আজ যারা বিশ্বকে শাসন করছে তথ্য প্রযুক্তির দিক দিয়ে তারা বিশ্বকে চরম ভাবে এগিয়ে নিচ্ছে কিন্তু একজন মানুষের মনোন্নয়ন কিভাবে করা যায় সেটার কোনো সুন্দর পদ্ধতি তাদের জানা নেই। শান্তিতে থাকার জন্য সুবিশাল, আকাশছোঁয়া ভবন তৈরি হচ্ছে কিন্তু তাতে নেই কোনো প্রকার শান্তি। গ্রহ, উপগ্রহ, নক্ষত্রের সাথে যোগাযোগ হচ্ছে কিন্তু খুব কাছের মানুষদের সাথে ধন্ধ লেগে আছে।
সবদিক দিয়ে যেমন উন্নতি হচ্ছে ঠিক, তবে হতাশা, অশান্তি আর আত্নহত্যা ও বেড়ে চলেছে। এর কারণ একটিই বর্তমান পৃথিবীরর শাসকরা বস্তু ও প্রযুক্তি উন্নয়নের প্রতি নজর দিলেও মন ও আত্নার শান্তির দিকে তাদের কোনো খেয়ালই নেই।
এমন একটি সময়ে পাশ্চাত্য সভ্যতা আজ ধ্বংসের মুখে। পাশ্চাত্যের রাজা আমেরিকা, তারা বলে, আমেরিকা সভ্যতার দেশ অথচ সেখানে প্রায় ৪৩% এর বেশি মানুষ জারজ সন্তান। তারা বলে, নারী স্বাধীনতার দেশ আমেরিকা কিন্তু সেখানেই প্রতি ৪৬ সেকেন্ডে একজন নারী ধর্ষিতা হয়। তারা এটাও বলে, সেই দেশ নাকি সোনার হরিণের দেশ কিন্তু দেখা যায় সেখানেই সবচেয়ে বেশি মানুষ আত্নহত্যা করে। তাহলে একজন সুস্থ মানুষ কিভাবে বলবে আমেরিকা উন্নত? হ্যা উন্নত তবে সেটা কিছু দিক দিয়ে।
আমেরিকার একজন খ্যাতিমান ব্যক্তি জিমিসোয়াগার্ট চিৎকার করে বলেছেন, 'আমেরিকা, বিধাতা অবশ্যই তোমার বিচার করবেন (অর্থাৎ ধ্বংস করবেন); আর তিনি যদি তোমার বিচার না করেন, তাহলে নৈতিক অপরাধ, লালসা, আর চরিত্রের অপরাধ সডোম ও ঘোমরার (আদ, সামুদ আর লুত সসম্প্রদায়) অধিবাসীদের কেন ধ্বংস করে দেয়া হয়েছিল; সেজন্য স্বয়ং বিধাতাকেই একদিন ক্ষমা চাইতে হবে।'
আমরা অনেক ভাগ্যবান যে, আল্লাহ আমদের ইসলাম ধর্ম হাতে দিয়েই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। এরচেয়ে শান্তির আর কোনো ধর্ম নেই। এই ধর্মের আদর্শ দিয়েই পৃথিবীর সবকিছুর উন্নতিই সম্ভব এবং এর থেকেই মন ও আত্নার প্রশান্তি আসবে।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৫৭