আমাকে এক মুঠো মাটি দাও। আমি আমার মাটিতে ঘুমোতে চাই। এওমন আকুতি করেছিলেন সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর। জীবনের শেষ চার লাইনে তা না লিখলেও তিনি চেয়েছিলেন এক মুষ্টি দেশের মাটি। হায় দেশ। পরিবর্তনের সবাতাস কি আদৌ পাবে আমার দেশ। ৭১-৭৫ পরবর্তী বাংলাদেশে আমাকে একজন নেতা দেখান যে সত্যিকার অর্থে ট্যলেন্টেড। নাই। আছে যা তাও ৭১ প্রজন্ম। কারণ কি? কারণ সামাজিক অবক্ষয়। সামাজিক অবক্ষয় এর প্রশ্ন তুললে প্রশ্ন আস্তে পারে অটা তো অই সময় ও ছিলো। ছিলো আমি মানলাম। কিন্তু এখন কি আমাকে এমন একটা মা এনে দিতে পারবেন যে নিজের মুখে বলতে পারে যা তোকে দেশের জন্য কুরবানী করে দিলাম। দেখাতে পারবেন না। এখন কার দিনের মায়েরা বলেন আমার মেয়ে ছাগ্লা গ্ল্যমার প্রিতিযোগিতায় যদি আমার মেয়ের দেয় আপ্নার সয্যায় নেবার যোগ্য মনে হয় তা হলে ওকে ভোট করুন। আমি বুঝি না কেন মানুষ এই গুলা করে। তার মেয়ের রুপ বিক্ত্রী করে সে খাবে তার কি বিবেকে লাগবে না? এই না হলে বাঙ্গালী।
এ বার আসি রাজনোইতিক প্রসংগে। আমরা স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে গল্মাল করছি। মারামারি করছি। তা হলে আমি বলবো স্বাধীনতার ঘোষনার কোন দরকার ছিলো না। কারণ সন্তোষের সম্মেলনের সময় মাউলানা ভাষানী তার মেঠো ভাষায় বলেছিলেন " যদি স্বায়ত্ত্বশাসন না দেন তাইলে
আসসালামুয়ালিকুম" এর চেয়ে বড় কথা আর কি হতে পারে। আম্রা পাকি দের নিয়ে লড়াই করি। বৃটিশ দের নিয়ে লড়াই করি। কে সেরা গান্দী না জিন্নাহ ? মুজিব না জিয়া? আমার মতে প্রশ্ন গুলো অবান্তর। কারণ ইতিহাস কখোন চাপা থাকে না। সত্য বের হয়ে আসবে। আমি গান্ধী কে পছন্দ করি না কারণ গান্ধী স্বাধীনতা ভিক্ষা করে এনেছেন। আর জিন্নাহ কে পছন্দ করি না কারণ তিনি দেশ বিভাগের জন্য প্রত্যক্ষ ভাবে দায়ী। সেই পরিমান নেহেরুও। আমি মুজিবকে পছন্দ করি না কারণ তিনি ২৪ তারিক পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীত্ত পাবার আশায় ছিলেন। তার পর যুদ্ধের পর তিনি আবেগী নেতা। কিন্তু রাজনীতিতে আবেগের স্থান কোথায়? জিয়াকে পছন্দ করি না কারণ জিয়া স্বার্থপর। তিনি কালো ছাত্র রাজনীতি ঢুকিয়ে দিয়েছেন সমাজে। আর ৭১ এর কথা আসলে তাকে কেন ২.৫ মাস পর দ্বায়িত্ত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হলো সেই প্রশ্ন আসবে।
তারা যে মহান নেতা তা কিন্তু অস্বীকার করার কোন স্থান নেই। তারা দেশকে যা দিয়েছেন তা অন্স্বীকার্য। কিন্তু ৭১ এর পর পৃথিবী যতটুকু এগিয়েছে সেখানে আমাদের অগ্র যাত্রা এখন ও স্মভুক গতি। যা আমাদের ১৯৮০ সালে করা তচিৎ ছিলো তা আমরা ২০১১ সালে এসে করছি।আমাদের দ্বায়িত্ত্ববোধ কোথায় আছে তা আমরা নিজেরাও জানি না। তাই আমরা এখনো তাদের কাজ নিয়ে মারামারি কাটাকাটি করি। আমরা যদি তাদের স্বীকৃতি না ও দেই অথবা দেই তাতে কিছু আসে যায় না। ইতিহাস তার নিজের মতো করে চলবে।
আজ লঞ্চ ডুবিতে ২৮ জন এই পর্জন্ত নিহত হয়েছেন । কোন একজন দ্বায়িত্ত্বশীল করমকর্তা বললেন আমরা দাফন কাফনের জন্য সবাইকে আড়াই হাজার টাকা করে দিয়ে দেব। মুখে হাসি হাসি ভাব। টিভি ক্যমেরায় তাকে দেখাচ্ছে। কিন্তু এতো গুলো মানুষের মৃত্যু কি তার মনে কোন রেখাপাত করে নি? হয়তো হ্যা হয়তো না। কিন্তু তার বাচন ভঙ্গীতে যে ঔদ্ধাত্ত দেখলাম তাতে মনে হলো ম্রা গেছে মানুষ না। মারা গেছে তার পোষা কুকুরের ছানা। এই আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা উত্তর দেশে। অনেকে আমাকে বলতে পারেন তা হলে তো আকবরী আমল ই ভালো ছিল। কোন মারামারি নাই নিজেরা নিজেরা। আচ্ছা বৃটিশ দুশো বছর আমাদের দেশে ছিলো তারা অনেক কিছু করেছে আমাদের মতো নেটিভদের জন্য। কিন্তু যা করেছে তা নিজের স্বার্থে। পাকিস্তান ও তাই করেছে। অই মোঘল , পাঠান , লোদী , সেন , পাল সবাই একেই কাজ করেছে। সব শালারা নিজেদের স্বার্থ দেখেছে। আর আমাদের মাঝে বইছে তাদের রক্ত। ২০১১ সালেও আমরা পারিনি বন্দীত্ত্বের নাগপাশ থেকে মুক্ত হতে। এর কারণ হলো আমাদের জাতীয় চেতনার অভাব। আমাদের জাতীয়তা বোধের অভাব।
আন্দালিব অনেক ভালো কথা বলছেন আমাদের চোখে আঙ্গুল দিইয়ে দেখিয়ে দিয়েছে আমাদের দীনতা। তার পর তার অনেক ভক্ত কূল আর শত্রুও জন্মেছে। কিন্তু দেশ ১ ইঞ্চিও এগোয় নি। কারণ আমাদের জাতীয় ঐক্যের প্রভাব। আমাদের বামেরা আজো পথ খুজে পায় না একটা শান্তিময় স্বপ্ন দেখার। এখনো কাদাছোড়াছুড়ি হয় একেক দলের পক্ষে। রাষ্টধর্ম কি হবে তা শুনে কেউ কেউ বলে নাউজুবিল্লহ আস্তাকফিউরল্লাহ দিয়ে দেশ চলে না। হায় দেশ। আত্মার বাধন আল্গা হয়ে গেছে আমাদের দেশ থেকে। দুর্নীতি অপশাসন মেধাহীন প্রশাসন ও রাজনীতি আমাদের গ্রাস করছে। এর থেকে আমাদের মুক্তি দেবে কে? আমাদের মুক্তি দাতা আদৌ জন্মেছেন না তার আগমনে এখনো অনেক দেরী? আমি তার পথ চেয়ে রইলাম।
আলোচিত ব্লগ
বিজয়ের আগে রাজাকারের গুলিতে নিহত আফজাল

ঘটনা স্থল গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার উড়িয়া ইউনিয়নের গুণভরি ওয়াপদা বাঁধ।
১৯৭১সালের ১৬ই ডিসেম্বরের কয়েক দিন আগের ঘটনা। আফজাল নামের ভদ্রলোক এসেছিলেন শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে। আমাদের পাশের গ্রামেই তার... ...বাকিটুকু পড়ুন
৫৫ বছর আগে কি ঘটেছে, উহা কি ইডিয়টদের মনে থাকে?

ব্লগের অনেক প্রশ্নফাঁস ( Gen-F ) ১ দিন আগে পড়া নিউটনের ২য় সুত্রের প্রমাণ মনে করতে পারে না বলেই ফাঁসকরা প্রশ্নপত্র কিনে, বইয়ের পাতা কেটে পরীক্ষার হলে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন
নিজামী, মুজাহিদ, বেগম জিয়াও বিজয় দিবস পালন করেছিলো!!

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বেগম জিয়ার মুরগী মগজে এই যুদ্ধ সম্পর্কে কোন ধারণা ছিলো না; বেগম জিয়া বিশ্বাস করতো না যে, বাংগালীরা পাকীদের মতো শক্তিশালী সেনাবাহিনীকে পরাজিত করতে পারে;... ...বাকিটুকু পড়ুন
১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন
ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার থেকে

১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।