somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

'লেখক-কবিদের আত্নবিরোধ ও বইমেলা' শিরোনামে ১৪ বছর আগে লেখা আল মাহমুদের এই প্রবন্ধটি এখনও সমান প্রাসঙ্গিক ও গুরুত্বপূর্ণ

০৮ ই মে, ২০১০ বিকাল ৪:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

লেখক-কবিদের আত্নবিরোধ ও বইমেলা

এটা ঠিক যে, দীর্ঘস্থায়ী রাজনৈতিক সংকট একটা দেশ ও জাতির সবকিছুর ওপরই অস্বস্তির ছায়া ফেলে। ব্যক্তি মানুষের চেহারার মধ্যে প্রতিফলিত হয় অস্থিরতা ও অস্বস্তির ছাপ। তরুণেরা উদ্যম হারিয়ে ফেলে। সংস্কৃতির সর্বপ্রকার প্রকাশ, বিকাশ, বিচার ও প্রচারণায় ছড়িয়ে পড়ে পক্ষপাত। সেখানে বারো কোটি মানুষের একটি একভাষী দেশের আপনা থেকেই গড়ে ওঠার কথা সুদৃঢ় জাতীয় ঐক্য ও সাহিত্য সংস্কৃতিতে আবেগময় দেশপ্রেম। সেখানে সকল প্রতিভাবান লেখক এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বের মধ্যে দেখা দিয়েছে আত্নপ্রেম ও ব্যক্তিস্বার্থকেই প্রাধান্য দেয়ার প্রয়াস। প্রতিভাবানদের মধ্যে আত্নিক বন্ধন যখন ছিন্ন হয়ে যায় তখন সকলকেই স্বার্থপরতার ভাসমান দ্বীপ বলে মনে হয়। সামষ্টিক উদ্যোগে সাহিত্য-শিল্প নির্মিত হয় না এটা যেমন সত্য তেমনি সাহিত্যিক শিল্পীদের মধ্যে পারস্পরিক মুখ দেখাদেখি যখন বন্ধ হয়ে যায়, তখন কেবল স্বার্থপর ব্যক্তি-উদ্যোগও জনগণের কাছে তেমন মূল্য পায় না। বাংলাদেশে প্রতিবছর বইমেলা ইত্যাদি উপলক্ষে কম বই প্রকাশিত হয় না। কিন্তু লেখক-কবিদের আত্নবিরোধ ও স্বার্থপরতার জন্য এর সঠিক সাহিত্যমূল্য নির্ধারিত হয় না। কে কি লিখছে, লেখকরা কেউ পরস্পরের রচনা পড়ে দেখে না। নাম শুনেই এক অন্যকে বাতিল করে দেয়। এ অবস্থায় সৃজনশীর সাহিত্যের বিকাশ সম্ভবপর হয় না। শত গ্রন্থমেলা করেও এই অভ্যন্তরীণ বিরোধের বেড়া ডিঙিয়ে কারো একাটি উপন্যাস বা কাব্য সৃজনশীল মৌলিক রচনার কদর পায় না।
আমাদের সাহিত্যে এই বিরোধ জিইয়ে রাখার জন্য মাত্র কয়েকজন কম প্রতিভাবান সাধারণ পর্যায়ের লেখকই দায়ী। তারাই গোষ্ঠীবাদকে উস্কে রাখে। বাংলা একাডেমীর বই মেলায় যে কোন একটা ছুঁতো তুলে বইয়ের স্টল ভাঙ্গে এবং প্রকৃত কবি-সাহিত্যিকদের সেখানে অপমানের চেষ্টা করে। এরা এখনও বস্তাপচা প্রগতিবাদের ধুয়ো ধরে রেখেছে। অথচ এদের সকল প্রকার উদ্যোগ আয়োজনই প্রতিক্রিয়াশীল। এরা এ দেশের ইসলামরে রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক উত্থান সম্ভাবনায় অতিশয় ভীতত্রস্ত। এরা গণতান্ত্রিক ইসলামী আন্দোলনকে 'মৌলবাদ' নামে আখ্যায়িত করতে চায়। এ দেশের মুসলিম জনতার স্বতন্ত্র আত্নপরিচয়ের যে কোনো উদ্যোগকেই আঘাত করার জন্য একটি কৌশল অবলম্বন করে থাকে। সেই কৌশলটির নাম হল 'মুক্তিযুদ্ধের চেতনা'। যেন এদেশের মুসলমানরা ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেনি। কাজে অকাজে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে বলে এরা এমন একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, যাতে মানুষ আর এ বিষয়ে কোনো উত্তেজনা খুঁজে পাচ্ছে না। অথচ একটু পরীক্ষা করলে দেখা যাবে আমাদের যেসব অত্যুৎসাহী বুদ্ধিজীবী মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বেশি বাগাড়ম্বর করে তাদের কেউই মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রকাশ্য বা গোপনে সমর্থন তো দূরে থাক বরং শত্রুতা সাধনেই তৎপর ছিল।
এখন এরা সাহিত্যে-শিল্পে মুক্তিযুদ্ধের প্রবক্তা সেজেছে, এদের দৌরাত্ন্যে বিটিভি কোনো নাট্য কাহিনীই মুক্তিযুদ্ধের কোনো বিষয়কে অঙ্গীভূত না করে প্রচারের সুযেগ পায় না। অথচ বাংলাদেশের টিভি দর্শকরা সমকালীন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংগ্রামের সামাজিক কাহিনী, ঐতিহ্য ও মুসলিম পারিবারিক মূল্যবোধ বজায় রেখে আধুনিক সমাজ গঠনের যে লড়াই চািয়ে যাচ্ছে, এরই প্রতিফলন নাটকে দেখতে আগ্রহী। যেমন ভারতের স্যাটেলাইট টিভিতে ভারতীয় মধ্যবিত্ত সমাজের দ্বন্দ্বের কাহিনী 'কুরুক্ষেত্র' নামক একটি নাট্যকাহিনীতে দেখতে পেলাম। বাংলাদেশের টিভি কেন এমন কিছু পারে না? আমাদের আশে পাশের দেশগুলো, বিশেষ করে সার্কভুক্ত দেশগুলোর প্রত্যেকের একটা সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র পরিস্কারভাবে ফুটে উঠছে। পাকিস্তান, ভারত শ্রীলংকা, নেপাল, ভুটান এমনকি মালদ্বীপের পরিচ্ছন্ন সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য আছে। বাংলাদেশের নেই কেন? কেন আমরা এখনও কলকাতার সাহিত্যিক আধিপত্যকে মেনে নিতে গর্দান বাড়িয়ে দাঁড়িয়ে থাকি? নাকি অতীতের হিন্দু জমিদারী দাসত্বের অভ্যেস আমাদের পিছু ছাড়তে চায় না?
এ দেশের জনগণের ধর্মীয় স্বাতন্ত্র্য তাদের সর্বপ্রকার আধিপত্যের জুলুম থেকে আলাদা থাকার প্রেরণা যোগাচ্ছে। যেভাবেই দেখা হোক ইসলামই হলো এ দেশের সার্বভৌমত্বের গ্যারান্টি। এ দেশে যেসব লেখক ইসলামি আন্দোলনকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য নানা আক্রমণাত্নক কারসাজিতে মত্ত তাদের একটা কথা উপলব্ধি করতে বলি। পুঁজিতান্ত্রিক বিশ্বে বুর্জোয়া গণতন্ত্রের ঢালের নীচে সাম্রাজ্যবাদী শোষণ প্রক্রিয়াকে প্রতিহত করার মত ইসলাম ছাড়া সাম্প্রতিককালে আর কোনো মানবিক আদর্শ আছে কি? যখন অবশিষ্ট সমাজতান্ত্রিক দেশগুলো নিজেদের জনগণের অর্থনৈতিক দুরবস্থা মোচনের জন্য খোলাখুলিভাবেই পুজিবাদের খোলা বাজারনীতি গ্রহণ করেছে? তাছাড়া এ লক্ষণ যখন স্পষ্ট যে, যেসব দেশের সংখ্যাগুরু অংশই মুসলমান এবং ইসলামি সামাজিক ও পারিবারিক আবহাওয়ায় লালিত, সেসব দেশে আগামী শতাব্দীতেই ইসলামী রাষ্ট্র ও শাসন ব্যবস্থার গোড়াপত্তন হবে।
বাংলাদেশে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েমে বহুবিধ প্রতিবন্ধকতার কথা আমরা অস্বীকার করি না। সবগুলো প্রতিবন্ধকতাই বুদ্ধিবৃত্তিক এবং রাজনৈতিক। সামাজিক বাধা একেবারে নেই একথা হয়ত সত্য নয় তবে খুবউ কম। সাধারণ মানুষ তাদের জন্য ইসলামী রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখে। যদিও তারা ভাবে এটা এক দূরতম স্বপ্ন। কিন্তু গত এক দশকের ইসলামী আন্দোলনের গতি-প্রকৃতি পর্যবেশক্ষণ করলে মনে হয় না সময়টা অত দীর্ঘ হবে। যে ত্যাগ, তিতিক্ষা ও অভিজ্ঞতার সঞ্চয় নিয়ে বাংলাদেশের ইসলামী আন্দোলন এর গণতান্ত্রিক পর্যায়গুলো অতিক্রম করছে তা নিঃসন্দেহে বিস্ময়কর। কেবল একটা দিকেই ইসলামী আন্দোলন জনগনের চাহিদা অনুযায়ী যথাযথভাবে সংগঠিত হয়ে উঠতে পারেনি। আর সেটা হলো সাংস্কৃতিক অঙ্গন এবং সাহিত্য ক্ষেত্রে ইসলামী আদর্শের নব তরঙ্গ সৃষ্টি।
কয়েকদিন আগে আধুনিক তুর্কী কবিতার একটি ইংরেজী সংকলন আমার এক বিলেত প্রবাসী ভক্ত আমাকে উপহার দেবার জন্য বয়ে নিয়ে এসেছিলেন। আমি বইটি উল্টে-পাল্টে দেখতে গিয়ে এর ভূমিকাটি এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেলাম। সম্পাদকের ভূমিকা থেকেই বুঝা যায় তিনি ধর্মনিরপেক্ষতার প্রবক্তা। তবে দল-মত-নির্বিশেষে নবীন প্রবীণ সকল তুর্কী কবি প্রতিভার উপযুক্ত ও সমমর্যাদার প্রতিফলন যাতে বইটিতে ঘটে- এ ব্যাপারে তিনি খুবই সজাগ এবং নিরপেক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। কমিউনিস্ট কবি নাজিম হিকমতের গুণগানে তিনি পঞ্চমুখ হলেও ইলহান বার্কের মতো প্রেম ও প্রকৃতির কবিদের প্রতিও তিনি সমান উদার। প্রবন্ধের শেষে এসে তিনি যেন কেমন বিস্মিত। শেষাংশে তিনি তুরস্কের অতি আধুনিক তরুণ কবিদের বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে কয়েকজন তরুণতম কবির পরিচয়, কাব্যগুণ, তাদের গোত্র ও আদর্শের কথা বলেছেন। বলেছেন, এরা ইসলামপন্থী তথা ফান্ডামেন্টালিস্ট। মৌলবাদী হলেও সমকালীন তুর্কী ভাষার সবচেয়ে জনপ্রিয় কবি, তরুণ। মজার ব্যাপার হলো তাদের বয়েস খুবই কম। ইসলামী আদর্শের আলোকে এরা আজ আধুনিক তুর্কী কবিতাকে নতুন মাত্রা দিতে চাইছে।
সম্পাদক মহোদয় এদের বর্তমান সাহিত্য-সংক্রান্ত ও ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে কোনো মন্তব্য না করলেও তাদের সাম্প্রতিক জনপ্রিয়তার কথা অস্বীকার করেননি। বরং এদের এই মুহূর্তের প্রাপ্য সন্মানটুক দিতে কার্পণ্য করেনিনি। বাংলাদেশের কবিতা নিয়ে এ ধরনের একটি সংকলন বর্তমানে এক অসম্ভব ব্যাপার। কারণ আধুনিক তুর্কী কবিতার ঐ সংকলটির সম্পাদকের মত নিরপেক্ষ সাহিত্য দৃষ্টিসম্পন্ন কোনো নিরপেক্ষ বিদ্বান ব্যক্তিই বাংলাদেশে নেই। রাজনৈতিক সংকট ও দলীয় পক্ষপাই বাংলাদেশের সাহিত্যকে পরমুখাপেক্ষী করে রেখেছে। করে রেখেছে আধিপত্যবাদীদের গোলাম। প্রগতিবাদের ধুয়া যতদিন সাহিত্য শিল্পে থাকবে, ততদিন কলকাতার দাসত্বও থাকবে।
বই মেলাগুলো এই দাসত্ব মুক্তির এক ধরনের চেষ্টা মাত্র। এ দেশের প্রকাশনা শিল্পের চাপেই সরকার এই বইমেলাগুলোর আয়োজন করছেন। অচিরই এর একটা সুফল আমাদের পাঠক সমাজের ওপর পড়বে বলে আমাদের ধারণা। যদিও প্রকাশনা শিল্পের প্রতিযোগিতামূলক বিকাশের জন্য কোনো বস্তুগত সুবিধাই এদের দেওয়া হচ্ছে না। কাগজ, বোর্ড, কালি ও মুদ্রণ সামগ্রীর আকাশ ছোঁয়া উচ্চ মূ্ল্যের ঘানি টেনেই আমাদের প্রকাশকগণ বই প্রকাশ করে চলেছেন। বর্তমানে সরকার সবই বোঝেন কিন্তু সৃজনশীল সাহিত্য জাতিকে কোন ধরনের প্রেরণা ও শক্তি যোগায় সেটা বোঝেন বলে মনে হয় না। যদি সেটা বোঝার ক্ষমতা থাকতো তাহলে তাদের রাজনৈতিক চরিত্রই হতো আলাদা। একটি সৃজনশীল গ্রন্থ রচনায় ও প্রকাশনায় কি কি কাঠখড় পাড়াতে হয় তা কি দেশের কর্তাব্যক্তিরা জানেন? প্রকৃতপক্ষে সৃজনশীল সাহিত্য একটি পরিশ্রমী জাতির মননশীল স্বপ্নের আকর। তারা কোথায় গিয়ে পৌছাতে চায় সৃজনশীল সাহিত্যেই সেই ঠিকানা স্বপ্নের অক্ষরে লেখা থাকে।



০৬/০১/৯৬ তারিখে প্রকাশিত
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×