কলেজ লাইফের আনেক কথাই মনে পড়ে। কলেজ ফ্রেন্ডদের ও অনেক মিস করি। কিন্তু একটি কথা যখন মনে পড়ে তখন খুবই হাসি পায়। আজ আপনাদের ও ওই মজার কাহিনী শুনাই।
মফিজ, আমাদের ফ্রেন্ড।যাকে আমরা হাউমাউ মফিজ বলেই ডাকতাম। এর অবশ্য যথেষ্ঠ কারণ ও ছিলো। সামান্য কিছুতেই সে হাওমাও জুড়ে দিত। মফিজের আরও একটা জনপ্রিয় নাম ছিল 'পাগলা মফিজ'।

মেয়েটির নাম লুবনা। যার কারণে মফিজ কে পাগলা মফিজের উপাধি পেতে হয়েছে। সে ও আমাদের ক্লাসমেট ছিল। ক্লাসের সুন্দরি মেয়েদের সারিতে প্রথম দিকে ছিল বলে অহংকার অনেক বেশি ছিল। সব সময় ভাব নিয়ে চলত। কিন্ত মফিজ ছিল সে মেয়েটির জন্যই পাগল।

দিনটি ছিল ১৪ ফেব্রুয়ারী(বিশ্ব ভালবাসা দিবস)। প্রতিদিনের মত কলেজের গেইটে দাঁড়িয়ে লুবনার আসার অপেক্ষা করছিল। লুবনা আসার সাথে সাথে তার দিকে তাকিয়ে তার হেবলা হাসি হাসতে থাকলো। হাসতে হাসতে ওর পাশ পাশ হয়ে কলেজে ঢুকছিল। আর তখনি লুবনা তাকে উদ্বেশ্য করে কি যেন একটা বলে উঠলো। কথাটা শুনে মফিজ যেন আকাশের চাঁদ হাতে পেল। আমাদের কাছে এসে লজ্জা লজ্জা মুখ নিয়ে হাসতে থাকলো। হাসতে হাসতে বল্‌ল 'আমি আজ প্রিথিবীর সব চেয়ে সুখি মানুষ। এ কথা শেষ করেই তাড়াহূড় করে কলেজ থেকে বের হযে গেল।

কিছুক্ষণ পর মফিজ তার হাতে একটি গোলপ ও কিছু রজনী গন্ধা ফুল নিয়ে হাসতে হাসতে কলেজে ঢুকলো। দেরি না করেই চলে গেলো লুবনার সামনে। ফুলগুলো লবনার দিকে এগিয়ে দিয়ে লজ্জা মিশ্রিত হেবলা হাসি হাসতে থাকলো। যেন তার খুশি আর ধরে না। মূহুর্তের মধ্যে লুবনা তার হাত থেকে ফুল গুলো কেড়ে নিয়ে তার পায়ের তলায় চাপা দিল। আর ততক্ষণে লুবনার পাঁচ আংগুলের দাগে মফিজের হাসি ভরা মুখ মলিন হয়ে গেল। তারপর আমাদের কাছে এসে হাওমাও কান্ন জুড়ে দিল। হাসবো না কাঁদবো ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলাম না।

আসল বেপারটা বুঝতে পারলাম পরে। আসলে মফিজ যখন লুবনার দিকে তাকিয়ে হাসছিল তখন লুবনা বলেছিল 'ফূল(fool)' আর মফিজ ভালোবাসা দিবসে লুবনা তার কাছে ফুল চেয়েছে ভেবেই...................................