য পুরো জেলাতে লিফলেট ও মাইকিং করা হয়। এর পূর্বের দিন শুক্রবার মসজিদে জুমআর খুৎবায় এবং নামাজ শেষে ইমাম সাহেবেরা পরের দিন সামবেশে অংশ গ্রহণের জন্য আহবান জানান। সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে আবেগ ও উত্তেজনা বইতে থাকে। আবাল-বৃদ্ধ সবাই সেই সমাবেশে অংশগ্রহণের জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়। কিন্তু ১১ মে হঠাৎ করে প্রশাসন উদ্যোগক্তাদের জরুরী তলব করে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে তাদেরকে সমাবেশ না করার জন্য মুছলেকা দিতে বাধ্য করেন। প্রতিবাদ সভা করতে প্রশাসন বাধা দিচ্ছে এমন খবরে উত্তেজিত জনতার মাঝে অদম্য স্পৃহা আরো বেড়ে যায়। বাধ ভাঙ্গা জোয়ারের মত হাজার হাজার জনতা ঈদগাহের দিকে আসতে থাকে। তৎকালীন পুলিশ সুপার আওলাদ হোসেন এবং মেজিষ্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামান মোল্লার নেতৃত্বে সভা স্থলে ১৪৪ ধারা জারি করে ব্যপাক পুলিশ মেতায়েন করে। পুলিশ জনতাকে ছত্র ভঙ্গ করার চেষ্টা করে। এখানে কোন সভা হবে না বলে নিজেই ঘোষণা দেন। আবেগে উদ্বেলিত জনতা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। সভা করবো না আমরা শুধু দোয়া করে চলে যাবো এই বলে কিছু সময় চাওয়া হয়।
কিন্তু তাতেও ওয়াহিদুজ্জামান রাজী না হয়ে দম্ভ করে চেচিয়ে ওঠে বলে “এই মহুর্তে স্থান ত্যাগ করতে হবে নইলে গুলির আদেশ দিব, শালা মৌলবাদীদের সাফ করে দিবো”। উত্তেজিত আবেগকুল জনতা চলে গেল না। তারা জানিয়ে দিলেন, গুলির ভয়ে এ স্থান ত্যাগ করা মানেই আল কোরআনের অপমান, আমরা এস্থান ত্যাগ করবো না। এই উত্তাল তরঙ্গমালার সাথে সেই দিন শামিল হয়েছিল বাংলাদেশের মুক্তিকামী তৌহিদী ছাত্র-জনতার প্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। যেই আল কোরআনকে প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় নিয়ে শুরু হয়েছিল এই কাফেলার যাত্রা তারা তাদের সকল কর্মী বাহিনী নিয়ে ঈদগাহ ময়দানে শামিল হয়েছিল কোরআন অবমাননার প্রতিবাদ জানাতে। জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিলের মাধ্যমে তারা ঈদগাহ ময়দানে জমায়েত হয়। এক পর্যায়ে মেজিষ্ট্রেট মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামান বিনা উস্কানিতে গুলির নির্দেশ দেয়। পুলিশ একনাগাড়ে প্রায় পনের মিনিট পর্যন্ত গুলি রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিপে করতে থাকে। গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢলে পড়লো পনের বছরের কিশোর ইসলামী ছাত্রশিবিরের স্কুল কর্মী আবদুল মতিন, আর সেই দিনের শহীদি কাফেলার ১ম শহীদ ছিল সেই। পুলিশের গুলিতে একে এক শাহাদাৎ বরণ করলেন কৃষক আলতাফুর রহমান, রিক্সা চালক মোক্তার হোসেন, দশম শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রশিবিরের কর্মী রশিদুল হক, অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র শিবিরের কর্মী শীষ মোহাম্মদ ও সেলিম এবং ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র শাহাবুদ্দৌলা। আহত হয় শামীম, গোলাম আযম বুলু, শরীফুল ইসলাম, আলাউদ্দিন, রায়হান, এনামুল হক, মাহবুব, রেজাউল, শাহজাহান, রাজুসহ নাম না জানা আরো অনেকেই। লাশ আর আহতদের স্তুপে ভরে গেল ঈদগাহ ময়দান। পলায়নরত অসহায় মানুষের পিছু ধাওয়া করে শহরের অভ্যান্তরেও গুলি চালাতে থাকে। টুপি, পাঞ্জাবি, দাঁড়ি দেখলেই নির্মমভাবে তাদের উপর আক্রমন চালানো হয়। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

হাসপাতালের হৃদয় বিদারক দৃশ্য :
শহীদ ও গাজীদের রক্তে লালে লাল হয়ে যায় চাপাই নবাবগঞ্জের পিচঢালা কালো পথ। আহতদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে ডাক্তাররা। আহতদের রাজশাহীতে নিয়ে যাওয়া হলো দুটো মিনিবাসে করে। দেড়ঘন্টা পর যখন মিনিবাস থানা পার হচ্ছিল কুখ্যাত মেজিষ্ট্রেট আবারো গাড়ি থামিয়ে গুলির নির্দেশ দেয়। এতে আহত হয় গাড়ীর হেলপার, মারা যায় কাপড় ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম। আহতদের নামিয়ে দৌহিক নির্যাতন চালানো হয় এবং নিখোঁজ হয় কয়েকজন আহত ব্যক্তি। কেবল হত্যা ও জখম করেই ক্ষান্ত হয়নি পুলিশ হতাহতদের গুম করে ফেলেছিল সেই দিন। জানাজার মুহুর্তে লাশ কেড়ে নিয়ে আসা হয়েছে তাদের আত্নীয়-স্বজনদের কাছ থেকে। গ্রেফতার করা হয়েছে শিবিরের সাথী এনামুল, রেজাউল, শামীম, সেতাউর রহমান, সাইফুল সহ আরো অনেককে। এর মধ্যে কারফিউ জারি করা হল। শুরু হল সেনা টহল, সামরিক জান্তাদের কাছে অনেকেই নাজেহাল হলো। রাতের চাপাই নবাবগঞ্জ যেন এক মৃত্যু পুরীতে পরিণত হলো।
বাংলাদেশের ইতিহাসে এক নজিরবিহীন বর্বরতা ঘটে গেল। বিক্ষুব্দ মানুষ রাস্তায় বের হলো অথচ পরদিন পত্রিকায় কোনো সংবাদ ছাপা হলো না। কারণ সেন্সরশীপ অর্ডিনেন্স জারি করে পত্রিকার কণ্ঠরোধ করা হলো। মত প্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে আবার সেই পুরোনো স্বৈরচারের প্রকাশ ঘটালো। ১৩ই মে সরকার একটি প্রেসনোট করে আসল ঘটনাকে আড়াল করার চেষ্টা করল। তাতে চাপাই নবাবগঞ্জবাসী হতবাক হলো। প্রত্যদর্শীদের মতে যেখানে শহীদের সংখ্যা ১১, চাপাই নবাবগঞ্জবাসীদের মতে ২০ এর অধিক। নিখোঁজ সংখ্যা ৮/৯। কিন্তু প্রেসনোটে শহীদের সংখ্যা বলা হয়েছে মাত্র ৬। এ ব্যাপারে দেশের জনগনকে অন্ধকারে রাখা হলো। কিন্তু খবর চাপা পড়ে থাকেনি। পরদিন হরতাল আহবান করা হয়। বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে বাজারে ও মসজিদে লিফলেট দেয়া হয়। গভীর রাতে কারফিউ ভঙ্গ করে সাইকলে চড়ে মোল্লার ফাঁসির দাবিতে পোস্টারিং করা হয়। ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মীরা প্রতিদিন ঘটনাকে তুলে ধরতে থাকে মসজিদে মসজিদে। মুসল্লিদের সুপ্ত ঈমান যেন আবার জেগে উঠলো। ঘটনার বিহবলতায় হুহু করে কেঁদে উঠেন মৃত্যু পথযাত্রী বৃদ্ধরা। উত্তেজনায় হাফাতে থাকেন যে এখনই ঝাপিয়ে পড়বেন তাগুতের বিরুদ্ধে।
তার পরদিন সরকারি ঘোষণা আসলো শহীদ পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা দেয়া হবে। এটি ছিল সবচেয়ে হাস্যকর। ঠাণ্ডায় মাথায় মানুষ হত্যা করে কিছু টাকা দিয়ে তার দায় এড়াতে চান। কিন্তু আজো চাপাই নবাবগঞ্জ বাসীর দাবি হত্যা কাণ্ডের মূল নায়ক ডি সি এ কে এম শামুসুল হক, এসপি আওলাদ হোসেন এবং মেজিষ্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামান মোল্লাসহ খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। জনতার ঘোষণা খুনীদেরকে আমাদের হাতে তুলে দেয়া হোক। তাদেরকে হত্যা করে আমরা চাঁদা তুলে তাদের স্ত্রী পুত্রদের জন্য এক লাখ টাকা করে দিবো।
এই ঘটনায় ছাত্রশিবির বিভিন্ন কর্মসূচী ঘোষণা করে ১৪ ই মে সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মঘট ও ১৫ই মে প্রতিবাদ দিবসের কর্মসূচী এবং বিশেষ বুলেটিন বের করে। একই সাথে সারা বিশ্বে একটি জনমত সৃষ্টি হয় এবং ১৩ ই মে কলকাতা ইউকোর্টের বিচারপতিকে বি. সি বাসক বামন উক্ত মামলাটি খারিজ করে দেয়। সেই থেকেই বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির এটি ঐতিহাসিক কোরআন দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। চাপাই নবাবগঞ্জের ঈদাগাহ মাঠে যেন আজো শোনা যাচ্ছে কিশোর শীষ মোহাম্মদের আর্তনাদ, শহীদ রফিকুলের করুন আহাজারী। আব্দুল মতিন ও সেলিমের আর্তচিৎকারে শহীদ সবুর ও নজরুলের বুক ফাটা কান্না। এই আওয়াজ প্রতিটি দেয়ালে প্রতিধ্বনিত হলেও কর্ণকুহরে প্রবেশ না যারা আছেন শাসকের সিংহাসনে। বরং নব্য জাহিলিয়াতের আওয়াজ শুনা যায়। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার সম্প্রচারীদের মুখ থেকে।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই মে, ২০১০ রাত ৯:০৩
২৩টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:২৫

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

বন্ডাই সৈকতের হামলাস্থল। ছবি: রয়টার্স

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই সৈকত এলাকায় ইহুদিদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সমবেত মানুষের ওপর দুই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অতর্কিতে গুলি চালিয়েছে। এতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমাণ নন বলা কুফুরী

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪



সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৫। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজয়ের আগে রাজাকারের গুলিতে নিহত আফজাল

লিখেছেন প্রামানিক, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১৩


ঘটনা স্থল গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার উড়িয়া ইউনিয়নের গুণভরি ওয়াপদা বাঁধ।

১৯৭১সালের ১৬ই ডিসেম্বরের কয়েক দিন আগের ঘটনা। আফজাল নামের ভদ্রলোক এসেছিলেন শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে। আমাদের পাশের গ্রামেই তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫৫ বছর আগে কি ঘটেছে, উহা কি ইডিয়টদের মনে থাকে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৮




ব্লগের অনেক প্রশ্নফাঁস ( Gen-F ) ১ দিন আগে পড়া নিউটনের ২য় সুত্রের প্রমাণ মনে করতে পারে না বলেই ফাঁসকরা প্রশ্নপত্র কিনে, বইয়ের পাতা কেটে পরীক্ষার হলে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×