বাংলাদেশের নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহম্মাদ ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বুধবার ড. ইউনূসকে অপসারণের এ আদেশ জারি করে বলে নিশ্চিত করেছেন গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান মুজাম্মেল হক। তিনি জানান, এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি চিঠি এসে পৌঁছেছে তাদের কাছে। এখন নতুন করে একজন ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ দেয়া হবে বলেও জানান মুজাম্মেল হক। সরকারের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দীর্ঘ দিনের দ্বন্দ্বের জের ধরে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর বের হয়েছে। ২০০৭ সালে ড. ইউনূস যখন নতুন রাজনৈতিক দল গঠনে উদ্যোগী হন তখন থেকে বর্তমান প্রধাণমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। পরে অবশ্য ড. ইউনূস দল গঠন করেননি।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, মুহাম্মদ ইউনূস দেশের প্রচলিত অবসর আইন ভঙ্গ করেছেন। তার বয়স ৭০ বছর হলেও তিনি অবসরের জন্য নির্ধারিত ৬০ বছর বয়সসীমা মান্য করেননি বলে উল্লেখ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সরকারের এ সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিরূপ প্রভাব ফেলবে মনে করা হচ্ছে। ১৯৮৩ সালে ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে ড. ইউনূস ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন। নির্ধারিত বয়সের বেশি সময় বেসরকারি ব্যাংকের প্রধান পদে থাকার কারণে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সম্প্রতি ড. মুহাম্মাদ ইউনূসকে ওই পদ ছাড়ার আহ্বান জানান। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে কয়েকদিন আগেই বাংলাদেশ ব্যাংক অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠায়। গ্রামীণ ব্যাংকে বাংলাদেশ সরকারের শতকরা ২৫ ভাগ শেয়ার রয়েছে। এর আগে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ড. ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংককে তার ব্যক্তিগত সম্পদ মনে করেন এবং তিনি গরিব মানুষের রক্ত চুষে খাচ্ছেন। এ ছাড়া, সরকারদলীয় কয়েকজন নেতাও ড. ইউনূসের সমালোচনায় মুখর হন। গ্রামীণ ব্যাংকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ পর্যালোচনার জন্য সরকার এরইমধ্যে একটি কমিটি করেছে। এ ছাড়া, তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা দেয়া হয়েছে এবং কোনো কোনো মামলায় তিনি সশরীরে আদালতে হাজিরা দিয়েছেন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




