somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চোরাই লেখক ও সম্পাদক থেকে সাবধান!

০৩ রা মার্চ, ২০২০ সকাল ৮:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একুশের বইমেলায় ভুঁইফোর প্রকাশনা যেমন বেড়েছে, তেমনি অন্যের লেখা চুরি করে বই প্রকাশ করার সংখ্যাও আৎকে ওঠার মত বেড়েছে। এরা একেবারে প্রফেশনাল চোর। ফেসবুকে আপনি লেখা পোস্ট করেছেন, আর চোর সেই লেখা নিয়ে বই প্রকাশ করেছে। এবছর সবচেয়ে বেশি চুরি হয়েছে বঙ্গবন্ধু বিষয়ক লেখা।

আরো ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হলো, যারা বিভিন্ন ধরনের সংকলন করছেন, তারাও পূর্বে প্রকাশিত সংকলন থেকে লেখা চুরি করে শর্টকাট সংকলন প্রকাশ করছেন। এরা পাঁচ-সাতটা সংকলন সংগ্রহ করে সেখান থেকে পছন্দের লেখা নিয়ে রাতারাতি সম্পাদক বনে যাচ্ছেন! মূল লেখার লেখককে (যদি জীবিত হন) পর্যন্ত এরা এসব না জানিয়ে করছেন!

আর এসব সম্ভব হচ্ছে পঠন-পাঠন লেখালেখিতে চর্চা না করেই রাতারাতি কিস্তি মাত করার খায়েস থেকে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, এরা শুরুতে টার্গেট করে দেশের বিখ্যাত কবি-লেখকদের সাহচার্য। কয়েকদিন মিশে কিছু ছবি তোলে। পরের বছর এদের দিয়েই নিজের চুরি করা জিনিসের কেক কাটে/মোড়ক উন্মোচন করে। আপনি জানতে পারবেন না কীভাবে এরা রাতারাতি লেখক/সম্পাদক বনে গেল!

সবচেয়ে বেশি চুরি হচ্ছে ফেসবুকে সহজে পাওয়া লেখাগুলো। আর চুরির তালিকায় সবচেয়ে উপরে কবিতা। গল্প বা উপন্যাস চুরি করার জন্য যে সময় দরকার, প্রফেশনাল এ্সব চোর ততটুকু সময় পর্যন্ত ব্যয় করতে রাজি নয়। তাও ভেতরে ভেতরে কেউ করছে কিনা, জানার উপায় নাই।

আমরা এমন একটি দেশে বসবাস করি, যেখানে চুরি, চামারি, লুটপাট, চাঁদাবাজি, দুর্নীতি এসব এখন মামুলি ব্যাপার। চোরের খনিতে বসবাস করে লেখালেখি'র মত সৃজনশীল ও মননশীল কাজেরও চুরি হবে না, সেই গ্যারান্টি এই দেশে নাই। কারণ, এই দেশে চোরদেরও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নানাভাবে লালন-পালন করা হয়। অতএব চোরাই লেখক ও সম্পাদক থেকে সাবধান!
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মার্চ, ২০২০ সকাল ৮:০২
১০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×