somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

"আসুন প্রত্যেকে হয়ে উঠি লিওনেল মেসি " আনিসুল হক

১০ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আসুন আমরা সবাই মিলে সুন্দর বনের জন্য ভোট করি ।
আনিসুল হকের লিখাটা পড়ে ভাল লাগল তাই শেয়ার করলাম ।
১.
২.

৩.
"ফুটবলের জাদুকর লিওনেল মেসি ভোট চাইছেন আর্জেন্টিনার জন্য। তিন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ভোট চাইছেন দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য। সুন্দরবনের জন্য ভোট চাইবেন কে?
সুন্দরবন ভীষণ সুন্দর, যিনি ওখানে একবার গেছেন, তিনিই ফিরেছেন একরাশ মুগ্ধতা নিয়ে। অপার্থিব, নির্জন, শান্ত, সুন্দর। জীবনানন্দ দাশের ভাষায়, এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে সবচেয়ে সুন্দর করুণ। এটা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন। রয়েল বেঙ্গল টাইগারের আবাসস্থল। ইউনেসকো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান। এখানে জোয়ার-ভাটা খেলা করে। পদ্মা-মেঘনা-যমুনার নানা শাখা নদীর পলি পড়ে গড়ে ওঠা, মিঠাপানি ধোয়া এই বন। কিন্তু এর অনন্যতা হলো এ আমাদের রক্ষা করে মায়ের মতো। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি থেকে এই দেশকে বাঁচাতে এই বন আগলে আছে আমাদের উপকূল। এ সত্যি এক আশ্চর্য স্থান। ড. আইনুন নিশাত বলেন, এই বন সত্যিই অদ্বিতীয়।
প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য নির্বাচনে শেষ ২৮টি স্থানের একটায় আছে সুন্দরবন। ভোট চলবে আর মাত্র এক দিন। ১১ নভেম্বর গ্রিনিচ মান সময় সকালে আমাদের সময় বিকেলেই শেষ হয়ে যাবে ভোট গ্রহণ। তারপর জানা যাবে, সুন্দরবন শেষ ৭-এ জায়গা করে নিতে পারল কি না।
অন্যান্য দেশ এরই মধ্যে ব্যাপক প্রচারণায় অবতীর্ণ হয়েছে। আর্জেন্টিনার ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি ভোট চাচ্ছেন তাঁর দেশের হয়ে। নেলসন ম্যান্ডেলা, ডেসমন্ড টুটু, এফ ডব্লিউ ডি ক্লার্ক—তিন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ভোট চাইছেন দক্ষিণ আফ্রিকার জন্যে। অস্ট্রেলিয়াতেও ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছে সেখানকার পর্যটন বিভাগ। ভিয়েতনাম প্রচার চালাচ্ছে চার বছর ধরেই, ভীষণ জোরেশোরে।
বাংলাদেশ ও ভারতও পিছিয়ে নেই সুন্দরবন নিয়ে। অ্যালেক্স ডট কমের তথ্য বাংলাদেশের চেয়ে ভারতে সপ্তাশ্চর্য নির্বাচনের ওয়েবসাইট ব্যবহূত হচ্ছে বেশি। ইটিভি বাংলায় দেখলাম, পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী ভোট চাইছেন সুন্দরবনের জন্য।
আমাদের পক্ষে তিনজন নোবেল বিজয়ী হয় তো নেই, কিন্তু আমাদের আছে হার না-মানা তারুণ্য। আমাদের হয়তো একজন লিওনেল মেসি নেই, কিন্তু এটা তো আর ফুটবল মাঠ নয়। এখানে প্রত্যেকেরই আছে গোল করার সুযোগ, ভোট দেওয়ার মধ্য দিয়ে। আমরা সবাই হয়ে উঠব একেকজন মেসি। আমরা ভোট দেব প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য নির্বাচনে এবং জিতিয়ে আনব সুন্দরবনকে। কারণ, এবার সুন্দরবনকে জিতিয়ে আনার ক্ষমতা রয়েছে আমাদের প্রত্যেকেরই হাতে। প্রায় চার বছর ধরে চলতে থাকা এই নির্বাচন প্রক্রিয়ার শেষের দিকে এসে আমরা হাল ছেড়ে দেব না। আসুন প্রত্যেকে নিজেরা ভোট দিই আর ভোট দিতে বলি আমাদের বন্ধুবান্ধবদের। প্রবাসীরা ভোট দিই, ভোট দিতে বলি আশপাশের সবাইকে। ফেসবুকে, ইন্টারনেটে বন্ধুবান্ধবদের উত্সাহিত করি সুন্দরবনকে ভোট দিতে।
ভোট দেওয়া যাবে চার ভাবে
প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য নির্বাচনে সুন্দরবনকে তিনটি মাধ্যমে ভোট দেওয়ার সুযোগ আছে। এক. ইন্টারনেটে http://www.new7wonders.com বা http://www.n7w.com ঠিকানার ওয়েবসাইটে গিয়ে Vote-এ ক্লিক করে ২৮টি স্থানের মধ্যে সাতটি স্থান পছন্দ করে ভোট দেওয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে একটি ই-মেইল ঠিকানা থেকে একটি ভোট দেওয়ার সুবিধা রয়েছে।
দুই. টেলিফোন করে শুধু সুন্দরবনকে ভোট দেওয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে +১ ৮৬৯ ৭৬০ ৫৯৯০, +১ ৬৪৯ ৩৩৯ ৮০৮০, +৪৪ ৭৫৮ ৯০০ ১২৯০—এই তিনটি নম্বরের যেকোনো একটিতে কল করলে বার্তা শোনা যাবে। বার্তার পর একটি সংকেত দেওয়া হবে। এরপর ৭৭২৪ নম্বর চেপে সুন্দরবনের পক্ষে ভোট দেওয়া যাবে।
তিন. মুঠোফোনের খুদেবার্তার (এসএমএস) মাধ্যমেও ভোট দেওয়া যাবে। যেকোনো মুঠোফোনে SB লিখে পাঠাতে হবে ১৬৩৩৩ নম্বরে। প্রতি এসএমএসের জন্য দুই টাকা ৩০ পয়সা খরচ হবে। আর প্রতিটি এসএমএস ভোটই গণনা করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
সুন্দরবনকে প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য হিসেবে নির্বাচনের জন্য পৃথিবীর যেকোনো জায়গা থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভোট দেওয়া যাবে। মেসেজ অপশনে গিয়ে ইংরেজিতে sundarbans লিখে +২৪৮৯৮৮৮৮৮ নম্বরে পাঠাতে হবে।
আর বাংলাদেশের নাগরিকেরা sb লিখে ১৬৩৩৩ নম্বরে এসএমএস করে সুন্দরবনকে ভোট দিতে পারবেন।"
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:০৯
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×