
ফ্লাইট,কাতারী আমির কিংবা কোথায় কি সম্মাননা পাবে তার চেয়েও অনেক মর্যাদাবান হলেন ম্যাডাম জিয়া। আমাদের কাছে ম্যাডাম জিয়া সার্বজনীন রাজনীতিবিদদের মধ্যে অন্যতম একজন,শুধু তাই নয়,দীর্ঘ দমন নিপিড়নের মধ্যে দিয়েও দেশ থেকে পালিয়ে যাননি,না লন্ডনে গিয়ে মেরুদন্ড ভাঙা সন্তানের সঙ্গে বিলাসবহুল জীবন কাটিয়েছেন।
কিভাবে স্বৈরাচারের চোখে চোখ রেখে এই দেশে রাজনীতি করতে হয়,কিভাবে মিথ্যা মামলায় জর্জরিত হয়ে,অসুস্থ থেকেও কোর্ট থেকে শুরু করে রাজনৈতিক বিষয়গুলো সামাল দিয়েছেন তা বিএনপির নতুন প্রজন্ম কিংবা পুরান প্রজন্মের স্টাডি করা উচিৎ। জাতীয়তাবাদ কেবল ব্যানার পেস্টুন মিডিয়ার সামনে এসে বড় বড় ভাষণ দেয়া না। এই সমস্ত ব্যাপারগুলো থেকে বেরিয়ে রাজনীতির মত রাজনীতি করতে হবে,দেশের জন্য,স্বৈরাচার হটানোর জন্য।
যারা বলছেন তারেক জিয়া পালিয়ে গিয়েছে,তারেক জিয়া পালিয়ে গিয়েছিলো নাকি তাকে নির্মম নির্যাতনের মধ্যে দিয়ে বিমানে উঠিয়ে দেয়া হয়? ভিসা নিয়ে যেতে পেরেছেন কিনা সেটা নিয়েও আছে সংকা,এটাকে আবার স্বৈরাচাররা হাসিঠাট্টা বিদ্রুপের সঙ্গে বলত 'তারেক জিয়া ভিসা'।
আমাদের এই আপোষহীন ষোলো বছরের অন্যতম নেত্রী ছিলেন ম্যাডাম জিয়া,আমাদের অনেক দলের অনেক ভাই,সাধারণ জনগণ,ছাত্রছাত্রী সহ সকল পেশাদার মাজলুমদের মতন তিনিও ছিলেন মাজলুম,এমন কোন নির্যাতন নেই যা বাদ ছিলো। আজকে উনি ঠিকমতো কথা বলতে পারেন না,আমি সম্ভবত প্রথম ব্যক্তি যে কিনা চিন্তা করতেছি ম্যাডাম জিয়া যদি সুস্থ থাকতেন কথা বলার মত হয়ত রাষ্ট্রের এমন পরিস্থিতিতে বলে উঠতেন আবারো 'চুপ থাকো বেয়াদব কোথাকার' অথবা 'গোপালগঞ্জের নামই মুছে দেয়া হবে'
আল্লাহ আপনার উপর রহম হোন,আপনার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি,বাংলাদেশের আপনাকে এখনো প্রয়োজন আছে,আপনার জন্য দোয়া রইলো,দেশের জন্য দোয়া করবেন। আপনার সফর সুন্দর হোক।
ইনকিলাব জিন্দাবাদ
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:৪৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



